অকটেন
৫ টাকা কমল জ্বালানির মূল্য, বুধবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর
সরকার সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধির ২৩ দিন পর প্রতি লিটারে কমালো মাত্র পাঁচ টাকা।
এর আগে জ্বালানি মূল্য কমানোর হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ইউএনবিকে তিনি বলেছিলেন, এখন ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানির নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হবে।
দুই এক দিনের মধ্যে জ্বালানির মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করবে সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের এমন মন্তব্যের পর এই ঘোষণা আসল।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সরকার রেকর্ড পরিমাণ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে। ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠার আশা তৌফিক-ই-ইলাহীর
২ বছর আগে
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে পরিবর্তিত মূল্য কার্যকর হবে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা দাম হবে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, অকটেনের দাম হবে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম হবে ১৩০ টাকা।
পড়ুন: সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব: নসরুল হামিদ
কয়লার প্রথম চালান রামপালে, অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু
২ বছর আগে
উত্তরের অনেক জেলায় জ্বালানি সংকট, যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি
দিনাজপুরসহ উত্তরের আট জেলায় তীব্র জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। যানবাহনে ব্যহারের জ্বালানি পেট্রোল ও সীমিত পরিমাণ অকটেন মিললেও তাতে যানবাহনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।
জানা গেছে, ঈদের আগে খুলনা থেকে সর্বশেষ দুই লাখ লিটার পেট্রোল সরবরাহ করা হয়েছিল ডিপোতে। ফলে পেট্রোলের পরিবর্তে যানবাহনে অকটেন ভরতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এতে চাপ পড়েছে অকটেনে। অন্যদিকে সীমিত পরিমাণে অকটেন পাওয়া গেলেও তা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। ফলে পর্যাপ্ত সরবরাহ না পাওয়ায় জ্বালানি বহনকারী ট্যাংকারের ভিড় জমেছে ডিপোর সামনে।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
সংশ্লিষ্টরা জানায়, উত্তরাঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী পেট্রোল, অকটেনসহ ডিজেল চট্রগ্রাম থেকে খুলনা হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে হেড ডিপোতে পৌঁছে। তবে ঈদের পর ডিপোতে এক লিটার পেট্রোলও সরবারহ করা হয়নি। ফলে পেট্রেল নির্ভর মোটরযান ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যান্ত্রিক বাহন চালকদের চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।
কবে নাগাদ এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছেন না পেট্রো বাংলার স্থানীয় কর্মকর্তারা। তবে সোমবার খুলনা থেকে পেট্রোল ও অকটেন বহনকারী রেলওয়ে রেকার ডিপোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
এ বিষয়ে পার্বতীপুরে রেলওয়ে হেড ডিপোর ব্যবস্থাপক ইমরান জানান, রবিবার ডিপোতে দুই লাখ লিটার অকটেন সরবরাহ করা হয়েছিল। উত্তরের আট জেলায় পেট্রোল পাম্পের সংখ্যা ১২৫টি।
আরও পড়ুন: রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ
তিনি জানান, ডিপোতে পেট্রোলের ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ৫৭ হাজার লিটার এবং অকটেন এক লাখ ৮০ হাজার লিটার। প্রায় খালি পড়ে রয়েছে ডিপোর প্রতিটি স্টোরের ট্যাংক।
প্রসঙ্গত, উত্তেরের আট জেলায় চাহিদা মত দ্রুত জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে হেড ডিপো স্থাপন করে পেট্রোবাংলা। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদে জ্বালানি সংকট দূর করতে ডিজেলের পাশাপাশি অন্যান্য জ্বালানি পেট্রোল ও অকটেন সরবারহ করা হয় ওই ডিপো থেকে।
২ বছর আগে