লক্ষ্য
পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল কানাডা
বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে কানাডাকে অল্পে গুটিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানি বোলাররা। ফলে ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির ব্যাটারদের।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করেছে সাদ বিন জাফরের দল। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য অতিক্রম করতে হবে পাকিস্তানকে।
টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ একেবারেই মামুলি লক্ষ্য হলেও নাসাউ কাউন্টির উইকেটে এ রান অনেক। এখন পর্যন্ত এই উইকেটে ব্যাটারদের ভুগতেই দেখা গেছে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি সব ম্যাচেই রান তাড়ায় ব্যর্থ বাকি দলগুলো।
তাই কানাডার দেওয়া এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর ভালো রান রেটের সঙ্গে অতিক্রম করা পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে বলেই ধারণা করা যায়।
কানাডার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অ্যারন জনসন। অপরদিকে, পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ।
জোড়া চারে ইনিংস শুরু করা কানাডা প্রথম তিন ওভারই চার মেরে শুরু করেন। এতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ধালিওয়াল। তবে তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান নবনীত। এর ফলে তিন ওভার শেষে ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় কানাডা। ফেরার আগে ৭ বলে ৪ রান করেন নবনীত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
এরপর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় ব্যাটার পারগাত সিংকে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। তার শর্ট অফ লেংথের লাফিয়ে ওঠা বলটি খেলার চেষ্টা করেই বিপদ ডেকে আনেন পারগাত। বলটি তার গ্লাভস ছুঁয়ে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফখরের তালুতে আটকে যায়। ফলে ২৯ রানে দুই উইকেট হারায় কানাডা।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফের উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতে পাকিস্তান। নিকোলাস কিরটনকে রানআউট করে দেন ইমাদ ওয়াসিম। এরপর দশম ওভারে জোড়া উইটকেট নেন হারিস রউফ। ওভারের তৃতীয় বলে হারিস রউফের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শ্রেয়াস মোভা। পঞ্চম বলে স্লিপে ক্যাচ দেন নতুন ব্যাটার রবিন্দরপাল সিং। এর ফলে দশ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে কানাডা।
ব্যাটাররা যখন একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিয়েছেন, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন অ্যারন জনসন। ত্রয়োদশ ওভারে ছক্কা মেরে নিজের ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে ঠিক ছয় বল পর ১৩.৩ ওভারে নাসিম শাহ তাকে বোল্ড করে ফেরান। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন তিনি।
এরপর ১৭.৫ ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন কানাডা অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। ইনিংসের তৃতীয় দুই অঙ্ক ছোঁয়া ১০ রান করেন তিনি।
শেষের দিকে কলিম সানার ১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কানাডা।
আরও পড়ুন: এক পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
৫ মাস আগে
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবারহ ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখা ও বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখা সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম আয়োজিত ইআরএফ সম্মেলন কক্ষে ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড নেক্সট বাজেট শীর্ষক প্রাক বাজেট সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ফাস্ট ট্রাক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সম্পদের যোগান দেওয়ার জন্য সরকার সচেষ্ট।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সরকারের মৌলিক নীতি নির্ধারণী দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন, নারী ও শিশুর উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সেবার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাজেট বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে এবং ১ জুলাই থেকে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থা বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের সেমিনার থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো আগামী জাতীয় বাজেটে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে, যা চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জনমুখী, শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করবে এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি, মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ চেম্বারস অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিজিএমইয়ের ডিরেক্টর শামস মাহমুদসহ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতের বৃদ্ধির জন্য স্মার্ট ট্যাক্সেশন পলিসি জরুরি: প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যা-খরার জন্য হাওর ও বরেন্দ্র অঞ্চলে বড় আকারে ‘সিমুলেশন’ অপরিহার্য: প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে এবং দেশের বিজ্ঞানীরা কিছু উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে বিগত ১৫ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণের বেশি।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ সালে যেখানে মাত্র ২ লাখ টনের মতো ডাল উৎপাদন হতো, সেখানে ২০২২-২৩ সালে উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টনের মতো। কিন্তু তা দেশের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ। সেজন্য আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আন্তর্জাতিক ডাল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, মানসম্পন্ন বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নত প্রযুক্তি যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে গবেষণা এবং কৃষকের মাঠের মধ্যে ফলনের ব্যবধান কমিয়ে ফলন বাড়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
এছাড়াও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে লবণাক্ত, খরা ও চরাঞ্চলে ডালের চাষ বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে (ওসিপি, ওসিপিএফ, মরক্কো, আইসিএআরডিএ, ভারত, ওয়ার্ল্ড ভেজ, থাইল্যান্ড, কানাডা) মোট ১৫০ জন অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ডাল ফসলের গবেষণা ও উৎপাদনে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনজন বিজ্ঞানীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশ
