বাজুস
২ হাজার ৪০৩ টাকা বেড়ে নতুন দরে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের বাজারে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৪০৩ টাকা। ফলে এখন এক ভরি স্বর্ণে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭০ টাকা।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
গতকাল (শনিবার) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪০৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩১০ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ এক হাজার ৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭২ হাজার ২৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৭৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৩২৭ টাকা।
বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয় ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা।
৫ দিন আগে
স্বর্ণের দামে ৪২ বার পরিবর্তন, ভরিতে কমল ১৫৭৫ টাকা
দেশের বাজারে ভরিতে এক হাজার ৫৭৫ টাকা স্বর্ণের দাম কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। চলতি বছর এ নিয়ে ৪২ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বেড়েছে ২৭ বার, আর কমেছে ১৫ বার।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমবার (৭ জুলাই) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস, যা মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯২ টাকা।
আরও পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সবশেষ, ১ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। তখন ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
১৫০ দিন আগে
জুয়েলারি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বদলালো বাজুস
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি দোকান বন্ধের ঘোষণা দিলেও একদিনের মাথায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, মো. রিপনুল হাসানকে ভুয়া ও বানোয়াট রাজনৈতিক পদ দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় ২৮ মে রাজধানীর তাঁতীবাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করেন।
পুলিশ ওই মামলায় যে রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেছেন, রিপনুল হাসান কখনোই সেই পদে ছিলেন না। এমনকি কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সে জড়িত নয় এবং কোন রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ কোনদিনও রিপনুল হাসান গ্রহণ করেন নি বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
বাজুস জানিয়েছে, রিপনকে গ্রেফতারের কারণে সারা দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত। তার ন্যায়বিচার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ সারাদেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দিনভর সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে বাজুস।
পাশাপাশি আসন্ন ঈদুল আজহা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় বাজুস।
শুক্রবার (৩০ মে) থেকে সকল জুয়েলারী প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাজুস। তবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রিপনের নাম প্রত্যাহার ও ন্যায়বিচার না পেলে পরবর্তীতে কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
১৮৯ দিন আগে
আজ থেকে দেশের সব স্বর্ণের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে ঢাকাসহ দেশের সব জুয়েলারি দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) রাতে বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনটি জানায়, বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদ এবং তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার গভীর উদ্বেগজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার এলাকায় নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৯০ দিন আগে
ভরিপ্রতি ৩৫৭০ টাকা কমে আজ থেকে নতুন দরে বিক্রি হবে স্বর্ণ
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আজ (রবিবার) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা।
আরও পড়ুন: টানা দুইদিন বাড়ার পর কমল স্বর্ণের দাম
নতুন দর অনুযায়ী, সনাতন পদ্ধতি অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৪ হাজার ২৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ নিয়ে চলতি বছর দেশের বাজারে ২৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এই সময়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৯ বার, কমানো হয়েছে ৮ বার।
২১৫ দিন আগে
টানা দুইদিন বাড়ার পর কমল স্বর্ণের দাম
টানা দুইদিন দাম বাড়ার অস্থিরতার মধ্যে আজ কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালোমানের স্বর্ণের প্রতিভরিতে কমেছে ৫ হাজার ৪০১ টাকা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাজুস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
