ফসল রক্ষা
তাপপ্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশিকা
সারাদেশে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের মধ্যে ফসল ও ফল রক্ষায় নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি আট দিন (১০ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল) অব্যাহত থাকতে পারে।
নির্দেশিকা
তাপপ্রবাহের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য ধানের শীষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত বোরো ধানখেতে ২-৩ ইঞ্চি পানি সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি প্রয়োজনে শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করার জন্যও কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
গরম থেকে শাকসবজি বাঁচাতে কৃষকদের মাটির ধরন অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছে অধিদপ্তরটি।
এছাড়া, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফল ও শাক-সবজির চারা রক্ষার জন্য মালচিং ও সেচ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সারাদেশে তাপপ্রবাহ চলছে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ডিমলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, রবিবার ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বেড়ে সোমবার হয় ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
অসময়ের বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় নতুন প্রকল্প আসছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, অসময়ের বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় নতুন প্রকল্প আসছে।
তিনি বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, আগাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নৌযান চলাচলের সুবিধার্থে সুনামগঞ্জে দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। একটি হলো নদী খনন ও আরেকটি কজওয়ে নির্মাণ। বছরের শেষের দিকে এই দুটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে। এখন এর সমীক্ষার কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার শান্তিগঞ্জ উপজেলার খাই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে সুনামগঞ্জে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবো। ১৫৪৭ কোটি টাকার ১৪টি নদী ও এর সঙ্গে যত সংযোগ খাল রয়েছে তা খননের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সমীক্ষার কাজও চলছে। সমীক্ষার প্রতিবেদনে আমরা সেপ্টেম্বরের ভেতরে পাবো। এরপর একনেকে তুলে প্রকল্পটা পাস করাবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী পথ দিয়ে নৌ চলাচলের জন্য ও ফসল কেটে কৃষক যেনো তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে সেজন্য ৯০টি কজওয়ে রাখা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কজওয়ের পয়েন্টগুলো জিও ব্যাগ দিয়ে বন্ধ রাখা হবে। যখন কৃষকের ফসল কাটা শেষ হয়ে যাবে তখন কজওয়েগুলো খুলে দেয়া হবে। এই দুটি কাজ হলে আগামীতে এরকম আগাম বন্যা হলে মোকাবিলা করতে পারবো।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম, সিলেট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ জামান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন প্রমুখ।
২ বছর আগে