শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
রংপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষকসহ আটক ১৯
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে রংপুরে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৮০টি মোবাইল ফোন ও ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ও এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালীন সিন্ডিকেট দলের সদস্য শিক্ষকরা অভিনব কায়দায় আধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা বাইরে সরবরাহ করেন। এরপর বাইরে থেকে উত্তর সরবরাহের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আগে থেকে তৎপর থাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আটজন পরীক্ষার্থী এবং অন্যভাবে তিনজন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া তিনজন শিক্ষকসহ সিন্ডিকেট দলের আরও পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৮০টি মোবাইল ফোন ও আধুনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, সাধারণ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় পরীক্ষা শুরুর আগে। কিন্তু এখানে আগে থেকে কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। মূলত পরীক্ষা শুরুর পর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠিয়ে তার উত্তর সরবরাহের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়।
তিনি জানান, রংপুর ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে এই সিন্ডিকেট দলের আরও সদস্যদের আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ পরে যাদের নাম আসবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৩৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় আটক ১৮
১ বছর আগে
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাগুরা থেকে শুক্রবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম ফয়সাল রাব্বি, তার খালাতো ভাই ইফতেখারুল ইসলাম টিটো, পরীক্ষার্থী তারানা আফরোজ, আমিরুল ইসলাম সোহেল, ইসমত আরা ঝর্ণা ও শাহানাজ বেগম।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব: প্রতিমন্ত্রী
পুলিশ জানায়, শুক্রবার মাগুরা সদর উপজেলার এজি একাডেমি স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী তারানা আফরোজকে তল্লাশি করে ব্যাংকিং ক্রেডিট কার্ডের আকারে তৈরি মোবাইল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মাগুরা এজি একাডেমি বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুণ্ডু জানান, তারানা আফরোজ নামে এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল সিমসহ একটি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি ব্লুটুথও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দায়ে আটক ২৯
তিনি বলেন, পরীক্ষার্থী স্বীকার করেছেন যে এই ডিভাইসগুলো মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কথা ছিল। প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর মাগুরা ডিবি পুলিশ বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতির চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে অন্যদের গ্রেপ্তার করে।
২ বছর আগে