নেপাল
বাংলাদেশকে আরও জলবিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী নেপাল
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশকে আরও জলবিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী নেপাল।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নেপালের পরিবেশমন্ত্রী আই বাহাদুর শাহী ঠাকুরি এই আগ্রহের কথা জানান।
বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এছাড়া জানুয়ারিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে অংশ নেবে নেপাল, ভূটান ও বাংলাদেশ। এটি কোথায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এছাড়া ওই বৈঠকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলার প্রশমন, অভিযোজন ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার ওপর জোর দেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বড় দেশগুলোর চেয়ে ছোট দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সক্ষমতা অনেক কম।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় একই। জলবায়ু পরিবর্তন কোনো সীমানা মানে না। এর প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে একই কাজ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
৫ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির চিন্তা করা উচিত: অধ্যাপক ইউনূস
নেপাল ও ভুটানের উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগির জন্য দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘নেপাল মাত্র ৪০ মাইল দূরে হওয়ায় বাংলাদেশ সহজেই জলবিদ্যুৎ আনতে পারে। নেপালের জলবিদ্যুৎও সস্তা হবে,’ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির কথা ভাবতে হবে।
বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সোশ্যাল বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিডের অভাবে হিমালয়ের দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনার বেশিরভাগই অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, তার দেশের ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো বড় দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
আজারবাইজানের রাজধানীতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যা প্রতিরোধ এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পানির সর্বোত্তম ব্যবহারে বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পানি আমাদের প্রধান পরিবেশগত সমস্যা। আমাদের পানি ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করতে হবে যাতে তা প্রকৃতিকে সহায়ক হয় ‘
সামাজিক ব্যবসা সভায় তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুব উন্নয়ন ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ওপরও জোর দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার আগামী জানুয়ারিতে তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করবে। এই আয়োজনে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক টি-টোয়েন্টি বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কপ২৯: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
১ সপ্তাহ আগে
নেপালের অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অজানা ও রহস্যময় জনপদ অন্বেষণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার নাম ট্রেকিং, যেখানে ভাঙতে হয় দুঃসাহসিকতা ও শারীরিক সহনশীলতার বাঁধ। পিলে চমকে দেওয়া উচ্চতায় বিস্তৃত বীথিকাজুড়ে আন্দোলিত হয় ভয়ঙ্কর সুন্দরের উপাখ্যান। নতুন কিংবা অভিজ্ঞ; যে কোনো ট্রেকারের মনেই এই নৈসর্গ সৃষ্টি করে দুর্গমকে আলিঙ্গনের এক অদম্য নেশা। আর ঠিক এ কারণেই অবিস্মরণীয় হিমালয়ের বুকে নেপালের অন্নপূর্ণা পরিণত হয়েছে ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্যে। এই জনপ্রিয় ট্রেকিং গন্তব্য নিয়েই আজকের ভ্রমণ নিবন্ধ। চলুন, অন্নপূর্ণা ভ্রমণের উপায় ও প্রয়োজনীয় খরচ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অন্নপূর্ণার ভৌগলিক অবস্থান
উত্তর-মধ্য নেপালের গন্ডাকি প্রদেশের অন্নপূর্ণা পর্বতশ্রেণীর প্রধান পর্বত অন্নপূর্ণা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৯১ মিটার। এর সুপরিচিত ট্রেকিং অঞ্চলটি হলো ৭ হাজার ৬২৯ বর্গ-কিলোমিটারের অন্নপূর্ণা কন্জার্ভেশন এরিয়া। এখানকার ট্রেকিং রুটগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হলো-
· অন্নপূর্ণা অভয়ারণ্য থেকে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পের রুট
· অন্নপূর্ণা হিমাল ও জমসম রুটসহ অন্নপূর্ণা সার্কিট
· জমসন থেকে জোমসম ও মুক্তিনাথ মন্দিরের রুট
এছাড়াও ঘোরেপানি বা ঘান্ড্রুকের মতো আরও কিছু প্রসিদ্ধ রুট রয়েছে। প্রায় সবগুলো রুটেরই শুরু হয় পোখারা শহর থেকে। বিভিন্ন আকারের হওয়ায় প্রত্যেকটি রুট অতিক্রম করতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ের প্রয়োজন হয়। ন্যূনতম ৩ থেকে ৪ দিন থেকে শুরু করে কোনো কোনো রুটে ২ সপ্তাহেরও অধিক সময় লেগে যায়।
আরো পড়ুন: ট্রেকিং, হাইকিং, ক্যাম্পিং ও ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে নিরাপদে থাকার উপায়
নেপালের পর্যটন ভিসা আবেদনের পদ্ধতি
সার্কভুক্ত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নেপালে রয়েছে বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা। মূলত ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য ভ্রমণ করা হলে কোনো ভিসা ফি’র প্রয়োজন হয় না। বিমানবন্দরেই কাস্টম্সের সময় ‘পর্যটন ভিসা’ এবং ‘আগমন কার্ড’-এর জন্য দরকারি ফর্ম পূরণ করা যায়। তবে বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় নেপাল অভিবাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও ভিসার আবেদন করা যায়। এতে করে কাস্টম্সে সময় বাঁচে। ভ্রমণের ন্যূনতম ১০ দিন আগে থেকে আবেদন জমা দেওয়া যায়।
আবেদনের লিংক: https://nepaliport.immigration.gov.np/on-arrival/IO01
এই পর্যটন ভিসার আবেদনের জন্য যে নথিপত্র লাগবে, তা হচ্ছে-
· নেপালে পৌঁছার দিন থেকে কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকা বৈধ পাসপোর্ট
· সম্পূর্ণ পূরণ করা ভিসা আবেদন ফর্ম
· সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড)
বিমানবন্দরে অভিবাস সংক্রান্ত কাজের সময় সঙ্গে রিটার্ন টিকেট, নেপালে হোটেল বুকিংয়ের কাগজ, এবং পাসপোর্ট রাখতে হবে।
এরপর ট্রেকিংয়ের জন্য অতিরিক্ত পার্মিট নিতে হবে। একটি এসিএপি (অন্নপূর্ণা কন্জার্ভেশন এরিয়া প্রোজেক্ট) অফিস থেকে এসিএপি পার্মিট। এর জন্য পাসপোর্ট আর ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগে। পার্মিট ফি ১ হাজার নেপালি রুপি বা ৮৮৯ টাকা (১ নেপালি রুপি = ০ দশমিক ৮৯ বাংলাদেশি টাকা)।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে- টিআইএমএস (ট্রেকিং ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) কার্ড, যার জন্য খরচ হবে আরও ১ হাজার রুপি (৮৮৯ টাকা)।
আরো পড়ুন: এভারেস্টজয়ী ৬ বাংলাদেশি: লাল-সবুজের পতাকা হাতে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের অনুপ্রেরণা
অন্নপূর্ণা ভ্রমণে কি কি দেখবেন
রাজকীয় পর্বতমালার পটভূমিতে এখানে রয়েছে অবারিত রডোডেনড্রন বন, আলপাইন তৃণভূমি ও হিমবাহ উপত্যকা। চোখে পড়ে তুষার চিতাবাঘ, নীল ভেড়া ও দুর্লভ প্রজাতির পাখি। অনন্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিরূপে বহুকাল ধরে এখানে বসবাস করছে গুরুং, থাকালি ও মানাঙ্গির মতো সম্প্রদায়গুলো। ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় জন কোলাহলের গ্রামগুলোতে দেখা যায় প্রাচীন মঠের মতো নানা ধর্মীয় স্থান।
তন্মধ্যে ঘোরেপানি গ্রামের কাছাকাছি অবস্থিত পুন হিল অন্নপূর্ণা ও ধৌলাগিরি রেঞ্জ সূর্যোদয় দর্শনের জন্য বিখ্যাত।
তিব্বতি শৈলীতে প্যাগোডার মতো ছাদ ও জটিল কাঠের খোদাইয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিনাথ মন্দির। এখানে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ১০৮টি জলধারা সম্বলিত স্থাপনা মুক্তিধারা। ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে একাধিক চিরন্তন শিখার ‘জ্বালা মাই’।
মন্দিরের পেছনে অভিজাত থুরং লা পাস এবং অন্নপূর্ণা ও ধৌলাগিরি পর্বতমালার তুষারাবৃত শৃঙ্গ।
