এয়ার কন্ডিশনার
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালুর পূর্বে যে সতর্কতা জরুরি
বছর জুড়ে গরমের তুলনায় শীতের আধিক্য যারপরনাই কম। এরপরেও ঠান্ডা মৌসুমে একটানা বেশ কিছু দিন যাবত এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বন্ধ থাকে। এই স্বল্প বিরতির পর গ্রীষ্মের শুরুতে এসি চালু করার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। অন্যান্য বৈদ্যুতিক ও গৃহস্থালির যান্ত্রিক আসবাবপত্রের মতো এসিরও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সেখানে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে খুটিনাটি ত্রুটির অবকাশ থাকে। বন্ধ থাকা এসির ভেতরে জমে যাওয়া ধুলোবালির স্তর ও ছত্রাকের কারণে হতে পারে শাসকষ্ট। এমনকি রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের ঝুঁকি। চলুন, উষ্ণ মৌসুমের শুরুতে স্বাস্থহানী ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে এসি ব্যবহার নিশ্চিত করতে জরুরি বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এয়ার কন্ডিশনার নিরাপদে চালানোর জন্য ১০টি করণীয়
.
ইভাপোরেটর কয়েল ও ব্লোয়ার মোটর নিরীক্ষণ
এই সরঞ্জাম দুটি থাকে এসি সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ ইউনিটে। অনেক দিন বন্ধ থাকার ফলে ইভাপোরেটর কয়েলে ময়লা জমে থাকলে তাপ স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
ব্লোয়ার মোটরে ময়লা জমলে এটি সঠিকভাবে ঘুরতে পারে না। ফলে সিস্টেমের উপর এটি অতিরিক্ত চাপ ফেলে।
সামগ্রিক ভাবে এমন পরিস্থিতি এসির কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরবর্তীতে বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এসি ছাড়ার পূর্বে এই সরঞ্জামগুলো যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া আবশ্যক।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
ডাক্ট, ভেন্ট এবং এয়ার ফিল্টার পরীক্ষা
শীতল বায়ু ডাক্ট ও ভেন্টের মাধ্যমে ঘরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছায়। দিনের পর দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে এগুলোতে ধুলো, ময়লা বা ছাঁচ জমে যায়। এগুলো এসির বাতাসকে বিষাক্ত করে, যা অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
এয়ার ফিল্টার এসির বায়ু থেকে ধুলো, ময়লা এবং অন্যান্য কণাকে ফিল্টার করে। আর এই ফিল্টারেই ময়লা জমে যাওয়া মানে বাতাসের গুণমান কমে যাওয়া। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ময়লার আস্তর জমে ফিল্টার বন্ধ হয়ে বায়ুপ্রবাহেও বাধা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ময়লা ফিল্টার ব্যাকটেরিয়া ও ছাঁচের বৃদ্ধি বাড়ায়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এগুলো অপরিষ্কার রেখে এসি ব্যবহার করা একদমি উচিত নয়।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করা
এসির বাইরের ইউনিটে থাকা এই সরঞ্চামটি তাপ স্থানান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসির দীর্ঘ সময়ের নিষ্ক্রিয়তায় এই কয়েলেও ধুলো, ময়লা বা আবর্জনা জমা হতে পারে। এর ফলে গোটা কন্ডেন্সারসহ কম্প্রেসরের উপরও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ক্রমান্বয়ে এটি সিস্টেমের আয়ু কমিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে ব্যয়বহুল মেরামতের প্রয়োজন পড়ে।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করার জন্য নরম ব্রাশ বা কম প্রেশারের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা নিরীক্ষণ
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত যে তরল বা গ্যাসীয় পদার্থটি এসির মধ্যে তাপ স্থানান্তরিত করে তার নাম রেফ্রিজারেন্ট। সঠিক সময়ে পরিষ্কারের দীর্ঘসূত্রিতায় রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় এসি ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চললেও ঠান্ডা বাতাস তৈরি করতে পারে না।
এমন পরিস্থিতিতে কন্ডেন্সার ও কম্প্রেসর উভয়েই অতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন হয়। এমনকি এতে অন্যান্য যন্ত্রাংশও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
রেফ্রিজারেন্ট লিকের ফলে অনেক সময় এসির অদ্ভূত শব্দ করে। তাই এসি চালানোর সময় যে কোনও অস্বাভাবিক শব্দকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
