রাত
এবারও ২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
অন্য বছরের মতো এবারও ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাকআউট) থাকবে সারা দেশ। কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হবে।
তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। গত বছর অবশ্য রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল।
সম্প্রতি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে ২৩ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ২৫ মার্চ প্রতীকী ব্ল্যাকআউটের বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রমজান মাসে তারাবির নামাজের বিষয় বিবেচনায় রেখে রাত ১২টা থেকে ১২টা এক মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ব্ল্যাকআউটের প্রস্তাব দেন। তবে বিস্তারিত আলোচনার পর সারা দেশে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালনের বিষয়ে সবাই একমত হন।
বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি মিশনগুলোতে ব্ল্যাকআউট প্রযোজ্য হবে না বলেও কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পুরো ঢাকাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা
এছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন-স্থাপনায় কোনো অবস্থাতেই ২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।
অন্যান্য বছর ২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমরাস্ত্র প্রদর্শনী হয়ে থাকে। এ বছর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী হবে না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৬৭ দিন আগে
রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, লাঠিপেটা
রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) পেয়ে লাঠিপেটা করেছে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে উদ্ধার করে নগরীর মতিহার থানা হেফাজতে নেয়।
জানা যায়, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লার এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘর থেকে স্থানীয়রা আটক করে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে লাঠিপেটা করা হয়। মারধর করা হয় ওই নারীকেও। এর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই নারী ও এএসআইকে নানাভাবে জেরা করছেন। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানোও হচ্ছে। এ সময় ওই নারীকে বলতে দেখা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর,’ আর এএসআই সোহেলকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি কলমা করে বিয়ে করেছি’।
জেরার মুখে এএসআই বলেন, ‘তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। তাকে তিনি কলমা করে বিয়ে করেছেন।’
তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে তার এখনও বিবাহ বিচ্ছেদই হয়নি। এ সময় ওই নারী বলেন, ‘স্বামীকে আমি মুখে মুখে তালাক দিয়েছি।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। তাকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার আগে অল্পবয়সী কয়েকজন লাঠি দিয়ে এএসআইকে পেটায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘এএসআই সোহেল রানা থানা হেফাজতে আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
তবে ওই নারীর সঙ্গে এএসআইয়ের বিয়ে কিংবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালানোর বিষয়ে ওসি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। এ সময় তিনি জানান, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তার বাড়ি ডাসমারী মধ্যপাড়ায়। তিনি মাদক মামলায় বছর দেড়েক জেলে ছিলেন। এই সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। এছাড়া স্বামী জামিনে বের হলেও তিনি তার বাড়ি আসছিলেন না।
ওসি বলেন, ‘ওই নারীর স্বামী যখন জেলে ছিলেন, তখন এএসআই তিনটি অটোরিকশা কেনেন। অটোরিকশাগুলো সোহেল তার পূর্বপরিচিত ওই নারীর তত্ত্বাবধানে রাখেন। ওই নারীর ভাই ও অন্য চালকেরা অটোরিকশাগুলো চালান। সোহেল মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিয়ে আসতেন। মঙ্গলবার রাতেও তিনি ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তখন ওই নারীর স্বামী স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আসলেই কী ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’ইউএনবি/এএস
৭৩ দিন আগে
রাতে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ (মঙ্গলবার) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) রাত ৮টায় গুলশানের বাসা থেকে বের হবেন এবং রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল টিমের ছয়জন চিকিৎসকসহ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ১০টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে দলটি, যাতে রাস্তায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে
এছাড়া, খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কোন পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবে, ইতোমধ্যে সেই রুটের তথ্যও জানানো হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গুলশান-২ নম্বরের বাসা ফিরোজা থেকে রাত ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে গাড়িটি গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর হয়ে কাকলী গোলচত্বর হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমম্বয়ে বৈঠক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ প্লাটুন পুলিশের পাশাপাশি এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, র্যাব, বেবিচকের অ্যাফসেক বাহিনীসহ সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমও মোতায়েন থাকবে।
বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর জমায়েতে যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য বিশেষ এই সতর্কাবস্থা বলে জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, যুক্তরাজ্যের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হবেন খালেদা জিয়া। সেখানকার চিকিৎসকরা উনাকে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঠিক করা হবে। সেখান থেকে সুপারিশ করা হলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
ডা. জাহিদ বলেন, হিথ্রো বিমানবন্দরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য শাখার বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা লন্ডনে পৌঁছেই সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হবেন
২০০৮ সাল থেকে সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন তারেক রহমান। কারাবন্দি হওয়ার আগে সবশেষ ২০১৭ সালে লন্ডন সফরে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। তখনই শেষবার সরাসরি দেখা হয়েছিল মা-ছেলের।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন; আবারও এগিয়ে নেবেন সবকিছু— এমন প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লাখো কর্মী-সমর্থক।
১১৭ দিন আগে
ঢাকায় শব্দদূষণে দুঃস্বপ্নের রাত
পার্শ্ববর্তী নির্মাণস্থলে ইট ভাঙার বিকট শব্দে টানা নির্ঘুম দুই রাত কাটানোর পর ৯৯৯ নম্বরে কল করেন রোমেনা আহমেদ। স্বস্তি পেতে রাতের কাজ বন্ধ রাখতে পুলিশকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান তিনি। পুলিশ তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় ওই ঠিকাদার।
তবে রোমেনা যে সমাধানটি পেয়েছেন, তা সবসময় পাওয়া সহজ নয়। কারণ, অনেকে নিশ্চিত নন যে, একই পরিস্থিতিতে পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে কিনা।
নগরীতে বাড়ছে শব্দদূষণ
গত বছর তৃতীয়বারের মতো ঢাকা সফর করা কানাডিয়ান বিল ম্যাকলেইন তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কোলাহল অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এ বার রাস্তায় চলাচলের সময় শব্দ আটকাতে ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করতে হয়েছে।’
‘ঢাকার রাস্তায় পা রাখলে প্রায়ই মনে হয় যেন গাড়ির হর্নের শব্দের শহরে ঢুকে পড়া। গাড়ির চালকরা সবচেয়ে জোরে শব্দ করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। মাত্র এক সেকেন্ড দেরি হলে কান ফাটানো হর্ন বাজানো শুরু হতে থাকে।’
বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্মাণ ক্ষেত্রগুলোর অবিরাম খটখট শব্দ। ধাতব বস্তু কাটার শব্দ, ইট ভাঙার শব্দ এবং জেনারেটরের শব্দ।
এই শহরে উচ্চ শব্দের কোনো লাগাম নেই। এমতাবস্থায় শহরে শান্তি বিরল হয়ে উঠেছে।
মালিবাগের বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, ‘এখন তো রাস্তার বিক্রেতারাও পণ্য বিক্রি করতে লাউডস্পিকার ব্যবহার করছে। এটা সহনীয় নয়, এসব বন্ধ করতে হবে।‘
২০১৭ সালে বাংলাদেশে মোটরযানে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে উচ্চ আদালত। কারণ এটি ১২০ ডেসিবেলের আকারে পৌঁছতে পারে এবং ৬০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে এই স্তরের সংস্পর্শে থাকলে তাৎক্ষণিক আঘাত এবং শ্রবণশক্তির ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বাস্তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সরকার হাইকোর্টের নির্দেশনা ভুলে গেছে এবং ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী অধিকাংশ যানবাহন এখনো তা ব্যবহার করছে।
মাসুদ নামে এক চাকরিজীবী বলেন, 'অফিসে পৌঁছানোর জন্য গণপরিবহন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু, রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহনের হর্নের কারণে অপেক্ষার সময় ভয়াবহ হয়ে ওঠে।’
শব্দদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ৬৫ ডেসিবেল (ডিবি) এর উপরে শব্দের মাত্রা দূষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। যার মধ্যে ৭৫ ডিবি ক্ষতিকারক এবং ১২০ ডিবি সরাসরি যন্ত্রণাদায়ক। ২০১৮ সালে ডব্লিউএইচও স্বাস্থ্যগত কারণে ট্র্যাফিক শব্দকে ৫৩ ডিবিতে সীমাবদ্ধ করার সুপারিশ করেছিল।