নার্ফু নদীর পাশে রয়েছে নিঃসঙ্গ অথচ অপরুপ সুন্দর নার্ফু ভ্যালি। মাস্তাঙ জেলার উপরের অংশে পাওয়া যাবে নেপালের প্রাচীন গুপ্ত শহর লো মান্থাংর দেখা। তিলিকো লেকের স্বচ্ছ পানিতে চারপাশের পাহাড়ের প্রতিফলন যেন সম্মোহনের নামান্তর।
ট্রেকারদের যাত্রা বিরতির জন্য জনপ্রিয় স্টপেজ ঘান্ড্রুক গ্রাম, যেখান থেকে পাহাড়ি বীথিকার সবচেয়ে আশ্চর্য রূপটা দেখা যায়।
থুরং লা পাস ধরে ৫ হাজার ৪১৬ মিটার পথ পাড়ি দেওয়ার সময় চোখে পড়ে অন্নপূর্ণা ১, ২, ৩ ও ৪, মানাস্লু, গঙ্গাপূর্ণা ও ল্যাংট্যাং হিমাল।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ের সেরা সময়
অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে শীতকালে প্রায়ই ট্র্যাক বন্ধ থাকে। অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে বসন্তকাল। অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের সময়কে বেছে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া শীতের আগ দিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মৌসুমটাও ভালো।
সরাসরি নেপালের ফ্লাইট এবং হোটেল বুকিং করবেন যেভাবে
অভিবাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য আগাম ফ্লাইট টিকেট এবং হোটেল বুকিং করে নেওয়াটা জরুরি। বিমানের টিকেটের জন্য অনলাইন পোর্টালগুলোর মধ্যে রয়েছে গোজায়ান, ফ্লাইট এক্সপার্ট ও শেয়ার ট্রিপ। এগুলোতে রাউন্ড ট্রিপের বিমান ভাড়া নির্ভর করবে কিছু বিষয়ের উপর যেমন এয়ার লাইনস কোম্পানি, বুকিংয়ের সময়, বিভিন্ন অফার, ইত্যাদি।
শেয়ার ট্রিপ ও গোজায়ানের মাধ্যমে প্রতি রাতের জন্য জনপ্রতি ৬৯৪ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫১৩ টাকার মধ্যে হোটেল বুকিং দেওয়া যাবে।
কাঠমান্ডু ও পোখারার অনেক ট্রাভেল স্টোরে স্লিপিং ব্যাগ ও ডাউন জ্যাকেট ভাড়া পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে স্লিপিং ব্যাগ ভাড়া প্রতিদিনের জন্য ২০০ থেকে ৫০০ রুপি বা ১৭৮ থেকে ৪৪৪ টাকা। অপরদিকে, ডাউন জ্যাকেট ভাড়া দিনপ্রতি ২০০ থেকে ৪০০ রুপির (১৭৮ থেকে ৩৫৬ টাকা) মধ্যে।
আরো পড়ুন: ভিয়েতনাম ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অন্নপূর্ণার সামগ্রিক ভ্রমণ খরচ কেমন হতে পারে
একদম নতুনদের জন্য অন্নপূর্ণা ভ্রমণে গাইড সঙ্গে নেওয়া আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য গাইডকে দিতে হতে পারে ৩ থেকে ৪ হাজার রুপি (২ হাজার ৬৬৬ থেকে ৩ হাজার ৫৫৫ টাকা)।
বিভিন্ন আকারের পাহাড়ি পথগুলোতে যাত্রা পথে থাকার জন্য ট্রেকারদের প্রথম পছন্দ থাকে ট্রি-হাউসগুলো। প্রতি রাতের জন্য এখানে ভাড়া দিতে হয় ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি (৩৫৬ থেকে ১ হাজার ৩৩৩ টাকা) পর্যন্ত। এখানে সরবরাহকৃত খাবারের দাম সাধারণত ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপির (৪৪৪ থেকে ১ হাজার ৩৩৩ টাকা) মধ্যে হয়ে থাকে।
তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো যাত্রার জন্য খাবারের জন্য দিনপ্রতি ২ থেকে ৩ হাজার রুপি (১ হাজার ৭৭৮ থেকে ২ হাজার ৬৬৬ টাকা) বাজেট রাখা উচিত। শহরের রেস্তোরাঁ বা স্ট্রিট ফুডগুলোতে খরচ হতে পারে ২০০ থেকে ৫০০ রুপি (১৭৮ থেকে ৪৪৪ টাকা)।
পদব্রজে ভ্রমণ শুরুর পূর্বে যানবাহনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শেয়ার্ড জিপের খরচ জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ রুপি (৪৪৪ থেকে ৭১১ টাকা)। তবে লোকাল বাসে এই খরচটা ২০০ থেকে ৩০০ রুপিতে (১৭৮ থেকে ২৬৭ টাকা) নেমে আসে। তবে কাঠমান্ডু থেকে সরাসরি পোখারার ট্যুরিস্ট বাসের টিকেট মূল্য জনপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ রুপি (৮৮৯ থেকে ১ হাজার ৬৭ টাকা)।
সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১৪ দিনের ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে নেপাল ভ্রমণের জন্য সম্ভাব্য বাজেট ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই বাজেট ৫৩ হাজার ৩২৭ থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৫৪ টাকার সমান।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের ক্রাবি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ট্রেকিংয়ের জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