এর বাইরে রেফ্রিজারেন্ট লেভেল যাচাইয়ের কাজটি নিজে করা কঠিন। তাই এক্ষেত্রে সরাসরি পেশাদার ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হওয়া উচিত। উপরন্তু, মাত্রা কম থাকলে তা বাড়ানোর জন্যও তাদেরকেই ডাকতে হবে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
কম্প্রেসর পরীক্ষা করা
এসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটির কাজ হচ্ছে রেফ্রিজারেন্টকে সংকুচিত করে শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা। তাই এই কার্যটি সঠিক ভাবে সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা নিতান্তই জরুরি।
কম্প্রেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে বা এর মধ্যে অস্বাভাবিক শব্দ হলে বুঝতে হবে এতে সমস্যা আছে। এই সমস্যা এড়াতে কম্প্রেসরের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি, আর এর জন্য একজন পেশাদারের প্রয়োজন পড়বে।
থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যাচাই করা
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ার আরও একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র থার্মোস্ট্যাট, যেটি মূলত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য এসির একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এর কমবেশি হলে নিয়মিত ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না। তাই থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যথাযথ হওয়া জরুরি।
ভুল সেটিংস দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর দরূণ ভবিষ্যতে ঘন ঘন মেরামতেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। আর বারবার মেরামত মানেই অতিরিক্ত খরচের ধকল।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরীক্ষা
এসি সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট পাওয়ার লাইন ও সার্কিট ব্রেকার ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা জরুরি। ভোল্টেজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তারতম্য ঘটা সিস্টেমে সঠিক বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা আরোপ করতে পারে। সার্কিট ব্রেকার পাওয়ার লাইনকে ব্যাকআপ দিতে না পারলে পুরো যন্ত্রের ভয়াবহ ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা থাকে।
প্রায় সময় ঘরের ভেতরে যন্ত্রকে পরিপাটি করে রাখা হলেও বাইরে অংশে একদমি ভ্রূক্ষেপ করা হয় না। চোখের আড়ালে থাকায় এই যন্ত্রাংশটির কথা অনেকেই এড়িয়ে যান। অথচ এর আশেপাশে অনুপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনার দিকে ধাবিত করতে পারে।
তাই বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে রুটিন মেনে এই আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় যন্ত্র সংলগ্ন জায়গাগুলো পরিষ্কার করা উচিত।
প্রথমবার ফ্যান মুডে চালানো
অনেক দিন বন্ধ থাকা এসি প্রথম চালোনার সময় সরাসরি কুলিং মুডে দেওয়া উচিত নয়। কেননা এতে সিস্টেমের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটির কারণে যান্ত্রিক গোলযোগের দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
আগে ফ্যান মুডে চালিয়ে সিস্টেমের ভেতরে জমে থাকা আর্দ্রতা শুকিয়ে নিতে হবে। ফ্যান মুডে এসি শুধু সিস্টেমের আভ্যন্তরীণ ফ্যানটি চালায়। এতে ময়লা বা ছাঁচের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বাতাসের গুণমান উন্নত করে। কয়েক ঘন্টা ফ্যান মুডে রাখার পর কুলিং মুডে সুইচ করা যেতে পারে।
টেস্ট রান
গরমের শুরুতে প্রথম এসি চালুর উদ্দেশ্য হতে হবে টেস্ট রান। শীতল হওয়ার উদ্দেশ্যে এসি ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করা যাবে না। বরং এই টেস্ট রানের পুরোটা সময় মনোন্নিবেশ এসির দিকে রাখতে হবে।
সূক্ষভাবে খেয়াল করতে হবে কোনও অস্বাভাবিক শব্দ আসছে কিনা, বায়ুপ্রবাহ কিভাবে হচ্ছে, এবং সারা ঘর ঠান্ডা হতে কেমন সময় লাগছে। কোনও অসংলগ্নতা দেখা দিলে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। কোনও কিছু নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরাসরি বিশেষজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হতে হবে।
পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া
উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো ব্যাপারে যথাযথ নিশ্চিত হয়ে তবেই নিজে নিজে এসি যাচাইয়ের দিকে যাওয়া উচিত। কারিগরি বিষয়গুলোর বোঝাপড়া নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে সর্বোত্তম পন্থা হলো পেশাদারদের দ্বারস্থ হওয়া। নতুবা না বোঝার কারণে অসাবধানে যে কোনও ভুলে হিতে বিপরীত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
রক্ষণাবেক্ষণের পুরো সময়টাতে টেকনিশিয়ানের সাথে থেকে সব বুঝে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কি সমস্যা হয়েছিলো, কেন হয়েছিলো, এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের সমস্যা এড়াতে করণীয়সমূহ তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রথমে যে কোম্পানির নিকট থেকে এসিটি কেনা হয়েছিলো তাদেরকে কল করা উত্তম। তারা তাদের নিজস্ব পণ্যের ব্যাপারে জানে এবং একই ধরণের ত্রুটির সমাধান অন্যান্য গ্রাহকদেরও দিয়ে থাকে। তাই তাদের কাছ থেকে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ পরিষেবাটি পাওয়া যাবে। গ্যারান্টি ও পার্ট্স ওয়ারেন্টি থাকলে বিনামূল্যে সেবার ও পার্ট্স বদলে দেওয়া হবে। আর গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি না থাকলে সেবার জন্য নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত টেকনিশিয়ানরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। যন্ত্রের যে কোনও সমস্যার ব্যাপারে তারা স্বপ্রণোদিত হয়েই গ্রাহকদের যাবতীয় জিজ্ঞাসার জবাব দিয়ে থাকে।
শেষাংশ
গরমের শুরুতে এয়ার কন্ডিশনার চালনার আগে এই সতর্কতাগুলো অনুসরণ করা মানে নানা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাওয়া। এসির বাইরের ও ভেতরের প্রতিটি সরঞ্জাম সূক্ষ্মভাবে পরিদর্শন করা অপরিহার্য। ডাক্ট ও ভেন্ট থেকে শুরু করে কম্প্রেসার পর্যন্ত যে কোনওটিতে কিঞ্চিত ত্রুটি পরবর্তীতে সমূহ ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। সরঞ্জামগুলো পরিষ্কারের পর উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে ফ্যান মুডে চালিয়ে একবার টেস্ট রান করে দেখা। উপরুন্তু, যান্ত্রিক বিষয়াদি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলে পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উত্তম।
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
২০ দিন আগে
এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
বিশ্বব্যাপী উষ্ণতায়নের নিরন্তর প্রভাব বিস্তারে বিলাসবহুল এসি বা এয়ার কন্ডিশনার পরিণত হয়েছে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পণ্যে। ফ্যানের নিচে থেকেও ঘর্মাক্ত কলেবর অবস্থাটা এখন নিত্যদিনের প্রতিচ্ছবি। লোডশেডিংয়ের শহরে এসির শতভাগ সুবিধা পাওয়া নিয়ে মুশকিলে পড়তে হয়। এছাড়া মাস শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিলের চাপ তো আছেই। এরপরে কয়েক মাস পর পর মেরামতের হয়রানি। একদিকে প্রচন্ড গরমে ডিহাইড্রেশন সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়, আরেক দিকে কৃত্রিম ঠান্ডা বাতাসের সাথে মানিয়ে নিতে না পারার কারণে নানা শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি। সর্বোপরি স্বাস্থ্যের প্রতি হুমকিটা থেকেই যাচ্ছে। এ অবস্থায় চলুন জেনে নেয়া যাক- এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই কিভাবে ঘরকে ঠান্ডা রাখবেন।
গ্রীষ্ম ঋতুতে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে এয়ার কন্ডিশনার-এর বিকল্প উপায়সমূহ
ঘরের ভেতর গাছ রাখা
ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই কাজটি অনেকেই করে থাকেন। অনেকেরই বারান্দায় ছোট বাগান করার শখ থাকে। ঘরের ভেতর জানালার কাছে বা বারান্দায় এভাবে গাছ রাখা হলে তা বাইরের গরম তাপ শুষে নেয়। তাছাড়া গাছগুলো সারা ঘরের শোভাবর্ধনও করে। এগুলোর মধ্যে মানিপ্লান্ট, স্নেক প্লান্ট, অ্যালো ভেরা, এবং অ্যারিকা পাম বেশ জনপ্রিয়। তবে কারো উদ্ভিদে অ্যালার্জি থাকলে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আগে থেকেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেয়া উত্তম।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
তাছাড়া গাছ শুধু রাখলেই হবে না, এর যথাযথ পরিচর্যাও করতে হবে। ঘরের ভেতর রাখা এই গাছগুলো সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার জন্য ঘরের গরম বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। এতে বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে উষ্ণতা হ্রাস পেয়ে ঘরে ঠান্ডা ভাব বজায় থাকে। সম্ভব হলে বাড়ির বাইরের দিকেও গাছ লাগানো উচিত। এতে করে বাইরের যত গরম তাপ বাড়ির দেয়ালের বাইরে অংশেই রয়ে যায়। অন্যদিকে ঘরের ভেতরটা শীতল থাকে।
১০৭৯ দিন আগে