চারুকলার শিক্ষার্থী
বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস: রূপরেখায় অপশক্তির অবসান কামনায় শান্তি মিছিল
ফুল ও পশু-পাখির প্রতীতি হাতে হাজারো মানুষের কলতান; আবহ সঙ্গীতে কালবৈশাখী ও শ্রেষ্ঠাংশে চৈত্র সংক্রান্তি। এভাবেই মঙ্গল শোভাযাত্রা শিরোনামে বাংলার সরণীকে রঙিন করে স্বাগতম জানানো হয় নববর্ষকে। সহস্র পদব্রজের প্রতিধ্বনিতে অনুরণিত হতে থাকে ধর্ম ও বর্ণের বৃত্ত ভাঙার শব্দ। প্রতিটি পাড়া থেকে শহুরে রাজপথ; ধুলোয় ধূসরিত বাঙালির গন্ড থেকে বাংলা সংস্কৃতি; মিলে মিশে একাকার হয় এক মঞ্চে। এরই চিত্রপট জুড়ে থাকে তিন যুগের পুরোনো এই আনন্দ মিছিলের ইতিহাসের কথা। বাঙালি ঐতিহ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের পর্বগুলো নিয়েই আজকের ফিচার।
মঙ্গল শোভাযাত্রা কি এবং কেন
প্রত্যেক বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়ার মহোৎসব এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। এর আয়োজনে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ। এই শোভাযাত্রার বিস্তৃতি ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ, রমনা ও এর আশেপাশের এলাকা নিয়ে।
বৈশাখের প্রথম দিনে এই আনন্দ মিছিলটি নিমেষে পরিণত হয় বাংলার সর্বস্তরের ও বিভিন্ন বয়সের মানুষের মহা সম্মেলনে। উৎসবের সব থেকে চোখ জুড়ানো বিষয়টি হচ্ছে বিভিন্ন ফুল, পশু-পাখি ও রূপকথার চরিত্রের রঙ-বেরঙের শিল্পকর্ম।
নিছক আনন্দ মিছিল ছাড়াও মঙ্গল শোভাযাত্রার নেপথ্যে রয়েছে নতুন বছরে সকল অপশক্তির অবসানপূর্বক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যতার প্রত্যয়।
পড়ুন: পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
২ বছর আগে