· মাইনাস ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় থাকার জন্য উপযোগী কাপড়-চোপড় সঙ্গে নেওয়া
· কাপড়ের ফেব্রিক পলেস্টার বা সিনথেটিক হওয়া উচিত। এতে করে ঘামে ভিজে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে না।
· পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার জন্য আরামদায়ক বুট, ট্রেকিং স্যান্ডেল ও ৩ থেকে ৪ জোড়া মোজা
· ক্যামেরার সঙ্গে চার্জারসহ অতিরিক্ত ব্যাটারি ও পাওয়ার ব্যাংক
· ব্যাগ খুব ভারী হওয়া চলবে না
· পাঞ্চ টাইপের রেইনকোর্ট
· ত্বকের আর্দ্রতার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি
· পোলার্ড আইস সানগ্লাস
· পাতলা ও মোটা মোট ২ রকমের গ্লাভ্স
· পাসপোর্ট ও এনআইডির মূল্য কপির সঙ্গে ফটোকপি ও কমপক্ষে ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি |
আরো পড়ুন: ভুটান ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ট্রেকিংয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে হবে। এছাড়াও নিতে হবে:
· মেডিকেল ফার্স্ট এইড
· হেক্সিসল (বিমানে বহন নিষেধ, তাই নেপালে প্লেন থেকে নেমে কিনে নিতে হবে)
· ওয়ান টাইম ব্যান্ড এইড ও মাইক্রোপোর ব্যান্ডেজ
· আইস কুল ম্যাক্স
শেষাংশ
নেপালের অন্নপূর্ণা ট্রেকিং মানেই অমূল্য এক অভিজ্ঞতা, যেখানে বিস্ময়কর প্রকৃতির সঙ্গে সন্নিবেশ ঘটে অনন্য জনগোষ্ঠীর সান্নিধ্য। এই অভিজ্ঞতা লাভের জন্য নেপালের অন-অ্যারাইভাল ভিসার পাশাপাশি নিতে হবে এসিএপি ও টিআইএমএস পার্মিট। বৈচিত্র্যপূর্ণ পাহাড়ি পথগুলোর কোনো কোনোটি অতিক্রম করতে ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যায়। তাই ভ্রমণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকা জরুরি। ট্রেকিংয়ের সময় যাত্রা বিরতির জন্য স্লিপিং ব্যাগ বা ডাউন জ্যাকেট নেওয়া একই সঙ্গে আরামদায়ক ও রোমাঞ্চকর। সর্বোপরি, একটি স্বাস্থ্যকর ট্রেকিং অভিজ্ঞতার জন্য ওষুধপত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো সঙ্গে রাখা অপরিহার্য।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
১ মাস আগে
ভারত ও নেপালের সঙ্গে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই
নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত ও নেপালের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
চুক্তির আওতায় জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। নেপালের
রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সই হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটডের (এনভিভিএন) প্রতিনিধিরা চুক্তি সই করেন।অনুষ্ঠানে নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রী দীপক খাড়কা, বাংলাদেশের পানিসম্পদ সচিব নজমুল আহসান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই চুক্তি আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শুধু তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের বিষয় নয়, বরং আমাদের দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদি এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াও।’
এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে সিংহ দরবারে সাক্ষাৎ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।এই ঐতিহাসিক বিদ্যুৎ চুক্তি সইয়ের সাক্ষী হতে পরিবেশ উপদেষ্টা দুই দিনের সফরে নেপালে অবস্থান করছেন। এটি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের দুর্নীতি তদন্তে অভিযোগ জানানোর আহ্বান এনআরসির
১ মাস আগে
নেপালে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে
নেপালে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ জন নিখোঁজ এবং ১৩০ জন আহত হয়েছে।
এ অবস্থায় দেশটিতে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
সরকারের মুখপাত্র ও যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, 'শোকের সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
শোকসন্তপ্ত প্রতিটি পরিবারকে ২ লাখ নেপালি রুপি বা ১ হাজার ৪৯৭ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।
আরও পড়ুন: নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