বাংলাদেশে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকায় গ্রহণযোগ্য শব্দসীমা দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় দিনের জন্য ৫৫ ডিবি এবং রাতের জন্য ৪৫ ডিবি। মিশ্র অঞ্চলে দিনের জন্য ৬০ ডিবি এবং রাতের জন্য ৫০ ডিবি। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনের জন্য ৭০ ডিবি এবং রাতের জন্য ৬০ ডিবি এবং শিল্পাঞ্চলে দিনের জন্য ৭৫ ডিবি এবং রাতের জন্য ৭০ ডিবি।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা অতিক্রম করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কিন্তু, ঢাকার বাসিন্দারা প্রতিদিন বাসাবাড়িতে, কর্মস্থলে, স্কুল এমনকি হাসপাতালগুলোতে বিপজ্জনক মাত্রার শব্দের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা অপরিবর্তনীয় শব্দ-প্ররোচিত শ্রবণশক্তি হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ঘুমের ব্যাঘাত এবং অতিরিক্ত শব্দ দীর্ঘ সময় উৎপন্নের কারণে সৃষ্ট মানসিক চাপ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ফ্রন্টিয়ার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শব্দ দূষণ শহুরে বন্যজীবনকেও ব্যাহত করে, পাখি, ব্যাঙ এবং পোকামাকড়ের মধ্যে যোগাযোগকে প্রভাবিত করে এবং তাদের বেঁচে থাকার জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রতিবেদনে কোলাহলপূর্ণ পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। শুধুমাত্র ইউরোপে, দীর্ঘ সময় ধরে উৎপন্ন শব্দের কারণে বছরে ১২ হাজার অকাল মৃত্যু এবং ৪৮ হাজার নতুন ইসকেমিক হৃদরোগের জন্য দায়ী।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা
শব্দদূষণ রোধে গত বছরের ১ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের ৩ কিলোমিটার এলাকাকে 'নীরব এলাকা' ঘোষণা করা হয়।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ করা। আইন অমান্যকারীদের ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হতে পারে। এটি গেল ডিসেম্বর থেকে কঠোরভাবে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এই নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানটি কার্যকর করার দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শব্দদূষণে নাকাল রাজধানীবাসী, নেই আইনের কার্যকর প্রয়োগ
পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং পরে পুরো ঢাকা শহরে এটি বিস্তৃত করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোকেও শব্দদূষণ রোধে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার শর্ত অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নীরব অঞ্চল: এখনও দেখেনি আলোর মুখ
সচিবালয়, আগারগাঁও এবং সংসদের মতো অঞ্চলে নীরব অঞ্চলগুলোর পূর্ববর্তী ঘোষণা সত্ত্বেও কোনো উল্লেখযোগ্য প্রয়োগ পাওয়া যায়নি। সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজের (সিএপিএস) একটি গবেষণায় এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক পলিউশন স্টাডিজ (ক্যাপস) ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকার ১০টি স্থানে শব্দের মাত্রা নিয়ে বছরব্যাপী গবেষণা চালিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জরিপ করা সমস্ত অঞ্চলে শব্দ গ্রহণযোগ্য সীমা অতিক্রম করেছে। বিশেষত, নীরব এলাকায় ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ, আবাসিক এলাকায় ৯১ দশমিক ২ শতাংশ, মিশ্র-ব্যবহারের এলাকায় ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ, বাণিজ্যিক অঞ্চলে ৬১ শতাংশ এবং শিল্প অঞ্চলে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ শব্দের মাত্রা মানসীমা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: শব্দদূষণ-উপকূলীয় এলাকায় দূষণ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সচিবালয় এলাকায় শব্দের মাত্রা গড়ে ৭৯ দশমিক ৫ ডেসিবেল, যা অনুমোদিত সীমার চেয়ে অনেক বেশি।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান বলেন, 'হর্ন বাজানো বন্ধ করতে পারলে ঢাকার শব্দদূষণ ৬০ শতাংশ কমাতে পারব।’
তিনি এ সমস্যা কার্যকরভাবে রোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো ও জনগণের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আগামীর করণীয়
সরকার ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ঢাকার আরও ১০টি সড়ককে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে। তাই বিশ্বের অন্যতম কোলাহলপূর্ণ শহরটিতে শব্দ দূষণ কমার আশা করা হচ্ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ক্ষমতা দেবে।
তিনি কেবল জরিমানা এবং কারাদণ্ডের চেয়ে আরও বেশি কিছু করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনসচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণই মূল বিষয়।
উপদেষ্টা বলেন, মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন করতে সময় লাগবে, তবে যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা হর্ন বাজানো উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারি।
