দেশপ্রেম
দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না।
সোমবার (২৯ জুলাই) গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের যদি এত দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থাকে, তাহলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করতে পারত না।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে তার সরকারের প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি। আমি বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসিছি এবং তারা এটিকে ধ্বংস করেছে। এটা দুঃখজনক।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলে বালে,‘এত টাকা তারা কোথায় পায়? তাদের দৈনন্দিন চলাফেরায় অর্থায়ন করছে কারা?'
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও জনগণের কল্যাণে এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের ফল আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা ধ্বংস হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াতের 'সন্ত্রাসীরা' কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিজেদের এজেন্ডা হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই আন্দোলনের ঘাড়ে ভর করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ নিয়েছিল। এখন আমার প্রশ্ন, আমি কী অপরাধ করেছি?'
নিজের অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি বাংলাদেশকে সম্মান বয়ে এনেছি। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে যদি দেখেন বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে। তাদের আন্দোলন কীভাবে বাংলাদেশকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে এবং আমাকে হেয় করছে তারা তা চিন্তাও করে না।’
আরও পড়ুন: শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশসেবায় নবীন কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা এবং উদ্যমই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
সোমবার (৬ মে) ঢাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসময় নতুন নিয়োগ পাওয়া সরকারি প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি গর্বিত দেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এতদিন বইয়ের জ্ঞান অর্জন করেছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জন করার পালা। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দেশের জন্য কাজ করে যাবেন এবং আপনাদের অবদান যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, কোনো আঁকাবাঁকা পথ ধরে নয়, লক্ষ্য স্থির থাকলে সৎ এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের লক্ষ্য অর্জন যেরকম সম্ভব তেমনি জাতীয় জীবনেও ভূমিকা রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোকে বাইরের কেউ এসে উন্নত করে দেয়নি তারা নিজেদের প্রচেষ্টাতেই আজ উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমাদেরও একটি দর্শন রয়েছে, যেখানে আমরাও চাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
৭ মাস আগে
দেশপ্রেমের চেতনায় দায়িত্ব পালন করুন: ক্যাডেট উপরিদর্শকদের উদ্দেশে আইজিপি
পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) সব লোভ লালসার ঊর্ধ্বে থেকে দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নিরপরাধ, বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’
রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৯তম ক্যাডেট উপপরিদর্শক ২০২১ ব্যাচের এক বছর মেয়াদি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ পাসিং আউট প্যারেড পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) মীর রেজাউল আলম।
আইজিপি বলেন, নবীন পুলিশ অফিসার হিসেবে মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে। বাংলাদেশ আজ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে একটি স্থিতিশীল, জঙ্গিমুক্ত মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত। বর্তমান সরকার পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন করে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি বিশ্বমানের আইনি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
আইজিপি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কর্মপরিধি ব্যাপক বেড়েছে। সেইসঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে অপরাধ সংঘটনের কৌশল। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী ও আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইরা দেশ গঠন ও জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে জনবান্ধব ও সেবাধর্মী পুলিশিংয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ একাডেমি থেকে লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মাঠ পর্যায়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিনিয়ত অনুশীলন, জ্ঞানচর্চা ও বাস্তব জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাহান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপিবৃন্দ, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, রাজশাহী বিভাগ ও জেলায় কর্মরত উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা, প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি একাডেমি চত্বরে নবনির্মিত 'ছায়াবিথী' উদ্বোধন করেন। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন এবং তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতির কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না: আইজিপি
চাঞ্চল্যকর মামলার তথ্য উদঘাটন করায় পিবিআই'র ভূয়সী প্রশংসা আইজিপির
১ বছর আগে
দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতির কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি দেখা দেয়ার কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর আয়োজনে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের পর সম্প্রতি সময়ে পুলিশের পাঁচজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের এ (অবসরে পাঠানো) বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া যাদের বয়স ২৫ বছর হয়ে যায় যাদের দক্ষতায় ঘাটতি পড়ে যায়, তাদের যদি দেশপ্রেমে ঘাটতি পড়ে যায়; তখন তাদের অনেক আগে থেকেই এ ব্যবস্থাটা নেয়া হচ্ছে। সেই পর্যায়ে তাদের দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি ছিল বলে ডিপার্টমেন্ট থেকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশপ্রেমের ঘাটতিকে আপনারা অ্যালার্মিং মনে করেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যালার্মিং মনে করব কেন, সরকারের কাছে কিছুই অ্যালার্মিং নয়। সরকার যদি মনে করেন তার দক্ষতার ঘাটতি হয়েছে, তাকে দিয়ে কাজ হবে না। খামাখা একটা পোস্ট দখল করে রাখবে কেন? আরেকজন সেই পদে দিয়ে তার দক্ষতা দিয়ে আরও বেশি সেবা দিতে পারবে। সেজন্য এ কাজটি করা।’
গত ১৮ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি (টিআর) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরীকে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অবসরে পাঠানো হয়। তাদের অবসরে পাঠিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওইদিন সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. আলমগীর ও ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাহবুব হাকিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সুনাম বৃদ্ধিতে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য ফরেন সার্ভিসের নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষায়িত কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ কোর্স (এসডিটিসি) এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় বলেন, বর্তমান বিশ্ব-ব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক সমস্যাগুলো সম্পর্কে নবীন কূটনীতিকদের ব্যাপক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। নবীন কূটনীতিকদের প্রশিক্ষিত করার ক্ষেত্রে ফরেন সার্ভিস একাডেমির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ- এ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের জন্যেও এই একাডেমি আদর্শ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময় মানবতার জয়গান গেয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, একবিংশ শতাব্দীর কূটনীতিক হিসেবে ফরেন সার্ভিসের নবীন কর্মকর্তাদের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য চিন্তা-চেতনায় কৌশলী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ, কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে যোগাযোগ, পরিচিতি বৃদ্ধি ও কথোপকথনেও নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবর্তিত বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও সমুজ্জ্বল করতে নবীন কর্মকর্তাদের দক্ষ কূটনীতিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ২৬তম ও ২৭তম বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগহণকারী ৩২ জন কর্মকর্তাকে সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রশিক্ষণে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করায় ২৬তম প্রশিক্ষন কোর্সের ওয়ালিদ মোহাম্মদ ও ২৭তম কোর্সের মো. আমিনুল ইসলামকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী স্মারক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবীন কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর আসাদ আলম সিয়াম। সনদ প্রদান শেষে উভয় প্রশিক্ষণ কোর্সের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মহাপরিচালক অ্যাম্বাসেডর ইমতিয়াজ আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স) রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম, সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক শাহ মোহাম্মদ শফি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা থেকে ভিসা দেয়ায় রোমানিয়াকে ধন্যবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
২ বছর আগে