কড়া নিরাপত্তা
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হিাজির করা হয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই-এর বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানায়।
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার ‘অবৈধ ও বেআইনি’ ঘোষণার একদিন পর হাজিরা দিতে এলেন খান। আদালত তার গ্রেপ্তারকে দেশজুড়ে মারাত্মক সংঘর্ষের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
এদিকে, ইমরান খানের আবেদনটি বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব এবং সামান ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত দুই ব্যক্তির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ শুনবেন।
ইমরান খানের হাইকোর্টে হাজিরা দিতে আসায় রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইমরান খান আদালতে পৌঁছান। আদালত চত্বরের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এআরওয়াই নিউজের মতে, শ্রীনগর হাইওয়েতে পুলিশ লাইনের কাছে কনটেইনার স্থাপন করা হয়েছে এবং পাকিস্তানের ফৈজাবাদ সেতু, শ্রীনগর হাইওয়ে ও পুলিশ লাইনের নিচে পুলিশ ও রেঞ্জার্স কর্মকর্তাদের একটি ভারি দল মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ খানের সমর্থকরা সেখানে জড়ো হয়েছে।
এদিকে, খানের সমর্থকদের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের কাছে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।
পিটিআই জানিয়েছে, ইমরান আদালতে উপস্থিত হওয়ার পরে সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভাষণ দেবেন।
তবে পিটিআই নেতাদের ওপর পুলিশের ধরপাকড় কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কারণ শুক্রবার লাহোরে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সিনিয়র নারী পিটিআই নেতা এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াসমিন রশিদকে।
এর আগে পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. শিরীন মাজারিকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে ইসলামাবাদ পুলিশ।
কর্মকর্তাদের মতে, ইসলামাবাদ পুলিশ শিরিন মাজারির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে।
ইমরান খান, সেনেটর এজাজ চৌধুরী, আসাদ উমর, ফাওয়াদ চৌধুরী, শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং আলী মোহাম্মদ খান সহ সিনিয়র পিটিআই নেতাদের গ্রেপ্তারের পর তাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছিল এবং কর্তৃপক্ষকে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
সিদ্ধান্তের পরে, সুপ্রিম কোর্ট পিটিআই প্রধানকে পুলিশ লাইন গেস্ট হাউসে পাঠিয়েছেন এবং তাকে তার পরিবারের সঙ্গে রাত কাটানোর অনুমতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইমরান খান যখন দুইটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হন তখন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই পাকিস্তানে নিরাপপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
পিটিআই তার সমর্থকদের ইমরান খানের সমর্থনে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানানোয় দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ইমরান খান গ্রেপ্তার: বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১০
ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
১ বছর আগে
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃহস্পতিবার বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে।
তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা নিশ্চিত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সোয়াট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নজরদারি করে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
ভিসি বলেছেন, ‘একটি সম্প্রীতিপূর্ণ, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ গড়তে, এই জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব এই উৎসবটি একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনা দ্বারা উজ্জীবিত হয়। কারণ এতে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ জড়িত থাকে। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তার পক্ষ থেকে খালিদ বলেন, ‘মহামারির কারণে আমরা দুই বছর ধরে আমাদের উৎসবগুলো উদযাপন করতে পারিনি। এই পহেলা বৈশাখ সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি উৎসব। আমি মনে করি আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি, শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ভি-সি (প্রশাসন) প্রফেসর মুহাম্মদ সামাদ ও প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী অংশ নেন।
২ বছর আগে