গরম
তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই, চুয়াডাঙ্গায় বসন্তেই গ্রীষ্মের আঁচ
চলছে বসন্ত; গ্রীষ্ম আসতে এখনও বাকি অন্তত দুই সপ্তাহ, এর মধ্যেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৮ শতাংশ থাকায় গরমের অনুভূতি আরও বেড়েছে।
রমজানের শেষ পর্যায়ে এসে এমন তীব্র গরমে নাকাল জেলার সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে রোজাদারদের কষ্ট বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। কেউ কেউ শরীরে দুর্বলতা অনুভব করছেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ভুগছেন বেশি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘রোজা রেখে এই গরম সহ্য করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুপুরের পর বাইরে বের হওয়া যায় না। গরমে মাথা ঘুরছে, শরীরও দুর্বল লাগছে।’
নিম্ন-আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট আরও বেশি। চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাম না প্রকাশ করতে চাওয়া এক রিকশাচালক বলেন, ‘কাজ না করলে খাবার জুটবে না, কিন্তু এই গরমে রোজা রেখে রিকশা চালানো খুব কষ্টকর; গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে পারদ বেড়ে যাচ্ছে।’
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গরমের কারণে শহরের রাস্তাঘাট তুলনামূলক ফাঁকা। অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে দিনমজুর, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রোদ-গরম উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলার কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, ‘বাজারে ক্রেতা কম আসছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ বের হচ্ছে না। আমরা তো ঘরে বসে থাকতে পারি না, বিক্রি না করলে সংসার চলবে কীভাবে?’
প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাস ও রেল স্টেশনেও যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
২১ দিন আগে
মেহেরপুরে মাঠে কাজ করার সময় গরমে কৃষকের মৃত্যু
মেহেরপুর গাংনীতে মাঠে কাজ করার সময় তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে সিরাজ মন্ডল নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর দিকে নিজের জমিতে কাজ করার সময় এই ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ি ফেরার পথে একজনের মৃত্যু
সিরাজ মন্ডলের বাড়ি গাংনী উপজেলার আকুবপুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার নিজ জমিতে কাজ করছিলেন কৃষক সিরাজ মন্ডল। এসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জোবাইদা ফারজানা বলেন, সিরাজ মন্ডল চিকিৎসা দেওয়ার সময় মারা গেছেন। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
৩২৮ দিন আগে
এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
গ্রীষ্ম; দীর্ঘ ছুটি, উদ্বেল সৈকত আর সোনালি রোদ গায়ে মাখার সময়। দারুণ এই সময়টার জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষায় থাকি, তবে গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় ভীতি হলো সানট্যান।
চমৎকার এই ঋতুর পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের রোদেপোড়া ত্বক নিয়ে ভুগতে হয়। সেজন্য সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা অপরিহার্য।
আর চিন্তা করবেন না, আমাদের কাছে সেরা কিছু টিপস আছে, যা দিয়ে আপনি এই গ্রীষ্মে ট্যানিং এড়াতে পারবেন:
পিক আওয়ারে সূর্য এড়িয়ে চলুন:
গ্রীষ্মে বাইরে যাওয়ার সেরা সময় হল সন্ধ্যা। সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সূর্য যখন সর্বোচ্চে তাপ ছড়ায়, তখন বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি যেতেই হয় যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে শরীরে ট্যানড হওয়ার এবং রোদে পোড়া হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জ্বলন্ত সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছায়ায় থাকুন।
সানস্ক্রিন আবশ্যক:
বাইরে যাওয়ার সময় সবচেয়ে ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো সানস্ক্রিন লাগানো। মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করুন এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পুনরায় লাগান।
যদি ৫০+ নাও হয়, তাহলে অন্তত এসপিএফ ৩০+ সানস্ক্রিন বেছে নিন। দিনের বেলা নিজেকে রক্ষা করার জন্য এসপিএফযুক্ত লোশন, লিপবাম ও আইক্রিম লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
হাইড্রেটেড থাকুন:
হাইড্রেটেড থাকা ট্যানিংয়ের প্রভাব কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতি। বাইরে চলাফেরা করার সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।
প্রতিদিন ১৫-২০ গ্লাস পানি পান করা ট্যানিং প্রতিরোধে সহায়তা করে। পানি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতে বাধা দেয় এবং এটিকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
পারফিউম এড়িয়ে চলুন:
বাইরে থাকার সময় রোদে কড়া গন্ধের পারফিউম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পারফিউম ত্বকে লাগালে এটি সূর্যের তাপে আরও কড়া হয় এবং ত্বক আরও ট্যান হয়ে যায়। এর বদলে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন- গোলাপ জল বা একটি ভাল রিফ্রেশিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
ছাতা, সানগ্লাস ও আচ্ছাদিত পোশাক:
সূর্যের আলোতে বের হওয়ার সময় ছাতা ও সানগ্লাস আবশ্যক।
হাতে ছাতা নিয়ে ইউভি -সুরক্ষিত সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢেকে রোদে বের হোন।
এছাড়াও, গা ঢেকে রাখে এমন পোশাক পড়ুন। হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার:
স্বাস্থ্যকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের জন্য সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আপনার ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে সুস্থ ও পুষ্ট রাখার সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনাকে সুস্থ ত্বক অর্জনে সহায়তা করে।
টমেটো, বেরি, ব্রকলি ও অলিভ অয়েল ইত্যাদি সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে দারুণ সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়
চুলের যত্নে তেলের বিকল্প নেই
৬৯৩ দিন আগে
গরমে শরীর সতেজ রাখতে আইস-টি
চায়ের কোনো ঋতু নেই! তবে এই গ্রীষ্মে প্রাত্যহিক পানের গরম চায়ের পরিবর্তে শীতল, সতেজ ও সুস্বাদু আইস-টি খেতে পারেন। আইসড-টি আপনার শরীর ও মনকে চাঙ্গা ও রিফ্রেশড রাখতেও সহায়তা করে।
বর্তমানের সর্বাধিক জনপ্রিয় কয়েকটি আইস-টি হলো-
ব্ল্যাকবেরি আইসড চা
ফ্রেশ বা ফ্রোজেন ব্ল্যাকবেরি দিয়ে এই চা বানাতে পারেন। প্রথমে মিষ্টি ব্ল্যাকবেরিগুলো ব্লেন্ড করে নিন, তারপরে পুদিনা ও বেকিং সোডার সঙ্গে মেশান। এরপর পাত্রে পানি গরম করে তাতে চা পাতা দিয়ে ২/৩ ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে তাতে ব্ল্যাকবেরির মিশ্রণ মেশান। স্বাদ অনুযায়ী চিনি বা মধু মিশিয়ে ১ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশন করার আগে প্রয়োজনে পানি মিশিয়ে ঠাণ্ডা কমান।
আইসড পুদিনা চা
চায়ে পুদিনা পাতা দিলে সত্যিই দারুণ স্বাদ পাওয়া যায়। পাত্রে পানির মধ্যে পুদিনা পাতা দিয়ে ১৫ মিনিট ফোটান, এরপর চা পাতা দিয়ে ২/৩ ফোটান। এবা চা ছেঁকে নিয়ে তাতে স্বাদমতো চিনি বা মধু মেশান। কিছুটা ঠান্ডা হলে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলেই আইসড পুদিনা চা তৈরি।
তবে আপনি যদি হালকা পুদিনা স্বাদ পছন্দ করেন, তবে পুদিনা পাতা ৫ মিনিট পানিতে দিয়ে ফোটান, এরপর তুলে ফেলুন। এরপর চা পাতা দিয়ে ২/৩ মিনিট পর চা ছেঁকে নিন। এতে স্বাদ অনুযায়ী চিনি বা মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
তরমুজ ও তুলসী আইসড চা
গ্রীষ্মে আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ভুলবেন না। গরম আবহাওয়ায় বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয় আপনাকে সতেজ রাখবে এবং আপনার তৃষ্ণা নিবারণ করবে। এক্ষেত্রে তরমুজ ও তুলসীর আইসড চা খুবই উপকারী। তরমুজ বিভিন্ন রিফ্রেশিং পানীয় তৈরির উপাদান হিসেবে বহুল সমাদৃত।
