খাদ্য সচিব
নিয়োগের এক দিনের মাথায় খাদ্য সচিবের নিয়োগ বাতিল
নিয়োগের এক দিনের মাথায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইলাহী দাদ খানের নিয়োগ বাতিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে, সোমবার(৩০ সেপ্টেম্বর) খাদ্য ক্যাডারের এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দুই বছরের চুক্তিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
পরে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে তার এ নিয়োগ বাতিলের বিষয়টি ফোনে ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালযের সিনিয়র সচিব মোকলেস উর রহমান।
কী কারণে বাতিল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ বিস্তারিত বলা যায় না। তবে প্রশাসনিক কারণে তার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইলাহী দাদ খান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: সব কর্মচারীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে: জনপ্রশাসন সচিব
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার
১৮১ দিন আগে
আগস্টের আগে গম আমদানি করতে হবে না: খাদ্য সচিব
গম রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের আমদানির জন্য ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ তিন লাখ মেট্রিক টন গম কোনো প্রভাব ফেলবে না।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম বলেন, এক লাখ মেট্রিক টনের এক তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জন্য একটি জাহাজবোঝাই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত গম ইতোমধ্যেই আমদানি করা হয়েছে বা পাইপলাইনে রয়েছে।
খাদ্য সচিব বলেন, এই মুহূর্তে দেশের গমের মজুদ আগস্ট মাস পর্যন্ত টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট এবং এর আগে কোনও গম আমদানির প্রয়োজন হবে না।
নাজমানারা খানুম আরও বলেন, ভারতীয় গম রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তথ্যমতে, সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে ভারত থেকে গম আমদানি করার সুযোগ এখনও থাকবে।
তবে বাংলাদেশ গম আমদানির জন্য বুলগেরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউক্রেন ও রাশিয়াসহ অন্যান্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশের বার্ষিক গমের চাহিদা প্রায় সাত দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যার মধ্যে বছরে গড়ে মাত্র এক মিলিয়ন মেট্রিক টন গমের উৎপাদন হয়।
চাহিদার অবশিষ্টাংশ ভারত, রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা, আর্জেন্টিনা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি করে মেটানো হয়। যার সিংহভাগই বেসরকারি খাতে আমদানি করা হয়।
সচিব বলেন, সরকার মাত্র পাঁচ লাখ টন গম আমদানি করে। বাকি ছয় মিলিয়ন মেট্রিক টন বেসরকারি খাতে আমদানি করা হয়।
কম ব্যয়বহুল এবং সহজ পরিবহনের কারণে ২০২০-২১ সালে আমদানিকৃত পরিমাণের প্রায় ৬০ শতাংশ ভারত থেকে এসেছে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে গম রপ্তানি করে শীর্ষ ৫ দেশ হলো- ইউক্রেন, রাশিয়া, কানাডা, আর্জেন্টিনা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশের প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে উঠে এসে ইউক্রেনকে তৃতীয় অবস্থানে নামিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে কানাডার গম রপ্তানির পরিমাণও ২০১৯-২০ সালে প্রায় এক মিলিয়ন টন থেকে গত অর্থবছরে এক দশমিক চার মিলিয়ন টনে বেড়েছে।
ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে এবং বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশের চাহিদা মেটাতে শনিবার গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘গমের রপ্তানি নীতি ... অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হয়েছে...।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির চালান রপ্তানি করা যেতে পারে, তবে শনিবার থেকে গম রপ্তানির বিষয়ে নতুন কোনো আন্তর্জাতিক আদেশ নেয়া হবে না।
ডিজিএফটি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এছাড়াও যদি কোনো দেশ বিশেষভাবে ভারত সরকারকে গম পাঠাতে অনুরোধ করে, সেক্ষেত্রে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা মওকুফ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিজেল, জেট ফুয়েল, এলএনজি ও সার আমদানির অনুমোদন
নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির প্রস্তাব বাংলাদেশের
১০৫২ দিন আগে