সাময়িক
রাবির দুই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদারের পাঠানো পৃথক তিনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত দুই শিক্ষককে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়া সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বহাল, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও তিন শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়েছে।
এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইনের ৫৫ (৩) ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তি দিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের স্নাতকোত্তরের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে তার ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তার পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৪৬১তম সভায় রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত এনবিআর কমিশনার মাহবুবুর
জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকারের প্রসঙ্গে ৪৬১তম সিন্ডিকেট সভার ১৩৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার কুটকৌশলের কারণে বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করেছেন প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হক, আলী আকবর ও আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী পাঁচ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিন্ডিকেট তার প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়।
৫২ দিন আগে
প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গায় বিয়ে বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও এক পুরুষকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব আনিসুজ্জামান ওই আদেশে সই করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা খাসকররা ইউনিয়নের তিওরবিলা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ তুলে তাদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা আদালতে গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান মল্লিককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা ১ এ সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা আলমডাঙ্গা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুয়াডাঙার আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই মামলা আমলে নিয়েছেণ। একারণে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন জেলা প্রশাসক। ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতার অপ্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে আদেশে বলা হয়েছে।
তাই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লাল যে অপরাধ করেছেন, তা ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। এ বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) শারমিন আক্তার বলেছেন, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানোর পর সন্তুষ্ট না হলে স্থায়ী বহিষ্কারও করতে পারেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: দুই গেটম্যান বরখাস্ত
৩৩৫ দিন আগে
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ২ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) আব্দুল আলীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বোর্ডের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি ও স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিন।বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর আব্দুল আলীম বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বোর্ডের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৭১ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব), শাখা প্রধান, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বোর্ডের সুনাম ও মর্যাদাহানি করা হয়েছে। যা সরকারি কর্মচারী চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের সামিল। এ জন্য চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি ও স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব: প্রতিমন্ত্রী
এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ার ইঙ্গিত
১০৭৮ দিন আগে