মানুষের কল্যাণ
সব মানুষের কল্যাণে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: কৃষিমন্ত্রী
সব মানুষের কল্যাণের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, ‘জনকল্যাণে এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অনন্য উদ্যোগ। কেউ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না। এই পেনশন ব্যবস্থা অবসরকালীন সময়ে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং শেষ বয়সে কারো কাছে হাত পাততে হবে না।’
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় গবেষণা জোরদার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা ও পেনশন মেলায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা অবসরে গেলে পেনশন পান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত এবং দেশের অন্যান্য মানুষ পেনশনের সুবিধা পান না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা বয়স্কদের ঠিকমতো দেখভাল করেন না, অনেক সময় বৃদ্ধাশ্রমে বয়স্কদের রেখে আসেন। শেষ বয়সে অনেকেই ট্যাবলেট কিনতে পারেন না। এক্ষেত্রে পেনশন স্কিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেনশনে যুক্ত হলে শেষ বয়সে টেনশনে থাকতে হবে না। ছেলে ও মেয়ে দেখছে না বলেও অভিযোগ করতে হবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির শিখড়ে উঠেছে। তার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে।’
আরও পড়ুন: কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ: কৃষিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
এম এ মুহিত সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন ভালো মানুষ ছিলেন। দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে সারাজীবন তিনি কাজ করে গেছেন। তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন সফল মানুষ হিসেবে সর্বসাধারণের ভালোবাসা পেয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত মরহুম মুহিতের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা মুহিতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এভাবেই তাঁর স্মৃতিচারণ করেছেন।
মুহিতের ছোট ভাই, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় মূলবক্তা ছিলেন মুহিতের বন্ধু, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক।
মুহিতের স্মৃতিচারণ করে মোকাম্মেল হক বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নের জন্য সারাজীবন চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুহিত বিশেষ অবদান রেখেছেন।
মুহিতের ব্যক্তিত্বের স্মৃতিচারণ করে সাবেক এই সচিব বলেন, তিনি কখনো ক্ষমতার বড়াই করতেন না। তিনি দীর্ঘকাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সফলভাবে, মর্যাদার সাথে দায়িত্ব পালনকালেও তিনি ক্ষমতায় আছেন কি নাই তা কখনো বুঝা যেত না। তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞায় দেশ ও জনগণ অনেক উপকৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, মুহিত ভাইয়ের মৃত্যুতে আমি শুধু নিজের বড়ভাইকে হারাইনি বরং হারিয়েছি একজন প্রকৃত বন্ধু ও একজন আন্তরিক সহকর্মীকে। একইসাথে দেশ হারিয়েছে এক অমূল্য সম্পদকে।
তিনি বলেন, মুহিত ভাই আমার তো বটেই, আমাদের অনেকের জন্যেই তিনি ছিলেন একজন মেন্টর।
মুহিতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মুহিত ভাই দেখিয়ে গেছেন-সততা, আন্তরিকতা, ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকলে মানুষ যেকোনো ভালো কাজ বাস্তবায়ন করতে পারে। মুহিত ভাই পৃথিবীর সকল ভালো ভালো আইডিয়া গ্রহণ করতেন আর দেশের জন্য সেগুলো কাজে লাগাতেন।
ড. মোমেন বলেন, মুহিত ভাইয়ের স্মরণে এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর এই উপলক্ষে আমাদের প্রতিজ্ঞা করা প্রয়োজন, আমরা যেন সবাই দেশকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসি, দেশের জন্য কাজ করি।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেকের সঞ্চালনায় এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতৃস্থানীয়সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
২ বছর আগে