তিনি জরিমানা আরোপের আগে চালক এবং সাধারণ জনগণ উভয়কেই প্রশিক্ষিত করার গুরুত্বের উপর জোর দেন। শব্দ দূষণের বিষয়ে জনসাধারণের আচরণে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
১১৭ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে কারফিউ চলাকালে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ
কারফিউ চলাকালে রাতের আঁধারে মুন্সীগঞ্জের খালইস্টের সুইপার কলোনির কাছে ৮ থেকে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সোয়া ১১টার দিকে এসব ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় তল্লাশি চালায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতার প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা, আহত ২
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কারফিউ চলাকালে মুন্সীগঞ্জের খালইস্টের সুইপার কলোনির কাছে রাত সোয়া ১১টার দিকে ৮ থেকে ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠে আশপাশের এলাকার মানুষ।
এলাকাটির অবসরপ্রাপ্ত সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, কারফিউ চলা অবস্থায় পুরো জেলাই শান্ত ছিল। তবে এই জেলায় আতঙ্কের তকমা দিতে কারা এই ঘটনা ঘটালো, তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বিশেষ একটি মহল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কোটা সংস্কারপন্থীদের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০
ভোলায় সংঘর্ষ: ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪
২৮৪ দিন আগে
রাতে মাছ ধরতে গিয়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নে রাতে মাছ ধরতে গিয়ে শাহাদাত হোসেন সাধু নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার রাতে ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘপুর গ্রামের বেপারী বাড়ির কাছে ডাকাতিয়া নদীর কামতা স্লুইস গেট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত
শাহাদাত হোসেন সাধু উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাঘপুর গ্রামের মৃত শহীদুল্লাহর ছেলে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, রবিবার রাতে শাহাদাত ও তার ভাই তাজুল ইসলাম বেপারি ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভাই তাজুর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। এতে তাজুল আহত থাকলেও শাহাদাতরে জ্ঞান ছিল না। তবে তার কান থেকে অনবরত রক্ত ঝড়ছিল। তাকে দ্রুত ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু দত্ত বলেন, সোমবার সকালে শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে শাহাদাত মারা গেছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: মাটিভর্তি ট্রাক্টরের চাপায় শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ২
৩৩৪ দিন আগে
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে যাবে।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থী এবং পরবর্তী সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে ১০ দিন আগে অথবা ১০ মাস আগেও যদিও যায়, তাহলেও প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে সকালে ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি না সেটি দেখে তারপর বাক্স বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে অবৈধ কোনো ব্যালট বাক্স ঢোকার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জনের জন্য বলেছি ব্যালট পেপার সকালে পাঠাব।’ তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি না। তারা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির তিনি আরও বলেন, ‘আর মাঝখানে যদি কোনো পেশীশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বলা হয়েছে তিনি ভোট বন্ধ করে দেবেন। তিনি যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে বন্ধ করে দেবো।’
সিইসি বলেন, ‘কথাগুলো বললাম কারণ আমাদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে একটা অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যাতে দূর হয়। আমরা নির্বাহী প্রশাসন ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। এখানে ওসি, ইউএনও, ডিসি ও এসপিদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো।’
ভোট নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কতগুলো বক্তব্য আমি আরও ৬টি স্টেশনে ঘুরে শুনেছি। একটি কথা কয়েকজনে বলেছেন ভোট দিয়ে কী লাভ, ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখেও বলেছেন, আপনারা যে যেখানে ভোট দেন, ভোট জায়গামতো চলে আসবে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এটি হয়তো ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই দেন সেখান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
৪৯৪ দিন আগে
বিয়ের রাতেই আলোকসজ্জার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের মৃত্যু!
