দ্বিতীয় বিয়ে
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ছেলের কলমের আঘাতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
ময়মনসিংহের ভালুকায় দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ছেলের কলমের আঘাতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকার কোনাপাড়া এলাকায় ছেলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ হত্যার অভিযোগে ছেলে রাব্বিকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ
নিহত মজিবুর রহমান ওরফে পান্না মাস্টার ভালুকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, পান্না মাস্টার তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে এবং পরে তালাক হয়। এরপরও কেন যোগাযোগ অব্যাহত রাখে তা নিয়ে পরিবারে কলহ বাধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে রাব্বি কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পান্নাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘পান্না মাস্টারের মৃত্যু ছেলের কলমের আঘাতে হয়েছে না কি অন্য কোনো কারণে হয়েছে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত না। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর ছেলেকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় ভ্যান অরোহী ৩ জন নিহত
৭ মাস আগে
ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে ফের আলোচনায় উপজেলা চেয়ারম্যান
ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী। বিষয়টি তিনি বিভিন্ন সময় অস্বীকার করলেও সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে বিয়ের সময়ের একটি দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।
সাঈদ মেহেদী কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর তাহমিনা আক্তার মিনা (২২) মৌতলা ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদের মেয়ে। বর্তমানে তিনি খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বামী কারাগারে
জানা গেছে, চেয়ারম্যান সাইদ দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম ঘরের ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে তহমিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিয়ের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, সরকারি কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী অবস্থান করছেন। তাকে চার বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে ওই তরুণী। এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানকে সাপ উপহার দিয়ে ধরা!
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবার বিয়ে করেছেন এমন খবর আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।
২ বছর আগে