এর আগে মঙ্গলবার(২২ এপিল) ভালো মানের প্রতিভরি স্বর্ণে দাম ৫ হাজার ৩৪৩ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। আর সোমবার (২১ এপ্রিল) বাড়িয়েছিল৪ হাজার ৭১৩ টাকা।
আরও পড়ুন: ভরিতে ১৭৭৩ টাকা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় স্বর্ণের দাম
নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতিভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতিভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪১ হাজার ১৭০ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা।
একইভাবে রূপার দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেট এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৮৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৭১৮ টাকা। ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রূপার দাম পড়বে ১ হাজার ৭৫০ টাকা।
২২৫ দিন আগে
অনিয়মের অভিযোগে এক প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ স্থগিত করলো বাজুস
সোনা বেচাকেনায় অনিয়মের অভিযোগে গোল্ড কিনেন টেকনোলজিসের সদস্য পদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, সদস্যপদ গ্রহণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সকল শর্ত পূরণ করায় ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিকে বাজুসের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান করা হয়। কিন্তু স্বর্ণ বেচাকেনায় অনিয়ম করার বাজুস এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনিয়ম প্রসঙ্গে বাজুস জানায়, প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সোনার অলঙ্কারের পরিবর্তে সোনার বার ও কয়েন বিক্রি করায় সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের কার্যক্রম বাজুসের গঠনতন্ত্রের ৪(ক) ধারা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে না সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
৩২৯ দিন আগে
পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
বিনিয়োগ বা সঞ্চয়ের জন্য নির্ভরযোগ্য একটি খাত স্বর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত স্বর্ণ নিতান্ত প্রয়োজনের সময় অনেক কাজে লাগে। তাই আর্থিক স্বচ্ছলতা তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য যে কোনো সম্পদের বিপরীতে স্বর্ণ একটি সেরা বিকল্প। অনেক দিন আগে কেনা স্বর্ণ বিক্রি বা বিনিময় করে নতুন স্বর্ণ কেনার সময় কিছু খরচ রয়েছে, যা স্বর্ণের দাম থেকে কেটে রাখা হয়। কেটে নেওয়া অংশটি স্বর্ণ থেকে অর্জিত লাভে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও বিষয়টি জেনে রাখা জরুরি। চলুন, স্বর্ণ সংক্রান্ত কোন কোন খাতের খরচগুলোর স্বর্ণের দামের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হয় তা জেনে নেই।
বর্তমানে স্বর্ণের দাম থেকে কত শতাংশ কাটা হয়
২০২৪ সালের ৮ মে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বিক্রির সময় স্বর্ণের দাম থেকে কর্তন বাবদ নতুন পরিমাণ নির্ধারণ করে। পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় তার বর্তমান ওজন থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংশের দামকে বিক্রয়মূল্য ধরা হবে। উদাহরণস্বরূপ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ বিক্রি করতে গেলে তার দাম পাওয়ার যাবে ৮৫ গ্রামের জন্য।
যারা পুরনো সোনা দিয়ে নতুন সোনা নিতে চান তাদের ক্ষেত্রে আগের সোনার ওজন থেকে ১০ শতাংশ কেটে নতুন সোনা দেওয়া হবে। অর্থাৎ ১০০ গ্রাম পুরনো সোনার বদলে পাওয়া যাবে ৯০ গ্রাম সোনা।
এর সঙ্গে ধার্যকৃত যাবতীয় মজুরি এবং মূল্য সংযোজন করও (ভ্যাট) সোনার দাম থেকে বাদ যাবে।
আগে সোনা বিক্রির ক্ষেত্রে কর্তনের হার ছিল ১৩ শতাংশ, আর বিনিময়ের সময় কাটা হতো ৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
যে কারণে বিক্রির সময় স্বর্ণের দাম কমে আসে
স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই
সোনার অলঙ্কারে তামা বা রৌপ্যের মতো সংকর ধাতু মিশ্রিত থাকে। এই সংকর ধাতু মিশ্রিত থাকা মানেই সোনার সামগ্রিক বিশুদ্ধতায় ঘাটতি থাকা। পুনঃবিক্রয়ের সময় স্বর্ণের এই বিশুদ্ধতা বা গুণগত মান নির্ণয়ের জন্য শিখা পরীক্ষা, অ্যাসিড পরীক্ষা ও এক্সআরএফ বা হলমার্কের মতো বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। উচ্চ বিশুদ্ধতা (২৪ ক্যারেট) সম্পন্ন সোনা কম বিশুদ্ধগুলোর (২২ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেট) তুলনায় অধিক মূল্যের হয়। বাজুস স্বচ্ছতা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সেই বিশুদ্ধতা পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করে থাকে।
অবচয় খরচ
