আ.লীগ সরকার
আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের বন্ধু নয়, বব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও জনগণের খাদ্য অধিকার নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ চায় না দেশের মানুষ পেট ভরে খাবার খাক। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য না থাকায় মানুষ তাদের উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ খরচ করে একটি ডিম, এক কেজি চাল ও এক লিটার তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজানে দরিদ্র জনগণকে কষ্টে ফেলতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিন্ডিকেট প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।
জয়নুল বলেন, 'আমরা জনগণের অধিকারের কথা বলছি, কারণ আমরা (বিএনপি) জনবান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে এবং কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল করতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সবকিছু করেছে। তারা চায় না দেশের মানুষ সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করুক।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং বেশিরভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের, যারা বিপুল অর্থ ব্যয় করে আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
৭ মাস আগে
আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না এটা এখন বাস্তবতা।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী তা গ্রহণ করা হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সত্য এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ কখনই তাদের মতামত প্রকাশ করতে এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার কোনো স্থান নেই, এটি সারা বিশ্বে এখন স্বীকৃত।
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণরূপে স্বৈরাচারী শাসকের হাতে, তাই গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এখানে সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারা বিশ্বে যারা স্বাধীন সংবাদপত্র, গণতন্ত্র এবং ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, , তারা সবাই এক বাক্যে বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মুক্ত সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, কারণ ভিন্ন মতামত সহনশীল করার মানসিকতা সরকারের নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (সরকার) একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার এবং বাঁচার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপি বাংলাদেশে মানবাধিকার চর্চার ওপর মার্কিন প্রতিবেদনের প্রশংসা করেছে। দলটি বলেছে, এই প্রতিবেদনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম এবং 'চরম দুঃশাসন' তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ সরকারের হাতে থাকা অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেয়া হয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে, বিরোধীদের নির্মূল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘আমি বলতে চাই, এই প্রতিবেদনে আওয়ামী সরকারের অপকর্ম প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রতিবেদনটি আরও পরামর্শ দেয় যে সরকার হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করেও কোনও অপকর্ম এবং চরম দুঃশাসনকে ধামাচাপা দিতে পারেনি,’ বিএনপি নেতা বলেছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন।
এই প্রতিবেদনে অধিকার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কঠোর এবং জীবন-হুমকিপূর্ণ কারাগারের অবস্থা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে গুরুতর সমস্যা এবং গোপনীয়তার সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনি হস্তক্ষেপ।
সরকার অবশ্য বুধবার মার্কিন প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখান করে বলেছে, মার্কিন প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা কিছু ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গুম, নিপীড়ন বন্ধে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: ফখরুল
রিজভী বলেন, রাতভর ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে কবর দিতে দেশের আইন আদালতকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করেছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান, যিনি একেবারেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাকেও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারের প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি কাল্পনিক মামলায় জড়ানো হয়েছে।
‘বেগম খালেদা জিয়া সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিভ্রান্ত নয়,’ রিজভী বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার যতই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করুক না কেন অন্যায়, দুঃশাসন ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
২ বছর আগে