যৌনকর্মী
কিশোরী পাচার মামলায় খুলনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকার এক কিশোরীকে (১৭) ভারতে পাচার ও যৌনকর্মী হিসেবে বিক্রির অপরাধে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রায়ে অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মো. শাহীন শেখ ও আসমা বেগম ওরফে সালমা সম্পর্কে স্বামী ও স্ত্রী। তারা দুজনেই পলাতক।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ রুবেল খান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর ভুক্তভোগীকে ভালো বেতনে চাকরির আশ্বাস দেখিয়ে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগীকে পরিবার ফেরত চাইলে আসামিরা ক্ষতিপূরণ বাবদ তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) অসীম কুমার ঘোষ আসামি শাহীন খান ও তার স্ত্রীসহ আরও পাঁচ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে