দূষিত বাতাসের শহর
রাতভর বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে উন্নতি
রাতভর ও সকালের বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির বাতাসের বায়ুদূষণের মান অনেকটা কমেছে। একই সময়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার দিকে প্রথম দিকে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বাতাস আজ স্বাস্থ্যকর হয়েছে উঠেছে। উন্নতি দেখা দিয়েছে ভারতের দিল্লির বাতাসেও।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৮। যদিও বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এটি ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। তবে এই স্কোর ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়।
তাই বলা চলে, বৃষ্টির প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মান স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিইআই স্কোর ছিল ৭৭। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২০তম স্থানে ছিল ঢাকা। তবে আজ শহরটি তালিকার ৫৫তম স্থানে চলে এসেছে।
এদিকে, গতকাল দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ দশে থাকলেও আজ লাহোর আর দিল্লির বাতাসের মানেও উন্নতি হয়েছে। গতকাল ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও আজ লাহোরের বাতাস হয়ে উঠেছে ‘ভালো’, স্কোর ছিল ৩৯। অন্যদিকে, ৬০ স্কোর নিয়ে তালিকার ৪৭তম স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৫৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা। ১৫২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিস।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
আরও পড়ুন: কিছুটা উন্নতি হলেও আজও ‘মাঝারি’ ঢাকার বাতাস
ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম জানান, ‘হিমালয় থেকে, আবার ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীনের একটি অংশ থেকে দূষণ বাংলাদেশে আসে। এতে পুরো বাংলাদেশের ওপর দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে এটা বেশি আসে।’
ড. আবদুস সালাম বলেন, ‘পার্টিকেল যত ফাইনেস্ট (সূক্ষ্ম) হবে, তত বেশি সময় ধরে তা বাতাসে ভেসে বেড়াতে ও দ্রুত ভ্রমণ করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শীতকালে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে এ দূষণ বাংলাদেশে আসে। বর্ষাকালে কিছু জিনিস বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায়। বাংলাদেশে যদি ১০০ শতাংশ বায়ুদূষণ থাকে, তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসে বাইরের দেশ থেকে।’
১২৭ দিন আগে
বায়ুদূষণে আজ ফের শীর্ষ পাঁচে কানাডার রাজধানী
বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় বরাবরই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু শহরের নাম চোখে পড়লেও ইউরোপের দেশগুলোর কোনো শহরের দেখা সচারচার মেলে না। সেখানে উত্তর আমেরিকার কানাডার মতো পরিচ্ছন্ন দেশের কোনো শহর খুঁজে পাওয়া আরও দুষ্কর। অথচ দুই সপ্তাহে দুবার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে কানাডার রাজধানী মন্ট্রিয়াল।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় মন্ট্রিয়ালের বায়ুদূষণের একিউআই স্কোর ছিল ১৭৩, বাহরাইনের মানামার সঙ্গে যা তৃতীয় দূষিত শহর। তবে তালিকার চতুর্থ স্থানে ছিল মন্ট্রিয়াল। এই স্কোর হওয়ার অর্থ শহরটির বাতাস এই সময়ে ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’
কানাডার পরিবেশবিষয়ক সংস্থা এনভায়রনমেন্ট কানাডা জানিয়েছে, প্রেইরিজে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের ধোঁয়ার কারণে মন্ট্রিয়ালের বাতাসের মান খারাপ হয়ে পড়েছে এবং ওই এলাকায় দৃশ্যমানতাও কমে গেছে। আগামীকাল পর্যন্ত এই দূষিত অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
এই পরিস্থিতিতে মানুষকে বাইরে থাকার সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিভিন্ন কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান বাতিল বা স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, শিশু ও নবজাতক, আগে থেকেই কোনো অসুস্থতা বা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এবং যারা বাইরে কাজ করেন—এমন ব্যক্তিদের এই সময়ে বাইরে শ্রমসাধ্য কোনো কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এনভায়রনমেন্ট কানাডা এক বিবৃতিতে বলেছে, বায়ুদূষণের কারণে চোখ, নাক ও গলায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা কিংবা হালকা কাশির মতো সাধারণ ও মৃদু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা বা তীব্র কাশির মতো গুরুতর উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এসবের কোনো একটি উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
এর আগে, গত মঙ্গলবারও (২২ জুলাই) অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে মন্ট্রিয়ালের বাতাস।
একই সময়ে মন্ট্রিয়ালের চেয়ে আরও দূষণ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর ছিল কাম্পালা। উগান্ডার রাজধানীর একিউআই স্কোর ছিল ১৮৪। এর চেয়ে দশ কম নিয়ে দ্বিতীয় দূষিত শহর ছিল মিসরের কায়রো, আর ১৭৩ নিয়ে তৃতীয় স্থানে বাহরাইনের মানামা। গতকাল শীর্ষে থাকা কিনশাসা আজ নেমেছে পাঁচে, স্কোর ১৬৪।
অন্যদিকে, লাহোর ও দিল্লির বায়ুমানে উন্নতি হয়েছে। একই সময়ে ১৪৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার একাদশ স্থানে অবস্থান করছিল লাহোর, আর ৮৪ নিয়ে ২৩তম স্থানে ছিল দিল্লি।
