লাইটার
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্যবাহী একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। ‘দেলোয়ার আল বাহার’- নামের এই লাইটার জাহাজটি বুধবার (১৪ জুন) রাতে বৈরি আবহাওয়া কারণে তলা ফেটে ডুবে যায় বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার বিকালে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটি ছোট লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। কেউ হতাহত নেই, ডুবে যাওয়ার জায়গাটি আমরা চিহ্নিত করে রেখেছি। বন্দরে জাহাজ চলাচলের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
কোস্টগার্ড সদরদপ্তরের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার মো. আশিকুর রহমান জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ১৩ জন নাবিক ছিলেন। আশপাশের লাইটার জাহাজগুলো তাদের উদ্ধার করেছে।
তিনি বলেন, বহির্নোঙরে আলফা এ্যাঙ্করেজ এলাকায় ‘এমভি দেলোয়ার আল বাহার’ নামের লাইটার জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এসময় বৈরি আবহাওয়া ছিল। জাতীয় জরুরি সেবা থেকে সকল পেয়ে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ ‘মেটাল শার্ক’কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এর আগেই ডুবে যাওয়া জাহাজের ১৩ জন নাবিককে উদ্ধার করে আশপাশের লাইটারগুলো।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ নদীপথে চলার জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেয় জাহাজটি। কিন্তু নিয়ম ভেঙে লাইটার জাহাজটি সমুদ্রপথে চলছিল।
আরও পড়ুন: মোংলায় সারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
মেঘনায় তেলবাহী জাহাজডুবি: ৩ দিনেও শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ, আরও তদন্ত কমিটি গঠন
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
মেঘনায় ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু
ভোলার মেঘনা নদীতে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেলসহ ডুবে যাওয়া সাগর নন্দিনী-২ এর উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে দুটি উদ্ধারকারী বার্জ জোহুর ও হুমায়ারা দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। সকাল থেকে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ, ডুবুরির সমন্বয় একটি টিম এ উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। তবে উদ্ধার করতে কতো সময় লাগবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জোয়ার- ভাটার ওপর নির্ভর করে ও জাহাজের ভিতর জ্বালানি তেল থাকায় উদ্ধার কাজে সময় কিছুটা বেশি লাগবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ।
আরও পড়ুন:মেঘনায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানিসহ ডুবল জাহাজ
অপরদিকে মেঘনা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ায় মাছের মৃত্যু আশংকা রয়েছে। জেলেরা বলছে, ইতোমধ্যে তারা দুই চারটি অল্প পরিমাণ মরা মাছ ভাসতে দেখেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক মো. শাজাহান মো. জানান, বুধবার দুপুরের পর থেকে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিমজ্জিত তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। নদীতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে উদ্ধার কাজ চলছে। এক্সক্লুসিভ মেটিরিয়াল থাকায় কোন ঝুঁকি নেয়া হচ্ছে না। এর জন্য সময় বেশি লাগছে। ওই জাহাজের ভিতরে থাকা তেল আগে উদ্ধার করা হবে। তবে আগামী রবিবারের মধ্যে উদ্ধার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
নদীর তীরবর্তী মাছ ধরা জেলেরা জানান, তেলের জাহাজডুবির পর প্রথম দুই তিন দিন ওই এলাকার পানিতে তেল ভাসতে দেখা গেছে। তেলের ঝাঝালো গন্ধে জেলেরা মাছ ধরতে পারেনি। নদীর পানি ব্যবহার করা যায়নি।তবে এখন আর নদীতে তেল ভাসতে দেখা যাচ্ছে না। নদীর পানিও স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
জেলে হোসেন জানান, তিনি গত পরশু মেঘনা নদীতে দুই চারটি ছোট ছোট ইলিশ ও পোয়া মাছ মরা ভাসতে দেখেছেন।
জেলেরা আরও জানান, এখনও ওই এলাকার নদীতে মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এরশাদ বলেন, নদীতে যে পরিমাণ তেল ভাসতে দেখা গেছে, তাতে এখনও তুলনামূলক ক্ষতি দেখছেন না।
আরও পড়ুন:মেঘনায় তেল ছিটকে পরিবেশ বিপন্ন, ৩৬ ঘণ্টা পরও উদ্ধার হয়নি জাহাজ
এদিকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি দল ল্যামট মেশিন বোট দিয়ে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে নদী থেকে তেল অপসারণের কাজ আজও চলমান রয়েছে বলে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদ উল্লাহ জানান, নদীর পানিতে তেল ছড়িয়ে পড়ায় ছোট ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন মাছ, মাছের ডিম, রেনুসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন মাছ, মাছের পোনা কিংবা জলজ প্রাণী মারা গেছে বলে এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি।
ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তোতা মিয়া সাংবাদিকদের জানান, মেঘনা নদীতে জাহাজ ডুবিতে মেঘনা নদীতে বিপুল পরিমাণ তেল ছড়িয়ে পড়েছে। সেই তেলযুক্ত পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। এখনও নমুনার বিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ভোর রাতে চট্রগ্রাম থেকে ১১ লাখ লিটার তেল নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল পদ্মা ওয়েল কোম্পানির সাগর নন্দিনী-২ নামের একটি জাহাজ ঘন কুয়াশার কারণে সেটি ভোলার তুলাতলী মাঝের চর পয়েন্টে অপর একটি জাহাজের সঙ্গে থাক্কা লেগে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় তেলবাহী জাহাজডুবি: ৩ দিনেও শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ, আরও তদন্ত কমিটি গঠন
১ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে সাড়ে ৬ কোটি টাকা মূল্যের গম নিয়ে ডুবে যাচ্ছে লাইটার জাহাজ
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার কাঁচপুর যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে তলা ফেটে ডুবতে বসেছে আমদানিকৃত গমসহ একটি লাইটারেজ জাহাজ। জাহাজটিতে কানাডা থেকে আমদানি করা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা মূল্যের গম রয়েছে।বুধবার ভাসানচরের কাছে এমভি তামিম নামের জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। জাহাজটিতে প্রায় সাত কোটি টাকার গম রয়েছে।বুধবার বিকেলে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশফাক বিন ইদ্রিস বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা কানাডা থেকে গম নিয়ে আসা এমভি প্রোপেল গ্রেস থেকে ১৬শ’ টন গম নিয়ে ঢাকার মেসার্স নবী অটো ফ্লাওয়ার মিলের উদ্দ্যেশে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর যাচ্ছিল এমভি তামিম। বুধবার দুপুরের দিকে ভাসানচরের কাছাকাছি এলাকায় জাহাজটির তলা ফুটো হয়ে যায়। এতে জাহাজের একটি হেজে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ১২ জন নাবিক ও শ্রমিক জাহাজটিতে অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: সন্দ্বীপ চ্যানেলে সিমেন্টবাহী লাইটার জাহাজ ডুবি
এমভি তামিম নামের লাইটার জাহাজটি চট্টগ্রামের সমতা শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকের অধীন পরিচালিত হতো। তবে জাহাজটিকে টেনে তীরের দিকে আনার জন্য আরেকটি জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশফাক বিন ইদ্রিস বলেন, বঙ্গোপসাগরে কোনো জাহাজডুবি ঘটেনি। তবে এমভি তামিম নামের লাইটারেজ জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢোকার খবর পেয়ে আমরা জাহাজটি পরিদর্শন করে এসেছি। শ্রমিকরা জাহাজটিতেই অবস্থান করছেন। জাহাজটির অপারেশনাল দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তাদের আরেকটি জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছে। জাহাজটি এমভি তামিমকে টেনে তীরের দিকে নিয়ে যাবে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, সাগরে ডুবে থাকা অদৃশ্য কোনো বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এমভি তামিম জাহাজের সামনের হেজ ফেটে যায়। এতে পানি ঢুকে ভারসাম্য হারিয়ে জাহাজটি ডুবতে শুরু করে।সমতা শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, চলার পথে পানির নিচে অদৃশ্য বস্তুর সঙ্গে লেগে জাহাজের সামনের হেজ ফেটে যায়। এ সময় হেজে পানি ঢুকে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে ডুবে গেছে পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ
মোংলা বন্দরে লাইটার জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ৩
২ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজডুবি, ১২ নাবিক নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরের নোয়াখালী ভাসানচর এলাকায় একটি ‘সজল তন্ময়-২’ নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। এসময় ডুবে যাওয়া জাহাজটির ১২ নাবিক নিখোঁজ হয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাসানচর থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে সজল তন্ময়-২ জাহাজটি ডোবে বলে জানায় কোস্টগার্ড।বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজডুবি: নিখোঁজ ৮
তিনি বলেন, নোয়াখালীর ভাসানচরের অদূরে সজল তন্ময়-২ নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। এতে জাহাজের ১২ জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন। কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।কোস্টগার্ডের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জাহাজটি কি কারণে ডুবেছে সেটি এখনো আমরা জানতে পারিনি। তবে সাগর কিছুটা উত্তাল আছে। জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে জানানো হয়। ভাসানচরের কাছে আমাদের যে জাহাজ ছিল সেটাকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আমরা জানতে পেরেছি, জাহাজের ১২ জন নাবিক নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।’
ঘটনাস্থলে কোস্টগার্ডের টিমও পৌঁছেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে কয়লাবাহী লাইটার জাহাজডুবি
মোংলায় পাথরবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি: ১০ নাবিক জীবিত উদ্ধার
২ বছর আগে