৯ মাস আগে
এবার দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান মেয়াদে তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, তার সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যমান সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিতে সম্মত বাংলাদেশ-সৌদি আরব
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে কায়েস বলেন, 'তারা (তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ) উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত হলে পুরো দেশ উন্নত হবে এবং জনগণ এর সুফল পাবে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪২ শতাংশের বেশি।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারীরা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করছে।
স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে নারী ও শিশুরা চিকিৎসা পাচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে তার সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
দুস্থ নারীদের বিশেষ করে বিধবা এবং স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ হওয়া নারীদের জন্য তার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থাকায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতেও সরকার কাজ করছে।
বৈঠকের শুরুতে বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, পেরু ও ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা টানা চতুর্থবারের মতো এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
দূতরা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে ডিজিটাল বই প্রকাশের উদ্যোগ নিন: প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, 'নির্বাচন আসছে এবং এটি জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার রক্ষা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের (এএলসিডব্লিউসি) সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অবদান বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ক্ষআওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সরকার গঠন করেছে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে আজ রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখনই মানুষ শান্তিতে বসবাস করে, তখনই বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, 'এই অস্থিরতা ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে জনগণকে বাঁচাতে হবে, এটাই মূল কাজ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, তারা অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার মাধ্যমে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সব দিক থেকে ষড়যন্ত্র করছে। এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আগামী দিনগুলোতে কেউ যেন দেশের অগ্রযাত্রা থামাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের মাটিতে অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্নীতিবাজদের অতীতের মতো প্রতিহত করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে জনগণই অগ্নিসংযোগকারী, দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গিদের প্রতিহত করেছিল।
ষড়যন্ত্রকারী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই বিশ্বাস নিয়েই বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা জঙ্গিবাদ, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতিবাজ ও এতিমদের অর্থ আত্মসাৎকারীদের চায়, নাকি তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চায়।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরাইলিদের মতো বিএনপি-জামায়াতও সাধারণ মানুষ, হাসপাতাল ও পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা অনেক বেশি।
বিভিন্ন জরিপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উসকানির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এক্ষেত্রে উগ্র ডানপন্থী জামায়াত ও কমিউনিস্টসহ উগ্র বাম সংগঠনগুলো একযোগে কথা বলছে।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আন্দোলনের নামে ভাঙচুরের কারণে কোনো কারখানা ধ্বংস হলে উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হবে, শ্রমিকদের রুটি-রুজি ও ভরণপোষণ ব্যাহত হবে।
তিনি বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ১২ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করলেও স্বার্থান্বেষী মহল গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নকে শুধু মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল বা বড় ফ্লাইওভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি।
তিনি বলেন, 'আমরা শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছি।’
১ বছর আগে
রাশিয়ার লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ চালানোর অঙ্গীকার পুতিনের
রাশিয়ার লক্ষ্যগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বিরোধিতা এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিষেধাজ্ঞা সত্বেও তাদের অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে।
এদিন পুতিন বলেন, রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানীর দখল ভালোভাবেই নিতে পেরেছে। এখন তারা ডনবাস অঞ্চলের দিকে মনোযোগ দেবে।
এদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেন বলেছে, সেনাদের (ইউক্রেনীয়) ওপর বিষাক্ত পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে। পদার্থটি কী হতে পারে তা তারা স্পষ্ট নয়।
তবে পশ্চিমা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের কোনও ধরনের ব্যবহার করলে এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ আরও গুরুতর হয়ে উঠবে।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মতে, রাজধানী কিয়েভ দখল, সরকার পতন এবং একটি মস্কো-বান্ধব শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল।
ছয় সপ্তাহ পর পুতিন মঙ্গলবার জোর দিয়ে বলেন, তার আক্রমণের লক্ষ্য ছিল মস্কো-সমর্থিতদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের কিছু অংশের জনগণকে রক্ষা করা এবং ‘রাশিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, রাশিয়ার কাছে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প ছিল না’ এবং অঙ্গীকার করেন, এর সম্পূর্ণ সমাপ্তি এবং নির্ধারিত কাজগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।’
আপাতত পুতিনের বাহিনী ডনবাসে একটি বড় আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেখানে ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ান-মিত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে এবং রাশিয়া এই অঞ্চলের স্বাধীনতার দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ একটি 'গণহত্যা': বাইডেন
২ বছর আগে