ঢামেক
ঢামেকে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৪৫ বছর বয়সী এক নারী। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালের বিপরীত পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বিলকিস আক্তার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গঙ্গাহাটি গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী জানান, তারা গাজীপুর থেকে ট্রেনে করে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় আসেন। রাত ১১টার দিকে ট্রেনটি খিলগাঁও রেলগেইট এলাকায় এসে থামালে তারা নেমে যান।
তিনি আরও জানান, খিদমাহ হাসপাতালের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান বিলকিসকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন বিলকিস। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ডামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, আহত বিলকিসকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট গ্যাস স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে ম্যানেজারের মৃত্যু
সিলেটের মিরাবাজারে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে একজন সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক রুমেল সিদ্দিক (২৮) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি সিলেট বিমানবন্দর থানাধীন কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই আহমেদ শাহনূর জানান, রুমেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার ভাই মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
৫ সেপ্টেম্বর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে ৯জন দগ্ধ হন।
আহতদের মধ্যে সাতজন গ্যাস স্টেশনের কর্মচারী, বাকি দুজন পথচারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিরোটি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১৫-৪০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া আহতদের প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, গ্যাস স্টেশনে অগ্নি নিরাপত্তার অভাব ছিল। গ্যাসের ভালভের ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
একসঙ্গে চার হাজার রোগীর চিকিৎসা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে আধুনিকায়নের জন্য সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালটিকে আরও বড়, আরও সুন্দর ও আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আমরা ইতোমধ্যে একটি নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা পরিকল্পনা তৈরি করেছি, যাতে একসঙ্গে চার হাজার রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতে পারে।’
সোমবার ৭৮তম ঢাকা মেডিকেল কলেজ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব তথ্য জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনু্ঠানে।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্টের উদ্যোগে রাজধানীর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালের জন্য এই পরিকল্পনা যদি দ্রুত শুরু করা যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবায় এটি একটি দৃষ্টান্ত হবে।
চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের গবেষণার সংখ্যা এখনও কম।
তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এখানে গবেষণা করেন। কিন্তু এই যুগে গবেষণা অপরিহার্য। গবেষণায় আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, তার সরকার চিকিৎসা গবেষণার সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তহবিল সরবরাহ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা: রাস্তায় লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু
মারা যাওয়া আসামিরা হলেন- মৃত লোকমান আলীর ছেলে আতাউর রহমান (৭০) ও আব্দুর রহিমের ছেলে জুয়েল (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রবিবার রাত ৮টার দিকে ওই দুই বন্দিকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারারক্ষী মো. নয়ন কাজী জানান, বিচারাধীন জুয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে মারা যান।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপারেশন থিয়েটারে রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসককে মারধর
রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ১২ জন আহত
ঢাকার বঙ্গবাজারে মঙ্গলবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি পরিষেবার জন্য গঠিত র্যাপিড সার্ভিসের প্রধান মোহাম্মদ রাসেল বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর ঘটনা নেই। বেশিরভাগের আঘাতই ছিল সামান্য।
তিরি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১২ জন বঙ্গবাজার থেকে এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে আটজনকে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: চোখের সামনে আগুনে পুড়ল শহিদুল ও মঈনুদ্দিনের স্বপ্ন
অবশেষে ঢামেকে ভর্তি হলো বৃক্ষশিশু রিপন!
