উপজেলা চেয়ারম্যান
পাবনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেনের চাচাতো ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের ধারণা- পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ হত্যা করে থাকতে পারে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে পাবনা পৌরসভার গোবিন্দা এলাকার কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের পেছনে অফিসার্স কলোনির পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত এস এম রেজাউল হাকিম রেঙ্গুন (৪৫) পৌরসভার কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
পরিবারের বরাত দিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, রাত ১টার দিকে অফিসার্স কলোনির পুকুরপাড়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ভোরে পুকুরপাড়ের বাসিন্দারা লাশ দেখে পরিবারকে খবর দেন। এ সময় নিহতের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
তিনি বলেন, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এজন্য আমরা ধারণা করছি- পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, সকালে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনা তদন্ত ও ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
খুলনায় নিখোঁজের ২ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে ফের আলোচনায় উপজেলা চেয়ারম্যান
ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী। বিষয়টি তিনি বিভিন্ন সময় অস্বীকার করলেও সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে বিয়ের সময়ের একটি দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।
সাঈদ মেহেদী কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর তাহমিনা আক্তার মিনা (২২) মৌতলা ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদের মেয়ে। বর্তমানে তিনি খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বামী কারাগারে
জানা গেছে, চেয়ারম্যান সাইদ দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম ঘরের ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে তহমিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিয়ের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, সরকারি কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী অবস্থান করছেন। তাকে চার বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে ওই তরুণী। এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানকে সাপ উপহার দিয়ে ধরা!
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবার বিয়ে করেছেন এমন খবর আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।
২ বছর আগে