এই চা বানানোর জন্য তরমুজের টুকরোগুলোকে ব্লেন্ড করে নিন। পাত্রে পানি ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে তাতে গ্রিন টি ব্যাগ ও পুদিনা পাতা দিন ও ৩/৪ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর টি ব্যাগ ও পুদিনা পাতা ছেঁকে নিয়ে স্বাদমতো চিনি বা মধু মেশান।এরপর চায়ের সঙ্গে তরমুজের পেস্ট মিশিয়ে ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বীজ সরাতে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। পুদিনা তরমুজ আইসড চা পরিবেশন করুন বরফের কিউব দিয়ে।
হিবিস্কাস (জবা ফুল) আইসড-টি
হিবিস্কাস (জবা ফুল) চা গ্রীষ্মে প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার একটি দারুণ পানীয়। লাল রঙ ও সতেজ স্বাদের জন্য এই চা বিখ্যাত। এই চা পুষ্টিকর ও রক্তচাপ কমায়।
চায়ের কাপে জবা ফুলের পাঁপড়ি নিন। এর মধ্যে গরম পানি ঢেলে ৫/৭ মিনিট রাখুন। এরপর ছেঁকে নিয়ে স্বাদমতো চিনি বা মধু মিশিয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। আপনার আইসড-টি পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
লেবু পানি আইসড চা
এই গরমে আপনাকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে এটি একটি দারুণ পানীয় লেবু পানি আইসড চা। সহজলভ্য উপাদান ব্যবহৃত হওয়ায়, আপনি চাইলে প্রতিদিন এটা পান করতে পারেন।
গরম পানিতে চা পাতা দিয়ে ৫ মিনিট ফোটান। এরপর ছেঁকে নিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করুন এবং তাতে লেবুর রস ও স্বাদমতো চিনি বা মধু মেশান। তারপর এটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পান করুন।
আরও পড়ুন: মধু দিয়ে মজাদার পাঁচ পদ
৬৯৬ দিন আগে
আগামী ৩ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায় দেশে প্রচণ্ড গরম থেকে তাৎক্ষণিক স্বস্তির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা ইউএনবিকে বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই এবং চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনের মতো দেশের কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ও সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় সৈয়দপুরে।
অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার সকালে ঢাকা চতুর্থ
৭৩৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ; চুয়াডাঙ্গায় টানা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অঞ্চলের জনজীবন। এ অবস্থায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে অনেকটা। তাই ছেদ পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়। এছাড়া তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত।
শনিবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
গত কয়েক দিন ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রা আটকে থাকলেও আজ সেটা ৩৮-এর ঘরে পার করে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। শুক্রবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটাই পঞ্চম দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
৭৪১ দিন আগে
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
গরমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। আর তাই গরমে ক্লান্তি ও ডিহাইড্রেটেশন কমাতে আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত, যেগুলো শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে এবং সারাদিন কর্মশক্তি ধরে রাখে। তাই গরমে এই খাবারগুলো হতে পারে আপনার পানিস্বল্পতা দূর করার হাতিয়ার।
৭৬৩ দিন আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার জানিয়েছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ কমতে পারে
এতে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২২ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
৯৬১ দিন আগে
অসহনীয় গরম থেকে সিলেটে স্বস্তি এনেছে বৃষ্টি
অবশেষে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। যা জেলার তাপমাত্রা কমিয়ে এবং প্রচণ্ড গরম থেকে জনজীবনে দুর্ভোগ কমিয়েছে এনেছে।
সিলেটে হঠাৎ বর্ষণ হয়নি কারণ আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশে এমনটি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বৃষ্টি, বন্যার অবনতির আশঙ্কা