বিয়ে বাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই রূপ নিল বিষাদে। বিয়ে উপলক্ষে সাজানো আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন বর।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খারিজাগাতি মোল্লাপাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম শাকিল হোসেন। তিনি বাবা ও মার একমাত্র ছেলে। পেশায় চাল ব্যবসায়ী। তার বাবার নাম আবদুস সালাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একই উপজেলার বিদিরপুর গ্রামের বুলবুল হোসেনের মেয়ের সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরই স্বামীকে হারিয়ে নির্বাক নববধূ।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ২ গৃহবধূর মৃত্যু
স্বজনরা জানান, দুপুরে কনের বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর বিকালে বরপক্ষ কনে নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পর বর নিজেই বাড়িতে আলোকসজ্জার বাতিগুলো জ্বালিয়ে দেন। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বারান্দার গ্রিলে হাত দেন শাকিল। এ সময় তিনি বিদ্যুতায়িত হন।
আলোকসজ্জার বৈদ্যুতিক তার লিকেজ হয়ে বিদ্যুতায়িত হয়েছিল বাড়ির বারান্দার গ্রিল। শাকিলকে ওই অবস্থায় দেখে তার চাচা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রাতেই তার লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এবং সকালে তার লাশ দাফন করা হয়।
শাকিলের মা জান্নাতুল মাওয়া বলেন, আমার একটাই ছেলে। কত শখ করে তার বিয়ে দিলাম। ছেলে, ছেলের বউ বাড়িতে থাকবে। কত আনন্দ করব। আমার কিছুই থাকল না। ছোট মেয়েটাকে এখন কী করে সান্ত্বনা দেব আমি। এই মেয়েটার এখন কী হবে!
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, শাকিল ছেলেটা আমাদের চোখের সামনে বড় হলো। খুবই ভালো ছেলে ছিল সে। বিয়ের দিন তার এভাবে মারা যাওয়াটা মেনে নেওয়ার মতো না। পুরো গ্রামের মানুষ গভীর শোকাহত।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
৫৭৬ দিন আগে
রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন।
সোমবার (১১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে ভোট। এই ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টিকেই অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। ভোটের শুরুতেই প্রার্থীরা সবাই নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
এরমধ্যে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নগরের কালিবাড়িরোডস্থ সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস গোরস্থান রোডের সৈয়দ আব্দুল মান্নান ডিডিএফ আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বরিশাল নগরের রূপাতলী হাউজিং আ. রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাচ্চু ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
এছাড়া টেবিলঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন কালুশাহ সড়কের আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চহুতপুর ইস্কান্দার শরীফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান বরিশাল নগরের সদররোডের সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
এবারের নির্বাচনে বরিশাল সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৯।
মোট প্রার্থী হয়েছেন ১৬৭ জন, যার মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন।
নির্বাচনে ১০ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম
বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
৬৯৩ দিন আগে
আজ পবিত্র শবে বরাতের রাত
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাতে দেশে পালিত হবে সৌভাগ্য ও ক্ষমার রজনী পবিত্র শবে বরাত।
আরবি শাবান মাসের ১৫তম রাতে এটি পালিত হয়।
আরবি শব-ই-বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আরবি শাবান মাসের ১৫ তম রজনীতে এটি পালিত হয়। মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার সকল সৃষ্টির অতীত আমলের হিসাব নিয়ে আগামী বছরের জন্য তাদের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।
মুসলিম ধর্ম বিশ্বাসীরা আজকে সারা রাত নামাজ পড়েন, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, নিজের ও সমগ্র মানবজাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
তারা রাতের খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিশেষ এবং ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার তৈরি করেন। যেমন- হাতে তৈরি রুটি, গরুর মাংস, হালুয়া ইত্যাদি।
পবিত্র শবে বরাত কে সামনে রেখে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও গুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।
আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, পবিত্র রমজান মাস ও সৌভাগ্যের আগমনের মধ্য দিয়ে মানবজাতির মাঝে পবিত্র শবে বরাত এসেছে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
পবিত্র শবে বরাতে আমরা মহান আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ ও বৃহত্তর ঐক্য কামনা করছি। পবিত্র শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।
পবিত্র শবে বরাতে আমরা মহান আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ ও বৃহত্তর ঐক্য কামনা করছি। পবিত্র শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব যখন নানা সংকটে জর্জরিত, তখন তিনি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার এবং দুস্থ ও দরিদ্রদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'পবিত্র শবে বরাতের মহিমায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি সবাইকে মানবকল্যাণ ও জাতি গঠনে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি সকল প্রকার অবিচার, সহিংসতা ও কুসংস্কার পরিহার করে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে ইসলামের চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না: ডিএমপি
৭৮৯ দিন আগে