সরকারের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, টানা বৃষ্টিতে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে পরিবারের সদস্য নিখোঁজ রয়েছে এমন পরিবারকেও একই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলে ১০০ কোটি রুপি বা ৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮
১ মাস আগে
নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮
নেপালে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ১০১ জন আহত এবং ৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩ হাজার ৬৬১ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে ২০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করেছে নেপাল সরকার।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ৬৬ জনের মৃত্যু, আবারও অনেক নিখোঁজ
কাঠমান্ডুর জেলা পুলিশ রেঞ্জের মুখপাত্র নওয়ারাজ অধিকারী সিনহুয়াকে জানান, মধ্য নেপালের ধাদিং জেলার জায়াপল খোলায় ভূমিধসে চাপা পড়া তিনটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, 'অবরুদ্ধ মহাসড়কগুলোতে তল্লাশি, উদ্ধার ও পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হয়েছে।’
শুক্রবার টানা বর্ষণের কারণে ভূমিধস ও বন্যায় দেশের বেশিরভাগ প্রধান মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও রাতে মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় এবং গাড়ি চলাচল না করতে আহ্বান জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক জানান, কর্মকর্তারা বন্যার বর্তমান ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন। লোকজনকে উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
এছাড়াও সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়।
গত ১০ জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে নেপালে গড় পরিমাণের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯, আহত ৩৬
১ মাস আগে
নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ৬৬ জনের মৃত্যু, আবারও অনেক নিখোঁজ
নেপালে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত আরও ৬৯ জন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ৩৪ জনই রাজধানী কাঠমান্ডুতে মারা গেছেন।
হিমালয়ের দেশটিতে ৬০ জন আহত হয়েছেন এবং ৩ হাজার ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীসহ দেশের সব বিভাগের নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টিপাতে ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
তিওয়ারি বলেন, ভূমিধসের কারণে কাঠমান্ডুকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী মূল পৃথ্বী মহাসড়কসহ তিনটি মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো চালুর চেষ্টা করার জন্য ভারী সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নেপালে ভূমিধসে নিহত ৬
সরকার সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিল।
এছাড়া মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় এবং গাড়ি চলাচলকে নিরুৎসাহিত করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখাক সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তারা এখনও বন্যার প্রভাব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
রমেশ লেখক বলেছেন, ‘সরকারের এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে লোকজনকে উদ্ধার করা এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সহায়তা করা।’
নদীর উপচে পড়া পানিতে কাঠমান্ডুর কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক বাড়িঘরের বাসিন্দারা উপরের তলায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের দক্ষিণ দিকের বিস্তীর্ণ এলাকা বেশিরভাগই প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পারা চারজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।
কাঠমান্ডুর বেশিরভাগ অংশ কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল।
বর্ষা মৌসুমেযা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। মূলত এটি জুনে শুরু হয়ে সাধারণত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯, আহত ৩৬
১ মাস আগে
ভারত ও নেপাল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তা ভার্মা
