বাংলা নববর্ষে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
রমজানে বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করবেন? কোথায় ঘুরতে যাবেন?
গত বছরের মত আবারও একই সময়ে হাজির হলো রমজানে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উৎসবমুখর মৌসুম। তবে এবার আর লকডাউনের ভয় নেই। মাহেন্দ্রক্ষণটি বৃহস্পতিবার হওয়াতে একসঙ্গে টানা তিনদিনের ছুটি কাটাতে অনেকেই সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখার পরিকল্পনা করছেন। অবশ্য রোযা মুখে ছুটি কাটানো অন্য দিনগুলোর থেকে একটু আলাদাই হবে। নিদেনপক্ষে, যে কোন সময় হুট করে কিছু খেতে চাইলেই খেয়ে ফেলা যাবে না। কিন্তু দিন শেষে ইফতারে জম্পেশ খাবার ও আড্ডা ভুলিয়ে দিতে পারে সারাদিনের ক্লান্তিকে। চলুন, রোযার দিনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার কিছু উপায় জেনে নেয়া যাক।
ইফতারে বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী খাবার
ইফতার মানেই দিনের শেষে বাহারি খাবারের সমাহার। আর তার সঙ্গে বাংলা নববর্ষ যুক্ত হয়ে পুরো আনন্দটাকে রীতিমত এক মহোৎসবে রূপ দিয়েছে। একদিকে ইফতারের খেজুর সহ বিভিন্ন ধরনের ফলমুল, নানা পদের শরবতের সঙ্গে পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা-মুড়ি, জিলাপি। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখের মিষ্টান্ন ভান্ডার। এ দুয়ে মিলে এক নতুন মাত্রা যোগ করে ভোজন রসিক বাঙালির ঐতিহ্যে। নববর্ষের সঙ্গে একদম অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক না থাকলেও যুগ যুগ ধরে চলে আসা সর্ষে ইলিশ দারুণ ভাবে মানিয়ে যেতে পারে ইফতারের দ্বিতীয় পর্বে।
রোযা মুখে দুপুরের পর থেকে শুরু হয়ে যায় রকমারি খাবারের আয়োজন। সেখানে নতুন নতুন রেসিপিতে মেলবন্ধন গড়তে পারে ইফতার ও নববর্ষের খাবার আইটেমের।
পরিবেশনের মুহুর্তে দারুণ সংযোজন হতে পারে নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী মুরালি, খৈ, বাতাসা, খাগড়াই, কদমা ও কালিজিরা ছিটানো হালকা গেরুয়া রঙের মচমচে নিমকি। হরেক রকমের নাড়ুর মধ্যে বাঙালির ঘরে ঘরে প্রচলিত আছে চিনার নাড়ু, তিলের নাড়ু, ঢ্যাপের নাড়ু, চিড়ার নাড়ু, ও নারকেলের নাড়। সেই পরিবেশনে শোভাবর্ধন করতে পারে পহেলা বৈশাখের নামকরা মিষ্টান্নগুলো। এগুলোর মধ্যে আমিত্তি, সরভাজা, হাওয়াই মিঠাই, সন্দেশ, রসে টইটম্বুর ধবধবে সাদা বড় রাজভোগ, আর খেজুর গুড়ের পায়েস পরিপূর্ণ করতে পারে বাংলা বর্ষবরণকে।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস: রূপরেখায় অপশক্তির অবসান কামনায় শান্তি মিছিল
২ বছর আগে