এনআরবি
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন: এনআরবিকে পরিকল্পনামন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার একটি অনুকূল এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে উল্লেখ করে নন-রেসিডেন্সি বাংলাদেশি(এনআরবি)-এর বিনিয়োগকারীদেরকে বৃহৎ পরিসরে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্লাব (এনআরবি)-এর অবদান ও সীমাবদ্ধতা বিষয়ক এক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এনআরবি’র বিনিয়োগ রেস্তোরাঁ এবং পেট্রোল পাম্পের মতো ছোট খাতে সীমাবদ্ধ। আমি তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: রামপুরা-আমুলিয়া ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২৬১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ।
কে এম খালেদ এনআরবিকে দেশের উন্নতির জন্য তাৎক্ষণিক লাভের আশা না করে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এটা বলা খুবই দুঃখজনক যে এনআরবি কোনও ভারী শিল্পে আগ্রহী নয়। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উপর ফোকাস করা ভাল হবে।’
স্বাগত বক্তব্য দেন এনআরবি ক্লাবের সভাপতি শাহজাদা হামিদ এবং বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজা করিম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোয়াজ্জাম হোসেন রতন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিএমইটির মহাপরিচালক শহিদুল আলম প্রমুখ।
সারা বিশ্ব থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশে তাদের অধিকার রক্ষা ও অগ্রসর করার জন্য একটি ক্লাব গঠন করতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কৃষি ঋণ ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
১ বছর আগে
কোন কোন দেশে টাকা পাচার করেছেন পিকে হালদার, জানতে চান হাইকোর্ট
কোন কোন দেশে পিকে হালদার টাকা পাচার করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত রুলের শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে)হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আদেশের বিষয়টি এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক নিশ্চিত করেন।
গত ১৩ মে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার কয়েক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ: হাইকোর্ট
গ্রেপ্তারের পর ইডি সাংবাদিকদের জানায়, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর শিবশঙ্কর হালদার নামে ভারতীয় নাগরিকের সনদ যোগাড় করেন পিকে হালদার। পশ্চিমবঙ্গের নকল রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, আধার কার্ডও তৈরি করান পিকে।
সংস্থাটি আরও জানায়, পিকে হালদার এবং তার সহযোগীরা পশ্চিমবঙ্গে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় নকল নাগরিক সনদ দেখিয়ে জমি কিনেছেন। গত ১৬ মে (সোমবার) ভারতে গ্রেপ্তারে হওয়ার বিষয়টি উপরোক্ত বেঞ্চের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে স্বত:প্রণোদিত হয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর আদালত শুনানি নিয়ে ওই রুলের ওপর ১২ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএলএফএসএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে পিকে হালদারের বিদেশ পালানোর পর ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি দুদক তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এর আগেই সে দেশ থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ‘পিকে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বত:প্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে দেশে ফেরাতে পদক্ষেপ নেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, দুদক থেকে পাঠানো নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে জারির প্রায় দু’ঘন্টা আগেই ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে পিকে হালদার দেশত্যাগ করেন।’ সর্বশেষ গত বছরের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারকারী পিকে হালদারের বান্ধবী ৩ দিনের রিমান্ডে
২ বছর আগে