রাজাপাকসে
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের মিত্র দিনেশ গুণবর্ধন
শ্রীলঙ্কায় শুক্রবার রাজাপাকসের রাজনৈতিক পরিবারের এক মিত্রকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে নির্বাচিত ও শপথ নেয়া দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে তার স্কুল সহপাঠী দিনেশ গুণবর্ধনকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন। ৭৩ বছর বয়সী গুণবর্ধন বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য।
রাজধানী কলম্বোর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে গত ১০৪ দিন ধরে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের শিবির সরিয়ে দেয়া এবং তাদের বেশ কয়েকজনকে নিরাপত্তা বাহিনীর গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর গুণবর্ধনের এ নিয়োগ দেয়া হলো।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নেতাদের পদত্যাগের দাবিতে শ্রীলঙ্কানরা কয়েক মাস ধরে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন। এ সংকটের কারণে ২২ মিলিয়ন মানুষের এই দ্বীপ দেশে ওষুধ, খাদ্য ও জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। তার পরিবার গত দুই দশকের অধিকাংশ সময় শ্রীলঙ্কা শাসন করেছে। তবে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে জনরোষের কারণে পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নপত্র গ্রহণে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কান পার্লামেন্ট
২ বছর আগে
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে রাজাপাকসে সরকার।
মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাদের জনগণ বা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করতে করতে দেখা যাবে তাদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একদিন আগে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আটজন নিহত হওয়ার পর এ নির্দেশ আসে।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলার পরই এই সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কমল গুনারত্নে বলেছেন, সহিংসতায় ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি, দুই পুলিশসহ আটজন নিহত এবং ২১৯ জন আহত হয়েছেন। ১০৪টি ভবন এবং ৬০টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
৩৬ ঘণ্টার দেশব্যাপী কারফিউ উপেক্ষা করে কয়েকশ বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। কিছু লোক সরকার সমর্থকদের বাড়িতেও হামলা করে। তবে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবারে সহিংসতা কম হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বেশ কিছুদিন ধরে রাজাপাকসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে চলছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ববিৃতি জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তিনবাহিনীকে সরকারি বা ব্যক্তিদের সম্পত্তি ধ্বংস বা ক্ষতি করার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে।
গুনারত্নে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ বলবৎ আছে কিন্তু আমরা দেখছি কিছু যুবক বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা, হত্যা এবং লুট করছে।’
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করার অঙ্গীকার ভারতের
শ্রীলঙ্কায় কারফিউ উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
২ বছর আগে
আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পরিণতি সংগ্রামরত শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে এই সরকারের শিক্ষা নিয়ে লাভ হবে না। কারণ শিক্ষা নিতে জানে না তারা। তাহলে এই ১০ বছরে শিক্ষা নিতে পারত।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল আরও বলেন, ‘তাদের (বর্তমান সরকারের) অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে। শ্রীলঙ্কার লোকেরা (শাসক দলের লোকেরা) নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে, আর তারা (আ.লীগ নেতারা) বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দেবে।’
সোমবার গভীরতর অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় গণ অসন্তোষের মুখে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেছেন।
ফখরুল বলেন, সোমবার রাতে তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আসা এবং তাতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
দলের অবস্থান পুনরায় স্পষ্ট করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ২ দিনব্যাপী বিক্ষোভ
এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটিও মনে করে জাতীয় নির্বাচনে ভোটের জন্য ইভিএম গ্রহণযোগ্য না।
প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তা নিয়ে প্রশ্ন করে ফখরুল বলেন, ইভিএম ব্যবহার করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এতেই বোঝা যাচ্ছে সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির জন্য সরকারকে দায়ী করা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বৈঠকে মনে করা হয় সরাসরি সরকারের মদদপুষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের সুবিধা দিতে (সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।
ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বিদেশ সফরে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস বিএনপিকে ধোঁকা দেয়ার ফাঁদ: রিজভী
সরকার ক্ষমতা না ছাড়লে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় যাবে না বিএনপি: ফখরুল
২ বছর আগে