ম্যানিলা
গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘জনসেবা ও কূটনীতি’ ক্ষেত্রে তার ‘অনুকরণীয় সাফল্যের’ জন্য গুসি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
গুসি শান্তি পুরস্কারটি ফিলিপাইনের ম্যানিলার ‘গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন’ দিয়ে থাকে, যা প্রেসিডেন্সিয়াল প্রক্লেমেশন নং ১৪৭৬ দ্বারা বাধ্যতামূলক। এটি এমন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখেন।
প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে গুসি শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এটি ফিলিপিনো ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৪টি দেশের (অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন এবং ফিলিপাইন) থেকে ২০২২ সালে ১৪জন এই পুরস্কারটি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং ২০০৯ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে চেয়ারপার্সনও ছিলেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস করেছেন। পরে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে মাস্টার্স করেন। ২০১৮ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ বছরের নারী শিক্ষার ইতিহাসে ১৫০ জন নেতৃস্থানীয় নারীর একজন হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
তার বাবা এমএ ওয়াদুদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। যিনি প্রথম কাউন্সিল ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি দেশের অক্সফোর্ড শিক্ষিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৌফিক নওয়াজের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান তৌকির রাশাদ নওয়াজ এবং তানি দীপাবলি নওয়াজের মা।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
২ বছর আগে
ফিলিপাইনে ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষ উদ্ধার
ফিলিপাইনের ম্যানিলার দক্ষিণের একটি বন্দরের কাছে ‘এমভি এশিয়া ফিলিপাইন’ নামের একটি ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ওই ফেরি থেকে যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ৮০ জনের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে এখনও দুজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, এমভি এশিয়া ফিলিপাইন ৪৯ জন যাত্রী ও ৩৮ জন ক্রু নিয়ে যাত্রা করেছিল।
শনিবার কর্মকর্তারা জানায়, ঝোড়ো বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায়। দুইজন যাত্রীর খোঁজে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত না দুজন নিখোঁজ আছেন নাকি ইতোমধ্যেই তারা অন্য যাত্রীদের সঙ্গে পাড়ে উঠে এসে কর্মকর্তাদের না জানিয়েই তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ি চলে গেছেন।
উদ্ধারকৃত যাত্রীদের একজন জানান, ফেরিটি ওরিয়েন্টাল মিন্ডোরো প্রদেশের কালাপান শহর থেকে যাত্রা শুরু করে। বাটাঙ্গাস বন্দর থেকে প্রায় এক মাইল দূরে থাকার সময় দ্বিতীয় ডেক থেকে ধোঁয়া বের হয় এবং তারপরে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
বন্দরের কাছাকাছি চলে আসায় উপকূলরক্ষী কর্মকর্তারা দ্রুত জাহাজ, মোটর ব্যাঙ্কাস ও টাগবোট নিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করে।
উপকূলরক্ষী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোস্টগার্ড একটি জাহাজ নিয়ে গিয়ে ফেরিটির আগুন নেভাতে সমর্থ হয়। ফেরিটিতে অন্তত ১৬টি গাড়ি ও ট্রাক ছিল।
অপর এক যাত্রী বেনেডিক্ট ফার্নান্দেজ শুক্রবার রাতে ডিজেডএমএম রেডিওকে জানান, ফেরিটি বন্দরের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রু সদস্যরা একটি ইঞ্জিন চালু ও বন্ধ করার চেষ্টা করার সময় দ্বিতীয় ডেক থেকে ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, তিনি অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে তৃতীয় ডেক থেকে তার দুই সন্তানকে নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
উপকূলরক্ষীরা বলেছেন, সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে যখন ফেরিগুলো নিয়ম অমান্য করে অধিক যাত্রী বহন করে। তবে এই ফেরিটি প্রায় ৪০০ যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এখনও তদন্ত চলছে।
ঘন ঘন ঝড়, খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা নৌযান ও অতিরিক্ত ভিড় প্রভৃতি কারণে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রায়ই সমুদ্র দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে, ফেরি ডোনা পাজ একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে ডুবে যায়। শান্ত সমুদ্রে হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ সামুদ্রিক বিপর্যয় এটি। এ ঘটনায় প্রায় ৪৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
২ বছর আগে
ফিলিপাইনে দুর্বৃত্তের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
ফিলিপাইনের মেট্রো ম্যানিলার পাসায় শহরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন (৬৩) বাংলাদেশ গার্মেন্টস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ফিলিপিন্স করপোরেশনের সভাপতি। তিনি ২৬ বছর আগে ব্যবসার উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে পাড়ি জমান। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাইচাল গ্রামে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
নিহতের ভাই আবুল হোসেন ইউএনবিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, তার ভাই আনোয়ার হোসেনের লাশ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
এছাড়া এ ঘটনায় ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হজযাত্রী নিহত
২ বছর আগে