গরুর মাংস
অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
অসুস্থ গরু জবাই করে অন্য জায়গায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে দুই মাংস ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার বেলি সেতুতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা
দুই মাংস ব্যবসায়ী হলেন- নাচোল উপজেলার করমজা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এজাবুল ও একই উপজেলার বেনিপুর গ্রামের তোফাজ্জুল হকের ছেলে টুটুল।
এলাকাবাসী জানায়, এজাবুল ও টুটুল নামে দুই মাংস ব্যবসায়ী একটি অসুস্থ গরু জবাই করে পিকআপে অন্য জায়গায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রহনপুর পৌর এলাকার বেলিসেতু এলাকা থেকে তাদের আটক করে এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাউসার আলী বলেন, অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মাংসগুলো জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, জরিমানার পাশাপাশি ওই মাংস বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং জব্দ মাংস মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়।
এছাড়া অভযিুক্ত দুইজনই আদালতে অপরাধ স্বীকার করেন বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজলো প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাউসার আলী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজে সহযোগিতা করেন- রহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অংক বাড়ানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
‘ঈদ যাত্রায় ভাড়া-গতি-যাত্রী অতিরিক্ত হলে এক লাখ টাকা জরিমানা’
৬ মাস আগে
খুলনায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
রমজান মাসকে সামনে রেখে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খুলনা ব্লাড ব্যাংক।
শুক্রবার (২১ মার্চ) খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় এই মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রথম দিনে ৫০০ জন ক্রেতার মধ্যে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে এই মাংস বিক্রি করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খুলনা ব্লাড ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
শুক্রবার সকাল ১০টায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি সালেহ উদ্দিন সবুজ জানান, রমজান মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, কেসিসি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ এই কাজে সহযোগিতা করেছে। আপাতত প্রতি শুক্রবার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
উল্লেখ্য খুলনার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭২৫-৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি প্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ঈদে ১০ টাকায় ‘গরীবের কসাইখানা’র গরুর মাংস!
‘গরীবের কসাইখানা’ নামের ব্যতিক্রমী ঈদ বাজার আয়োজনের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মুখে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে হাসি ফুটিয়েছে বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার কামারখাড়া স্কুল মাঠে ১০ টাকার বিনিময়ে নিম্ন আয়ের তিন শতাধিক পরিবার ১০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস, এক কেজি পোলাও চাল ও মাংসের মশলা কিনে নেয়।
এমন আয়োজনে হাসি ফুটেছে অসহায় নিম্নআয়ের মানুষের মুখে। এর আগে রমজানের শুরুতে ১০ টাকায় ইফতার বাজার আয়োজন করেছিলো সংগঠনটি। এ নিয়ে ১০ টাকার বাজার থেকে ৫১৩টি পরিবার বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করেন।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় এশিয়ার বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার হাইয়ারপাড় গ্রামের সেফালি বেগম (৩৫) বলেন, ‘বাজারে অনেকগুলো গরু জবাই করছে। তা দেখে ছোট পোলায় বায়না ধরছে ঈদ গরুর মাংস খাবে। তিনদিন ধরে পোলারে বুঝাইতাছি আজ না কাল, কিন্তু গরুর মাংস তো সাড়ে ছয়’শ টাকা কেজি কেমনে আনবো। ঈদর দিন পোলায় মন খারাপ করবো। সেই চিন্তায় ঘুম আসে না। কিন্তু আল্লাহ ছোট বাচ্চাটার মনের ইচ্ছে পূরণ করছে। তাই তো হঠাৎ করে এতো কম টাকা দিয়ে গরুর মাংস কিনলাম। এই দামে তো আমার বাপ-দাদারাও কিনে নাই।’
২ বছর আগে
ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর মাংসের বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস ও সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম।
রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকার মাংসের বাজার ঘুরে দেখে গেছে ব্যবসায়ীরা গরুর মাংস বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৭০০ টাকা (গড়) থেকে ৭৫০ টাকা (প্রিমিয়ার কোয়ালিটি)।
আরও পড়ুন: ঈদের আনন্দ নেই গাইবান্ধার চরাঞ্চলের
মুগদা এলাকার মাংসের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, যদিও তালিকায় প্রতি কেজি ৭০০ টাকা লিখা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের মতো এবারও ঈদে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রমজানের প্রথম থেকে ২৬ রোজা পর্যন্ত প্রতি কেজি ছিল ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা এবং শুক্রবার থেকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা গবাদি পশুর উচ্চ মূল্য এবং তাদের পরিবহনের উচ্চ খরচকে দায়ী করেছেন।
গরুর মাংস কিনতে বাজারে আসা শান্তিনগরের বাসিন্দা ইয়াকুব জানান, ‘রমজানের শুরুতে আমি এক কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় কিনতাম। রবিবার ৭৫০ টাকায় কিনলাম। আমাদের বলার কিছু নেই।’
এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
কাপ্তান বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, শনিবার তিনি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছেন ১৭০ টাকা কেজি, যা রবিবার ১৯০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: সৌদির সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের ৩ ইউনিয়নে ঈদ উদযাপন
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি এটি প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। সোনালী ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। রবিবার সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, যা রমজানের শুরুতে প্রতি কেজি ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা।
লেয়ার (লাল) মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ টাকায় এবং সাদা লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।
২ বছর আগে