আবরার ফাহাদ
আবরার ফাহাদ হত্যার ৫ বছর, এক মায়ের অন্তহীন দুঃখ
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর বর্বর ও নৃশংস নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। আবরার ফাহাদ হত্যার ৫ বছর পূর্ণ হলো আজ (৭ অক্টোবর)।
সকালে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের পাশে আবরারের বাড়িতে গেলে মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। আবরারের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে যন্ত্র কৌশলে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আবরার ফাহাদের মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে বুয়েটে কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকায় গেছেন।
কথা হলে অশ্রুসিক্ত নয়নে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন,‘এইদিন একই বারে ছেলেকে সকালে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিলাম। বিকালে বুয়েটে পৌঁছায়। এরপর তাকে ছাত্রলীগের ছেলেরা ডেকে রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করে। তারা ছাত্রলীগ করলেও তারই কয়েকজন বন্ধু ছিল। তারাও একটি বারের জন্যও ফোনে জানায়নি ছেলেকে হত্যার বিষয়ে।’
এ সময় শোকেসের গ্লাস সরিয়ে একটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন বের করে দু হাতে নেড়ে চেড়ে বললেন, এগুলো ছেলের। যত্নে রেখেছি আজও। আবার খুব যত্নে সেগুলো শো কেচের ভেতরে রাখলেন।
এবার বললেন, জানো বাবা আজ যদি আমার ছেলে বেঁচে থাকতো তাহলে চাকরি করত। আরও কত কি হতো। এভাবেই স্মৃতিচারণ করতে থাকেন মা রোকেয়া খাতুন।
আরও পড়ুন: বুয়েটছাত্র আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
তিনি বলছিলেন,‘ছেলের আম্মু আম্মু ডাক এখনও কাজে বাজে। ভুলতে পারি না। কিভাবে ভুলব। এই সন্তানকে ভোলার নয়। তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা মনে হলেই শিউরে উঠি।’
তিনতলার বাড়ির নিচতলাতে থাকেন তারা। একটি কক্ষ বেশ পরিপাটি করে সাজানো। খাটের একপাশে বড় একটি শো কেচ। সেটির পাশে দাঁড়িয়ে রোকেয়া খাতুন বললেন, ছেলের বুয়েটে যে বিছানায় থাকতো। সেখান থেকে সব জিনিসপত্র নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনও নেওয়া হয়েছে। সেগুলো বের করে দেখিয়ে আবারও কেঁদে উঠলেন তিনি।
শো কেচের ভেতর হাতঘড়ি থেকে শুরু করে ব্যাগ, বইপত্র, প্রসাধনী, আইডিকার্ডসহ আরও অনেক কিছুই যত্ন করে তুলে রেখেছেন। জুতা, একটি গোলক,পোশাক,জায়নামাজ ও তজবি রয়েছে। কিছু চকলেট দেখিয়ে বললেন, এগুলোও পেয়েছিলেন। আবরার ঘুমানোর সময় চকলেট মুখে দিয়ে ঘুমাতো। সেগুলোও পাঁচ বছর ধরে রেখেছেন। হাতঘড়ির কাটা বন্ধ হয়ে গেছে। সেটিও দেখালেন আর বললেন,আর কতদিন চলবে।
রোকেয়া খাতুন জানাচ্ছিলেন, তার ছেলে সব সময় দেশের ভালোর জন্য লিখতেন। দেশ নিয়ে ভাবতেন। দেশের স্বার্থে ভালো কিছু লিখেই তিনি একটি দলের কাছে শত্রু হয়ে গিয়েছিল। আবরারতো কোনো রাজনীতি করত না। তাহলে কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে? আর যারা হত্যা করল তারাতো তারই বন্ধু ছিল। তারা কি দেশের ভালো চাইতো না প্রশ্ন করছিলেন রোকেয়া খাতুন।
হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি হয়েছে। কেউ কেউ পলাতক রয়েছে। সব আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকের জোর দাবি জানান মা রোকেয়া।
এদিকে গতকাল রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ফেসবুকে এক আবেগঘণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার আসামি ক্লাসে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সেখানে তিনি লিখেছেন- ‘২০১৯ সালের আজ অর্থাৎ ৬ অক্টোবর ভাইয়া ঢাকাতে যায়। ২৬ সেপ্টেম্বরে কুষ্টিয়াতে আসার পরেই ইলিশ আর ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে দুটি পোস্ট দিয়েছিল। সেদিন আম্মু নিজে ভাইয়াকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসছিল। এরপর মাত্র ১৩-১৪ ঘণ্টার মধ্যে ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। আর ২০ ঘণ্টা পরই বাসায় আসে মৃত্যুর সংবাদ।
সেদিন সকালে যাওয়ার আগে ৯টার দিকে আম্মু আমাকে ডেকেছিল। ভাইয়া চলে যাচ্ছে, ওঠ। কিন্তু ভাইয়া বলে, ‘না থাক, অনেক রাতে ঘুমাইছে ঘুমাতে দাও। আমি চলে গেলাম। তুই বেশিদিন থাকিস না তাড়াতাড়ি ঢাকা চলে আসিস।’ যাওয়ার আগের রাতে আম্মুকে ভাইয়া বলেছিল, ‘আম্মু অনেক ছারপোকা কামড়ায়। পিঠে একটু হাত বুলিয়ে দেও তো। কোনো দাগ হয়ে গেছে নাকী? আচ্ছা তোমার কাছে কী এমন কোনো ওষুধ আছে যা লাগালে আর কামড়াবে না আমাকে?’ ‘অনেক দিন হয়ে গেল ভাই’
এর দুইঘন্টা পর আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে একটি অডিও পোষ্ট দিয়ে তিনি লেখেন ‘৫ বছর আগের এই রাতে ভাইয়ার শেষ ফোন কল ছিল এটি, ভাইয়ার এক স্টুডেন্টের মায়ের সঙ্গে। এর পরেই ভাইয়াকে মারতে শুরু করে। এই রেকর্ড থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় ওই সময়ে ঠিক কী পরিমাণ ভয় ভাইয়া পেয়েছিল। কিন্তু খুনিগুলো তাও কোনো দয়া দেখায় নি।
অথচ যারা এই খুনিদের তৈরি করেছিল, তাদেরকেই ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে এখন!
৬ অক্টোবর ২০১৯ এর রাত ৯টা ৪০ এর কথোপকথন। আম্মু ১১টা ১৬ মিনিটে দুইবার ফোন দিলেও আর ধরতে দেয়নি।
তিনি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারসহ যেসব আসামি কারাগারে রয়েছে তাদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় তেমন কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি। সকালে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়ায় তার কবরস্থানের দোয়া করেন মা রোকেয়া খাতুন।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
২ মাস আগে
আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের কাছে মানববন্ধন করেছে স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার (এসএটি) সদস্যরা।
এসএটি সদস্যরা 'সাধারণ ছাত্রদের' ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। যেখানে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী যোগ দেয়।
এসএটি’র আহ্বায়ক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘আমরা হামলার বিচার ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি, যাদের কোনো অন্যায় করা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের একচোখা আচরণ আবারও প্রকাশ পেয়েছে, কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় অন্য দলের সদস্যরা গুরুতর আহত হয়।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এসএটি’র সদস্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘কারাগারে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেননি ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন কর্মী।’
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাবির উর্দু বিভাগের ছাত্র ও এসএটি’র সদস্য আহনাফ সাঈদ খান বলেন, ‘আবরার এমন একজন যিনি দেশকে ভালোবাসতেন এবং দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার স্মৃতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলার অর্থ সরাসরি দেশের প্রতি অসম্মান।’
৭ অক্টোবর নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মীরা।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর আরেকবার হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
হামলায় আহত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ কর্মীকে পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলে তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটে চান্স পেয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোটভাই
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ সদস্য আদালতে হাজির
২ বছর আগে
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ সদস্য আদালতে হাজির
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে করা মামলায় গ্রেপ্তারের একদিন পর শনিবার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ জন পদাধিকারী ও কর্মীকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ জানান, ‘শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ছাত্র অধিকার পরিষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদ সদস্যদের ওপর দ্বিতীয়বার হামলা চালায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
পরবর্তী অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নিজেদের হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ স্মরণে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশে ছাত্রলীগের সদস্যরা হামলা চালালে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়।
বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্যরা নির্দয়ভাবে পেটালে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আবরার হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির জেল আপিল গ্রহণ
২ বছর আগে
ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের স্মরণসভা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
বিকাল ৪টার দিকে আবরারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে হামলা চালায়। হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচির চেয়ার ও মাইক্রোফোন ভাঙচুর, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিন উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক শিমুল খান, আবদুর রহিম, জহুরুল হক হল শাখার সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনসহ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে ঢাবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আবারও সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের গ্রন্থাগার সম্পাদক জাহিদ আহসান ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিনসহ প্রমুখ আহত হয়েছেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ইউএনবিকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনো উসকানি ছাড়াই একটি ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’ চলাকালে আমাদের ১২ কর্মীকে আহত করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের দেখতে গেলে ছাত্রলীগ আবারও আমাদের ওপর হামলা চালায়।
ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও মৌলবাদীদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। আমরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কি না জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে চান্স পেয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোটভাই
আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
বুয়েটে চান্স পেয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোটভাই
বুয়েটের হলে সহপাঠী ও ছাত্রলীগ কর্মীদেরর হাতে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে চান্স পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বুয়েটের ২০২১-২২ ব্যাচের স্নাতক ভর্তির রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত রেজাল্টে আবরার ফাইয়াজ ৪৫০ তম হয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে চান্স পেয়েছেন।
বুয়েটে চান্স পাওয়ায় আবরার ফাইয়াজের বাবা-মা বরকত উল্লাহ ও রোকেয়া খাতুনসহ পরিবারের সবাই খুশি।
আবরার ফাইয়াজ বলেন,‘ইচ্ছা আছে ভর্তি হওয়ার। তারপরও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব।’
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ: এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকাল বিদায়
আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
আবরার হত্যা: ২০ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথ রেফারেন্সটি পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। এখন বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাচঁ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ওই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালতে কোন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে তার মৃত্যু অনুমোদনের জন্য মামলাটির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর এটি ডেথরেফারেন্স মামলা হিসেবে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অন্তর্ভূক্ত হয়। পরে মামলার পেপারবুক (যাবতীয় নথি সম্বলিত ফাইল) প্রস্তুত হলে সিরিয়াল অনুসরণ করে ডেথরেফারেন্সের শুনানি হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহতাসিম ফুয়াদ, সাবেক গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, সাবেক আইন বিষয় উপসম্পাদক অমিত সাহা, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ হোসেন ও মোয়াজ আবু হুয়ারেরা। একইসঙ্গে আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ওরফে শান্ত, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপসম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মুস্তবা রাফিদ এবং সদস্য মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মুনতাসির আল জেমি এবং ইহতাশামুল রাব্বী তানিম। এ ছাড়া, ছাত্রলীগ কর্মী খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, এএসএম নাজমুস সাদাত, মাজেদুর রহমান ওরফে মাজেদ, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, মুহাম্মদ মোরশেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, মোরশেদ অমর্ত্য ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এসএম মাহমুদ সেতুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে জিসান, তানিম ও মুস্তবা রাফিদ পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের আবাসিক হল থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। তবে আবরারের মা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামিরও ফাঁসি চেয়েছেন।
বুধবার রায় ঘোষণার পর কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা; যে সবসময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই।’
আবরারের মা বলেন, ‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার সেই ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারল। ওরা এত ব্যথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারল ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, তুমি এই হত্যার বিচার কর।’
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন অল্প সময়ে কার্যকর হয়।’
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া আবরারের ভাই আবরায় ফায়াজ বলেন, ‘অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসি হবে- এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের যে ফাঁসি হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাব।’
রায় ঘোষণার আগে থেকে বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। এসেছেন অন্য আত্মীয়-স্বজনরাও। ছিলেন অনেক সংবাদকর্মীও।
প্রসঙ্গত, বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ
৩ বছর আগে
আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ রায় ঘোষাণা করেন। এর আগে সকালে মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তিন অসামি জিসান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -মেহেদী হাসান রাসেল, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, শামীম বিল্লাহ, মাজেদুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মনিরুজ্জামান মনির, মেহেদী হাসান রবিন, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. অনিক সরকার, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, ইফতি মোশাররফ সকাল, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মাহমুদুল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. আকাশ হোসেন, অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মোয়াজ আবু হুরায়রা। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পুনরায় ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
৩ বছর আগে
আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তিন আসামি জিশান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
৩ বছর আগে
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) ঘোষণার কথা রয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তিন আসামি জিশান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
পড়ুন: আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
৩ বছর আগে