বৃহস্পতিবার সিলেটে গত ৬৬ বছরের মধ্যে জুলাই মাসের সবচেয়ে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
৬৪ বছরের মধ্যে জুন মাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের পর জেলাজুড়ে ব্যাপক বন্যার পর এখন সিলেট তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, জেলায় সর্বশেষ ১৯৫৬ সালের জুলাই মাসে এত অধিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বুধবার এই জেলায় তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় এবং মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: সিলেটে জুন মাসে ৬২ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টি
এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে চলমান তাপপ্রবাহ আরও এক বা দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং ৭২ ঘণ্টা পর বৃষ্টি হতে পারে।
১০০৭ দিন আগে
গরমে ঠাকুরগাঁওয়ে কদর বেড়েছে তালশাঁসের
গ্রীষ্মে ফলে ভরা মৌসুমে খেতে সুস্বাদু তালশাঁসেরও চাহিদা রয়েছে। তীব্র গরমে তালশাঁস প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। তবে দেশের অনেক জেলায় তালের চাহিদা বেশি না থাকায় তাল ছোট থাকতেই শাঁস বিক্রির জন্য এগুলো ঠাকুরগাঁওসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে নিয়ে আসে ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, তালশাঁসের চাহিদা প্রচুর থাকায় প্রত্যেক ব্যবসায়ী তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হন। এ বছরও শহরের আমতলীর মোড়ে তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হচ্ছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার খালাতো ভাই নাদিম বগুড়া আদমদিঘি থেকে এসেছি। সেখানে আমরা প্রতি বছর তালের বাগান কিনে থাকি। বাগানে প্রায় ১৩০-১৫০টি তালগাছ থাকে। এক থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাগান কিনে তা থেকে তাল ছোট থাকতেই আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা অনুসারে বিক্রি করে থাকি। এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি। প্রতি পিস বড় তাল ৩০ টাকা ও ছোট তাল ২০ টাকা বিক্রি করছি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো।
শহরের হাজীপাড়া মহল্লার গৃহিণী ক্রেতা শাহনাজ পারভীন বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে এটা পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু ও ভালো লাগে। প্রতি পিস তাল থেকে দুই থেকে তিনটি শাঁস পাওয়া যায়। প্রতি পিস বড় তাল ৩০ টাকা ও ছোটগুলো ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর দামটা একটু বেশি।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
পৌর শহরের টিকাপাড়া মহল্লার ছাত্রী সুবাহ তাহসিন বলেন, তালশাঁস আমাদের পরিবারের সকলে পছন্দ করে। প্রত্যেক আটি গত বছর ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এ বছর ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দামটা আরেকটু কম হলে আরও বেশি পরিমাণে কেনা যেত।
তালশাঁস বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী নাদিম বলেন,বেশ কয়েকদিন হলো বগুড়া থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি। বগুড়ার আদমদিঘি এলাকায় বেশ কয়েকটি তাল বাগান থেকে তাল কিনে এখানে বিক্রি করছি। পর্যাপ্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রচুর ক্রেতা সমাগমও হচ্ছে। প্রতিদিন তাল বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে ৭০০ টাকা লাভ হয়।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল তালশাঁসের উপকারের বিষয়ে বলেন, এটি অনেক ভালো একটি জনপ্রিয় ফল। তালশাঁসে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তালশাঁস পানিশুন্যতা দূর করতে সহায়তা হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে, হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক
এছাড়াও তালশাঁসে ভিটিামিন এ, সি ও বি কমপ্লেক্স রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। সর্বোপরি ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তময় করে তুলতে নিয়ম করে তালের শাঁস খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।
১০৪৬ দিন আগে