জব্বারের বলি খেলা
বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিন মাস ধরে অনেক প্রচার-প্রচারণার পরও বিএনপির চট্টগ্রাম সমাবেশ আসলে ব্যর্থ কর্মসূচি ছিল। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কুস্তি প্রতিযোগিতা ‘জব্বার-এর বলি খেলা’ বন্দর নগরীতে এই সমাবেশের চেয়ে বেশি ভিড় টেনেছে।
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী মাসে চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে সমাবেশ ও মিছিল করবে। এরপর নগরীতে জেলা সমাবেশ করবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে কমিশনের সিদ্ধান্ত সবার ঊর্ধ্বে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বন্দর নগরীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি নেতারা অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমাবেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে সন্ত্রাসীদের জড়ো করে তারা এবং বন্দরনগরীসহ সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। এমনি প্রেক্ষাপটে আমরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং আমাদের কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করতে আজ বৈঠক করেছি।’
তিনি বলেন, তাদের জনসভায় ১৫ লাখ লোক যোগ দেবে বলে দাবি করলেও কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে লোক এনেও পলো গ্রাউন্ডের এক তৃতীয়াংশও পূরণ করতে পারেনি।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি গত ১৪ বছর ধরে সরকার উৎখাতের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তিনবার সরকার গঠনের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় তারা দেশের জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
এবারও হচ্ছে না চট্টগ্রামের শত বছরের জব্বারের বলি খেলা
এবছরও হচ্ছে না চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি শত বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এ বলিখেলা। তবে এবার করোনা নয়, ঐতিহাসিক লালদীঘির মাঠটি সংস্কারের পর উদ্বোধন ও উন্মুক্ত না করায় এবার বলিখেলা হবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হল আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করবেন? কোথায় ঘুরতে যাবেন?
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত ১১০ বছর ধরে এই বলীখেলা লালদীঘি মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে এবার সংস্কার কাজ শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মাঠটি এখনও উন্মুক্ত করা হয়নি। তাই এ বছরও জব্বারের বলি খেলা অনুষ্ঠিত হবে না।
আয়োজকরা এসময় বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিচিত আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও মেলাসহ চট্টগ্রামের সকল ধরনের অনুষ্ঠান পুনরায় ফিরে পেতে লালদীঘির মাঠ দ্রুত উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
২ বছর আগে