উত্তর কোরিয়া
নয়াদিল্লি মিশন থেকে বাংলাদেশের বিষয়গুলো দেখবে উ. কোরিয়া: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধ হওয়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে আবারও ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে প্রথম দূতাবাস খোলে ১৯৭৪ সালে। ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান মিশনগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে কোরিয়ান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার তিন কর্মকর্তাসহ ঢাকা ত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
১১ মাস আগে
উ.কোরিয়া ফের সমুদ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে: দ. কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে শনিবার ফের সমুদ্রের দিকে একটি সন্দেহভাজন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দ.কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়ার একদিন পরেই উ.কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, এদিন বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে পিয়ংইয়ং এর সুনান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে অস্ত্রটি কোথায় পড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা হয়নি।
উ.কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দ.কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে একাধিক পরিকল্পিত সামরিক মহড়া ঘোষণা করে।
এরপর উ.কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ‘অভূতপূর্ব’ শক্তিশালী পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।
উ.কোরিয়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম একটি স্বল্প-পাল্লার অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এবছর উত্তর কোরিয়া ৭০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে অস্ত্র প্রদর্শনে রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সক্ষমতাসহ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
উ.কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো মূলত দ.কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার হুমকি।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
উ.কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০২৩ সালে তার পরমাণু কর্মকাণ্ড দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি দেশটির পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলো ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’ ও ‘শত্রু’ দ.কোরিয়াকে লক্ষ্য করে যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদন এবং আরও উন্নত আইসিবিএমগুলো বিকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি গত সপ্তাহে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের সময় এক ডজনেরও বেশি আইসিবিএম প্রদর্শন করেন।
সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কিম তার দেশের সামরিক সক্ষমতা সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়ে আসছেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অচলাবস্থা বজায় রয়েছে।
শুক্রবার উ.কোরিয়া এক বিবৃতিতে এই বছর ওয়াশিংটন ও সিউলকে ২০ রাউন্ডের বেশি সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। যার মধ্যে বড় আকারের মহড়াও রয়েছে এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করছে’ বলে বর্ণনা করেছে।
দ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইনপ্রণেতা কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে সিউল ও ওয়াশিংটন মার্চের মাঝামাঝি সময়ে একটি বার্ষিক কম্পিউটার-সিমুলেটেড সম্মিলিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।
দ.কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির উপমন্ত্রী হিও তাই-কেউনের মতে, ১১ দিনের প্রশিক্ষণ উ. কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন অনির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রতিফলিত করবে।
হিও বলেন, দুই দেশ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যৌথ মহড়াও পরিচালনা করবে, যা বিগত কয়েক বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া মহড়ার তুলনায় বড় হবে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
শিগগিরই নতুন ‘কৌশলগত অস্ত্র’ প্রদর্শন করবে উত্তর কোরিয়া: কিম
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু ব্যবহারের হুমকি কিমের
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সতর্ক করে বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্ভাব্য সামরিক সংঘর্ষে তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৫০-৫৩ কোরিয়ান যুদ্ধের সমাপ্তির ৬৯তম বার্ষিকীতে বুধবার এক বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা এ হুঁশিয়ারি দেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোন সঙ্কটে সাড়া দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। পাশাপাশি দেশের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধও তার মিশন অনুযায়ী সঠিকভাবে এবং দ্রুততার সাথে তার পূর্ণ শক্তি একত্রিত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি উত্তর কোরিয়াকে তার শত্রুতামূলক নীতির ন্যায্যতা দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পৈশাচিক’ করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্বৈত আইন’ যা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত রুটিন অ্যাকশনকে ‘উস্কানি’ এবং ‘হুমকি’ হিসাবে উপস্থাপন করে।
কিম দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ‘একজন দ্বন্দ্বের পাগল’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ইউন সুক ইওলে অতীতের দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের চেয়ে আরও এগিয়ে গেছেন।
মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইউন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিউলের সামরিক জোটকে শক্তিশালী করতে এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে নিরপেক্ষ করার জন্য একটি পূর্বনির্ধারিত স্ট্রাইক সক্ষমতা সহ তার ক্ষমতাকে আরও জোরদার করতে চেষ্টা চালিয়ে নিচ্ছেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের জাতির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ সম্পর্কে কথা বলা, যাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে যেগুলো তারা সবচেয়ে বেশি ভয় পায়, এটি অযৌক্তিক এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। এই ধরনের বিপজ্জনক প্রচেষ্টা অবিলম্বে আমাদের শক্তিশালী বাহিনীর দ্বারা শাস্তি দেয়া হবে এবং ইউন সুক ইওল সরকার এবং তার সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করা হবে।’
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডকে দ্বৈত মানের এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি ‘শত্রু নীতি’ বলে অভিযুক্ত করছে।
পড়ুন: জাপানে নারীরা অবমূল্যায়িত: জাপানি মন্ত্রী
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
২ বছর আগে
উ. কোরিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত, দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন
উত্তর কোরিয়ায় প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিতের পর দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের আদেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছে। তবে শনাক্তের সংখ্যা জানায়নি।
অন্যান্য দেশ করোনার টিকা দেয়ার প্রস্তাব দিলেও টিকা কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। এর পরিবর্তে দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং কোনো করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিতে ভাইরাসটি উপস্থিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
এদিকে বহিরাগতরা বলছেন, কোভিড-১৯ এর টিকা কর্মসূচির অভাবে দেশের ২৫ মিলিয়ন মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং-উন প্রাদুর্ভাব নির্মূল করতে অঙ্গীকার করেছেন এবং এটিকে ‘গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বলেও অভিহিত করেছে দেশটি।
নতুন কোভিড নিয়মের রূপরেখা নিয়ে বৈঠকে কিমকে টেলিভিশনে মাস্ক পরতে দেখা গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি প্রথমবারের মতো মাস্ক পরেছেন। তিনি দ্রুতই এটি সরিয়ে ফেললেও উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা তা পরে রাখেন।
কেসিএনএ জানায়, বৃহস্পতিবার কিম ‘সর্বোচ্চ জরুরি’ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের আদেশ দিয়েছেন যার মধ্যে স্থানীয় লকডাউন এবং কর্মক্ষেত্রে জনসমাগমের কড়াকড়ির আদেশ অন্তর্ভুক্ত বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
উত্তর কোরিয়ার নিউজ আউটলেটটি জানিয়েছে, চারদিন আগে রাজধানীতে করোনার ওমিক্রন ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়।
সিউল ভিত্তিক মনিটরিং সাইট এনকে নিউজ জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের কমপক্ষে দুদিন লকডাউনের মধ্যে থাকতে হবে।
২ বছর আগে