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদবিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি রিচার্ড আর ভার্মার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দল ১৬ আগস্ট নেপাল এবং ১৭ থেকে ২২ আগস্ট ভারত সফর করবেন। উভয় দেশের নিরাপদ ও সহনশীল ভবিষ্যতের অগ্রগতিকে সমর্থনের লক্ষ্যে তারা এই সফর করছেন।
নেপালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন পেশাজীবী এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রতিনিধি দলটি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ক্লিন এনার্জি ও ক্লাইমেট অ্যাকশন এবং স্টেম এডুকেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্মা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, জলবায়ু নেতা এবং মহাকাশ শিক্ষাবিদ এবং শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে ভারতের নয়া দিল্লি সফর করবেন।
ভারত সফরকালে তার সঙ্গে থাকবেন আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিবিষয়ক প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জন পোডেস্টা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ডেভিড তুর্ক।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
৩ মাস আগে
বাংলাদেশে সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান নেপালের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নেপাল সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত ও পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'আমরা সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুশৃঙ্খলভাবে ফিরে আসার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশের জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে একটি মসৃণ উত্তরণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
৩ মাস আগে
আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ জিতে প্রায় অর্ধ যুগ পর সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে নেপালের বিপক্ষে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
শাস্তি হিসেবে তানজিমের ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেই সঙ্গে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
ঘটনা নেপালের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের। ওই ওভারটি মেইডেন নেন তানজিম। প্রথম চার বলে নেপালের দুই ব্যাটারকে আউট করার পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল। প্রথম বলটি ঠেকানোর পর দ্বিতীয়, অর্থাৎ ওভারের শেষ বলটি থেকেও কোনো রান নিতে না পারায় রোহিতের সঙ্গে বিবাদে জড়ান তানজিম। সেসময় হঠাৎ রোহিতের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এগিয়ে যান তিনি। এমনকি তাকে বুক দিয়ে ধাক্কা মেরেও বসেন তানজিম।
আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
কী ঘটেছিল সেই সময়- ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নের জবাবে রোহিত বলেন, সাকিব তাকে বলেছিলেন- মেরে দেখাও। এরপর তিনি ফিরতি উত্তরে বলছিলেন- যাও বল কর।
এরপর পরপর দুই বলে রান নিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে যান তানজিম। তারপর ওই ঘটনা ঘটান তিনি। তবে বিষয়টি আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘন করায় শাস্তি পেতে হয়েছে তাকে।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.১২ ধারা অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড়ের আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিকভাবে মুখোমুখি অবস্থানে আসার অনুমতি নেই।
খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের দেওয়া শাস্তি মেনে নেন তানজিম। ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না বোল্টকে!
সুপার এইট নিশ্চিত করা ওই ম্যাচে অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য দেখান তানজিম। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হন তিনি। এছাড়া সেদিন চার ওভারের ২১টি বলই ডট দেন তিনি, যা বিশ্বকাপে কোনো বোলারের সর্বোচ্চ ডট বল করার রেকর্ড।
৫ মাস আগে