ডনবাস
রাশিয়া অধিকৃত ডনবাসে শ্রমিক পাঠাতে পারে উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া যুদ্ধরত ইউক্রেনের রাশিয়া অধিকৃত ডনবাস অঞ্চলে পুনর্নির্মাণ কাজে সাহায্য করতে নির্মাণ শ্রমিক পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আগ্রহের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা প্রকাশ্যে সমর্থন করছে।
তারা একটি সস্তা ও কঠোর পরিশ্রমী শ্রমিকবাহিনী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। এটিকে বলা যেতে পারে ‘সবচেয়ে কঠিন শর্ত’। উত্তর কোরিয়ায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে টার্মটি ব্যবহার করেন।
মস্কোতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে দুটি রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের দূতদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তার দেশের সংকটাপন্ন সীমানা নিয়ন্ত্রণ সহজীকরণের বিষয় টেনে তিনি শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করেন।
ওই আলাপকালে জুলাই মাসে রাশিয়া ও সিরিয়ার পর উত্তর কোরিয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়।
ডনবাসে উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের কর্মসংস্থান স্পষ্টতই দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আরোপিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা এবং এর পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক চাপকে আরও জটিল করে তুলবে।
আরও পড়ুন: ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় এমন এক সময় কর্মী পাঠাবে যখন যুদ্ধ চলমান থাকবে। ঠিক সেসময় যখন পশ্চিমাদের অস্ত্র সহায়তায় ইউক্রেন বড় আকারের রুশ সেনাদের প্রতিহত করবে।
তারা আরও মনে করছেন, ডসবাসে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিক পাঠানোর ফলে দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে এই যুদ্ধ। যে অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা, সীমান্ত বন্ধ এবং কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনার কারণে ভেঙে পড়েছে।
শ্রম রপ্তানি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। এই জোট মূলত এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নির্মাণ সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই ডনবাসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকরা এলে স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে শপিং মলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা,নিহত ১৩
পারমাণবিক চুক্তি সম্মেলনে চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়ার বাধা
২ বছর আগে
ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায় বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান সেনারা ডনবাস অঞ্চল দখলের জন্য যুদ্ধ শুরু করেছে। পুরো রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন এই আক্রমণে মনোনিবেশ করেছে।’
ডনবাস পূর্ব ইউক্রেনের বেশিরভাগ রাশিয়ান-ভাষী শিল্প কেন্দ্রভূমি অঞ্চল, যেখানে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা গত আট বছর ধরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাথে লড়াই করছে এবং সম্প্রতি রাশিয়া সেখানে দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
পড়ুন: লাভিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭ জন নিহত: ইউক্রেন
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভ দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর ক্রেমলিন ডনবাস অঞ্চল দখলকে যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ঘোষণা করে। রাজধানী থেকে প্রত্যাহার করার পর রাশিয়া সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য পূর্বে তার স্থল সেনাদের পুনরায় সংগঠিত এবং শক্তিশালী করতে শুরু করে।
জেলেনস্কি বলেন,‘সেখানে যত রাশিয়ান সেনাই আক্রমণ করুক না কেন, আমরা লড়াই করব, আমরা নিজেদের রক্ষা করব। আমরা প্রতিদিন এটি করব।’
রাশিয়া পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভ এবং ইউক্রেন জুড়ে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা জোরদার করার পর ডনবাসে আক্রমণটি শুরু করে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলে আক্রমণ জোরদার করছে- এই দুই অঞ্চলই ডনবাসের অংশ।
পড়ুন: মারিউপোলে আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম প্রত্যাখান ইউক্রেনীয় সেনাদের
২ বছর আগে