তবে গতকাল বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাস ‘ভালো’ শ্রেণিভুক্ত হলেও আজকের রৌদ্রজ্জ্বল সকালে ফের কিছুটা অবনতি হয়েছে। ৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে ফের ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে নেমেছে ঢাকা। তবে শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর থেকে বেশ দূরে, ৩১তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লন্ডন, ওয়াশিংটনের চেয়ে আজ ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যকর
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো— স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৩২ দিন আগে
দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম দিনই বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
ঈদুল আজহায় টানা ছুটির মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস মোটামুটি স্বাস্থ্যকর ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ আর ক্রমেই রাজধানীর পুরনো ভিড় বাড়তে থাকায় দূষণও বাড়ছে সমান তালে।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ফের শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এ সময়ে ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল বাংলাদেশের রাজধানী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর।
এ সময় ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। এ ছাড়া ১২৬ ও ১২৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার পরেই ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মিসরের কায়রো।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ শিকাগো-বার্সেলোনার চেয়েও ভালো
১৭৩ দিন আগে
কর্মব্যস্ততার শুরুর দিনে ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার নাম থেকেই যাচ্ছে। পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। প্রতিদিনই ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাকে।
সাপ্তাহিক কর্মদিবস শুরুর দিন রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ২০১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা শহর যথাক্রমে ২১৫, ২১২ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: শনিবার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
২৯৯ দিন আগে
বৃহস্পতিবার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
কর্ম ব্যস্ততার শেষ দিনে ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’হিসেবে একিউআই সূচক অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানে আবারও উঠে এসেছে। যেখানে গতকাল বুধবার বায়ুদূষণের শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার স্থান ছিল পঞ্চম।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ২৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে আবারও বাড়িয়ে তুলেছে।
একিউআই স্কোর ৩৩৩, ১৯৪ ও ১৮৩ নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে দিল্লির ভারত, উগান্ডার কাম্পালা ও ইরানের তেহরান।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৩০৯ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৫৫মিনিটে একিউআই স্কোর ৩৫২ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইরাকের বাগদাদ, ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ৩৫৮, ২১৯ এবং ২০০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: আজও ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: শুক্রবারেও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
৩৩৪ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ৩০৫ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মিশরের কায়রো, পাকিস্তানের লাহোর ও ইরাকের বাগদাদ যথাক্রমে ২১১, ১৮০ ও ১৭৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৩৬১ দিন আগে
‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ঢাকার বাতাস
একিউআই স্কোর ২০৩ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা ১৫মিনিটে বাতাসের এই মান নির্ধারণ করা হয়।
একিউআই সূচকে দেখা যায়, ঢাকার আজকের বাতাসকে 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও মিসরের কায়রো যথাক্রমে ৪৪৯, ২৮৮ ও ২৮১ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ঢাকার বাতাসের মান 'খুব অস্বাস্থ্যকর'
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: সোমবারও ঢাকার বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর
৩৮০ দিন আগে
আবারও ঢাকার বাতাসের মানের অবনতি
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকার বাতাস মঙ্গলবার ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে একিউআই স্কোর ১২১ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৭তম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ৭৮১, ৩০৪ ও ১৯৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাতাসের মানের উন্নতি
৩৮৮ দিন আগে
ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর
বাতাসের মান যাচাই করে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা হয়ে থাকে। এই তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা। বর্তমানে এ শহরের বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'।
রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের একিউআই স্কোর ১৭৪।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও চীনের উহান যথাক্রমে ৬৫০, ৪৫৩ ও ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৩৯৭ দিন আগে