অবশেষে বিত্তবান ও সামাজিক সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের বৃক্ষশিশু রিপন রায় (৯) ফের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি হয়েছে। গত বুধবার (২ নভেম্বর) রাতে রিপনকে ট্রেন করে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রিপনের বাবা মহেন্দ্র দাস জানান, বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেনের সাক্ষাত করে রিপনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন
চিকিৎসকেরা বাংলাদেশের প্রথম বৃক্ষমানব হিসেবে খুলনার আবুল বাজানদারের এবং দ্বিতীয় বৃক্ষমানব হিসেবে রিপন রায়ের সন্ধান পায়।
জানা যায়, রিপনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের কেউটগাঁও গ্রামে। রিপনের বাবা মহেন্দ্র দাস জুতা সেলাইয়ের (চর্মকার) কাজ করেন এবং মা গোলাপী রানী দাস গৃহিণী। পরিবারের তিন ভাই বোনের মধ্যে রিপন সবার ছোট। সে কেউটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময় ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে রিপনকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজরেও আসে। আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন অনেকেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই সময় রিপনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তার তিন দফা অপারেশন হয়।
চিকিৎসার অংশ হিসেবে রিপনকে বাড়ির পরিবেশে রাখতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষে দুই মাসের জন্য বাড়ি পাঠায় চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঢাকায় চিকিৎসা নেয় সে। ২০২০ সালে করোনার কারণে ঢাকায় চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয়নি তার।
নিয়মিত চিকিৎসা না নেয়ায় রিপনের হাতে পায়ে আবার গজাতে শুরু করে শিকড়ের মত আঁচিল। কিন্তু অর্থাভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারছিল না রিপনের পরিবার। এ অবস্থায় স্থানীয় কবিরাজের পরামর্শে ভেষজ চিকিৎসার আশ্রয় নেয় রিপনের পরিবার। এরপর থেকে তার শরীর কালা হতে শুরু করে। অক্টোবর মাসে তাকে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২/৩ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার মত অর্থ তার পরিবারের নেই। এতে দিন দিন তার অবস্থা খারাপের দিকে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চলছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা
রিপনের বাবা মহেন্দ্র দাস বলেন, রিপনের স্বাস্থ্য ক্রমেই গুরুতর হচ্ছিল। এ অবস্থা দেখে শুধু কান্না আসছে, কিন্তু আমি তো নিরুপায়। সহ্যও করতে পারছি না, আবার অর্থাভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছি না। তবে সমাজের অনেক বিত্তবান এগিয়ে আসায় ফের হাসপাতালে নিতে পেরেছি। যারা শিশুটির খোঁজখবর নিতে চাচ্ছেন, তাদের আমার ০১৭৯৭৭৩১৬৯২ নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আজম জানান, ভেষজ চিকিৎসার কারণে তার শরীরে খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তার দ্রুত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। বেশি দেরি হলে শরীরের মাংসে পচন ধরাসহ বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
বৃক্ষশিশু রিপন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে। সেখানে ৬১৮ নম্বর বেডে থেকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ডা. রোমানা পারভীনের (রেসিডেন্ট, এম. এস প্লাস্টিক সার্জারি) অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলো রিপন।
ওই চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রিপনের বাবা মহেন্দ্র দাস জানান, বৃক্ষ শিশু রিপন ‘এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরাসিফরমিস’ বিরল রোগে ভুগছে। চার বছর আগে তিনবার তার হাতে পায়ে অপারেশন করার পর চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ৯০ভাগ আরোগ্য লাভ করেছিল রিপন। আবার তার হাতে পায়ে এধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না তা দেখার জন্য তাকে বাড়ি পাঠানো হয়। তবে রিপন পুরোপুরি সুস্থ করতে আরও সময় লাগবে বলে তার পরিবারকে জানায় চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, খুলনার আবুল বাজানদারের হাতে-পায়ে ‘শেকড়ের মতো’ আঁচিল নিয়ে দেশ জুড়ে আলোচিত হন। পরে তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসে সরকার। এক বছরে কমপক্ষে ১৬টি অপারেশন শেষে তার শরীর থেকে ১০ কেজি বর্ধিত আঁচিল (গাছের শিকড়ের মতো) অপসারণ করা হয়েছে। তিনি এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
ডেঙ্গু: চিকিৎসা দিতে হিমশিম রাজধানীর হাসপাতালগুলো
ডেঙ্গু রোগীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বৃদ্ধিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর অনেক হাসপাতাল শয্যা স্বল্পতার কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
২০১৯ সালে দেশে সবচেয়ে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। এ বছরও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, এ পরিস্থিতিতে ঢাকার কোন হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা নেই।
নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হলি ফ্যমিলি হাসাপাতাল, মুগদা মেডিকেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতালসহ বেশকিছু হসপাতালে সিট ফাঁকা নেই। মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছে। মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীতে ওয়ার্ড ভর্তি হয়ে গেছে।
তবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সারাদেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বাড়ছে মৃত্যু সংক্রমণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর চাপ তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার ডেঙ্গু বেড়েছে। এছাড়া সচেতনতার অভাবে মশাবাহিত রোগবালাই বেড়েছে।
চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইউএনবিকে বলেন, ‘ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর লাগাম টেনে ধরতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা আবশ্যক। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা উত্তর কর্পোরেশন হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ-এর একটি নতুন ইউনিট এবং লালকুঠি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মশা নিধনে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মশার সংখ্যা কমলে রোগীর সংখ্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে ফলে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কম থাকবে।
পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ঢামেক ইন্টার্নের ওপর হামলা: সহপাঠীদের মানববন্ধন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে করা এই মানববন্ধনে ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তারা।
ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা.মহিউদ্দিন জিলানী বলেন, ‘এই ঘটনা নতুন নয়, কারণ আমরা প্রায়ই এই ধরনের হামলার সম্মুখীন হই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় আমরা ধর্মঘটে যাব।’
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই ডা. সাজ্জাদ হোসেনকে মারধর করে।
ডা. সাজ্জাদ হোসেনতার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘৮ আগস্ট রাত ৯টার দিকে আমি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বসেছিলাম। হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরা) কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে আমাকে আমার পরিচয় ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে থাকে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে তাদের জানালে তারা আমার আইডি কার্ড পরীক্ষা করতে চায়। ওই মুহূর্তে আমি আমার পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তারা আমাকে মারধর শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টার্নদের ওপর হামলা: ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট স্থগিত, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ইন্টার্নদের ওপর হামলা: ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট স্থগিত
স্যানিটাইজার গোডাউনে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
রাজধানীর কামারপাড়ায় রাজাবাড়িতে একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় সোমবার দগ্ধ আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
নিহতের নাম মো. মিজান (৩৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৯৫ শতাংশ দগ্ধ মিজান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রাত দেড়টার দিকে মারা যান।
এর আগে রবিবার একই হাসপাতালে আহত তিনজন-গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৮), মো. আলম মিয়া (২০) ও মো. নুর হোসেন (৬০) মারা যান।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের একটি গোডাউনে বিস্ফোরণ ঘটে এবং এতে আটজন আহত হয়।
আহত অপর চার জন হলেন-মাসুম (৩৫), মো. আল-আমিন (৩০), শফিকুল (২৫) ও মো. শাহীন (২৫)। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে মাসুম ৯৫ শতাংশ, শফিকুল ৮০ শতাংশ, আল-আমিন ৭৫ শতাংশ ও শাহিন ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইয়ুব হোসেন জানান।
পড়ুন: স্যানিটাইজার গোডাউনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৩ জনের মৃত্যু
রাজধানীতে স্যানিটাইজারের গোডাউনে বিস্ফোরণ, ৭ জন দগ্ধ
স্যানিটাইজার গোডাউনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৩ জনের মৃত্যু
রাজধানীর কামারপাড়া রাজাবাড়িতে একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের গোডাউনে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ আটজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন-গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৮), মো. আলম মিয়া (২০) ও মো. নুর হোসেন (৬০)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, বিস্ফোরণে মাজহারুল ৩২ শতাংশ, নুর ও আলম যথাক্রমে ৯৫ শতাংশ ও ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের একটি গোডাউনে বিস্ফোরণ ঘটে এবং এতে আটজন আহত হয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
অপর আহতরা হলেন-মো. মিজান (৩৫), মাসুম (৩৫), মো. আল-আমিন (৩০), শফিকুল (২৫) ও মো. শাহীন (২৫)। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, তাদের মধ্যে মিজান ও মাসুমের ৯৫ শতাংশ, শফিকুলের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের ৭৫ শতাংশ ও শাহিনের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
পড়ুন: রাজধানীতে স্যানিটাইজারের গোডাউনে বিস্ফোরণ, ৭ জন দগ্ধ
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে মা-ছেলে দগ্ধ