যে কোনো ব্যবহার্য সম্পদের মতো সোনারও অবচয় ঘটে। পুরনো সোনাগুলোর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই স্ক্র্যাচ, আঘাতের চিহ্ন ও দীপ্তি হ্রাসসহ গুণগত মান নষ্টের আশঙ্কা থাকে। এতে অল্প হলেও ১০ বছর আগের ও পরের সোনার মধ্যে তারতম্য থেকে যায়। আর এই অপূর্ণতাকে সামঞ্জস্য করার জন্য কর্তনকৃত অংশ নির্ধারণ করা হয়। একদম সামান্য অংশ হলেও বিষয়টিতে বিক্রেতাদের সচেতন থাকা উচিৎ। অবশ্য পুনঃব্যবহারে অতিরিক্ত অবচয়ে স্বল্প ওজনের সোনার দামে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
লেনদেনের খরচ
সোনা বিক্রি শুধুমাত্র কিছু পরিমাণ ধাতু হস্তান্তর করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পুরো বিক্রয় প্রক্রিয়াটির সঙ্গে আরও কিছু কার্যক্রম জড়িত থাকে। যেমন বিক্রয় প্রক্রিয়াকরণে প্রশাসনিক ফি, পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই ফি, স্বর্ণ মজুদ ও পরিবহনের নিরাপত্তা এবং লজিস্টিক খরচ ইত্যাদি। এই যাবতীয় খরচ একত্রিত হয়ে অবদান রাখে সোনার বিক্রয়মূল্যের অধোগতিতে। তাই এই খরচগুলোর ব্যাপারে বিক্রেতাদের সম্যক ধারণা থাকা জরুরি।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খরচ ও ঝুঁকি
সোনার বাজারের ডিলার বা বিপণী মালিকদের ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বিভিন্ন খরচ যুক্ত হয় এই তালিকায়। এগুলো হচ্ছে দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন ও ইউটিলিটি বিল। প্রত্যেকটির ব্যয়ভার বহনের সাপেক্ষে যাচাই করা হয় বাজারের বর্তমান অবস্থা। এই সার্বিক দিক বিবেচনায় খরচের পরিধি অনেকটা বেড়ে যায়। আর এই খরচটিই ক্রেতারা পুষিয়ের নেওয়ার চেষ্টা করেন বিক্রয়কালে ভোক্তাদের নিকট থেকে। এটি ডিলারদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কেননা এটি তাদের স্বর্ণ কেনা এবং ব্যবসার আনুষঙ্গিক খরচ থেকে উদ্বৃত্ত লাভের উপর প্রভাব ফেলে।
তাছাড়া পুরনো সোনা কেনার সময় ক্রেতারা স্বভাবতই একটু বেশি ঝুঁকির মুখে থাকেন। বিশেষ করে কেউ লেনদেনে জালিয়াতি করলে বা পণ্যের সত্যতা সংক্রান্ত কাগজপত্রে ঘাটতি থাকলে পরবর্তীতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
৫২০ দিন আগে
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পের জন্য ১০ বছরের কর মওকূফ এবং সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
দেশের জুয়েলার্সদের শীর্ষ সংগঠন বাজুস এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয়।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে এই প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়সহ বাজুস নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
বাজুস স্বর্ণের ওপর ৩ শতাংশ ভ্যাট, অলঙ্কারের ওপর কর অব্যাহতি এবং অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক ইউএনবিকে বলেন, পর্যটকদের জন্য স্বর্ণের বার আনা বন্ধে তারা স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে স্বর্ণ আমদানির করমুক্ত সীমা ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করেন তিনি।
ব্যাগেজ নিয়মের সমন্বয় সাধন করে যাত্রীকে ওয়ান টাইম ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাজুস।
এর আগে এনবিআর কর মওকূফ স্বর্ণ ২০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ১০০ গ্রাম করে। এনবিআরের এ সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখনও সন্তুষ্ট নয়। তাই তারা আবারও ভ্রমণকারী ও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য করমুক্ত স্বর্ণ আমদানির সীমা কমাতে চান।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
৬৫১ দিন আগে
স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)
বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন সংগঠনটি।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজুস নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল’ এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, সদস্য ইকবাল উদ্দিন, স্বপন চন্দ্র কর্মকার, বিকাশ ঘোষ, বাবুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির দাবি, প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশে স্বর্ণ চোরাচালানের ট্রানজিট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হয়, যা বন্ধ করা উচিত।
বাংলাদেশ বিমান, সড়ক ও নৌপথে গড়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনা পাচার হয় বলে জানান বাজুস নেতারা।
স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য ও সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালান ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে বাজুস নেতা বলেন, বাংলাদেশে ভ্রমণকারীদের ব্যাগেজের মাধ্যমে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ভরি স্বর্ণ আমদানি করা হচ্ছে যা বৈধ।
পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বর্ণের বারসহ রোহিঙ্গা মা-ছেলে আটক
ওসমানী বিমানবন্দরে আবর্জনার ট্রলি থেকে ১০টি স্বর্ণবার উদ্ধার
১২০৯ দিন আগে