ভূ-রাজনৈতিক
ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
মডার্ন ডিপ্লোমেসি শুক্রবার(১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর গ্রুপ ব্রিকসের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো- সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের আধিপত্য হ্রাস করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপের ফলে ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই পদক্ষেপ আমেরিকান আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘দশকের পর দশক ধরে মার্কিন ডলার বিশ্ব বাণিজ্য ও লেনদেনে সর্বোচ্চ রাজত্ব করেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অতুলনীয় অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছে। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে এবং বল প্রয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্র তার ডলার ও অর্থনীতিকে ব্যবহার করছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হাতিয়ার হিসেবেও ডলারকে ব্যবহার করছে।’
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
এতে আরও বলা হয়, মার্কিন আধিপত্য, শ্রেষ্ঠত্ব ও জবরদস্তির বিরুদ্ধে একত্রিত হতে তাদের মধ্যে যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে তা ক্রমাগত বাড়ছে। ‘ব্রিকসের একটি একক মুদ্রার প্রস্তাবিত প্রবর্তন বা ডি-ডলারাইজেশনের লক্ষ্য এই স্থিতাবস্থাকে পরিবর্তন করা। এর মাধ্যমে সম্ভাব্যভাবে মার্কিন প্রভাব ও ক্ষমতা হ্রাস করবে। যা ডলারের আধিপত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।’
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ব্রিকস একটি শক্তিশালী জোট এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি এটি আমেরিকান প্রভাবের ঊর্ধ্বে।’ ‘ব্রিকস বিশ্ব অর্থনীতিকে সামগ্রিকভাবে রূপান্তরিত করার অবস্থানে রয়েছে। এই পদক্ষেপ মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক আধিপত্যের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং পূর্বাঞ্চলে টেক্কা দিতে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।’
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
১ বছর আগে
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঢাকা-সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ বাড়িয়েছে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন বলেছেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা তৈরিতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জের চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলো ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঝুঁকি এবং তাদের বিনিয়োগ ও অংশীদারদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রমশ কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠছে।’
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সেমিনারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি কমাতে বা এড়ানোর জন্য কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠছে।
রাষ্ট্রদূত লি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে নয়, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয়ভাবেও সকলের জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-সিউল
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে বিপর্যয়ের ফলে কোরিয়া ও বাংলাদেশসহ অনেক দেশই সমস্যায় পড়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এই নজিরবিহীন ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের সকলকে আগের চেয়ে আরও বেশি পারস্পরিক সহযোগিতা করতে হবে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টার যৌথভাবে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর: প্রবণতা ও দিকনির্দেশনা’ বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে