রাফসান
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
উপস্থাপক রাফসান সাবাব বর্তমানে আলোচনায় আছেন তার বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে। স্ত্রী সানিয়া এশার সঙ্গে তার তিন বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন সম্প্রতি। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান।
কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, স্ত্রী ডিভোর্স দেওয়ার কারণ জেফারের সঙ্গে রাফসানের সম্পর্ক।
অন্যদিকে, এশা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমি এই ডিভোর্স চাইনি। এটা আমাদের দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। তবে রাফসান আমার অনুমিত ছাড়াই এমনকি ডিভোর্স লেটারে আমার স্বাক্ষর ছাড়াই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে।’
এবার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুললেন জেফার।
আরও পড়ুন: হোম বিনোদন অন্যান্য জীবনে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে: নচিকেতা
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা এড়িয়ে চলতে চাই। কারণ কথায় আরও কথা বাড়ে। কিন্তু এই ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসান আমার বন্ধু। আর সামাজিক মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তাই বিশ্বাস করবেন না। কেউ আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, সেটি আবার কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই, এর মানে এই নয় যে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে।’ উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানান রাফসান।
তিনি লেখেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে যে, এশার সঙ্গে আমার সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ ছিল না, কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনার পর দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমার কাছে সেরা উপায় বলে মনে হয়েছে। আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথচলা এবং আমি চাই শেষটা সম্মানজনকভাবেই হোক।’
আরও পড়ুন: হেমন্তের সন্ধ্যায় কোক স্টুডিওর সুরে মাতল ঢাকা
সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
১ বছর আগে
রাফসান হত্যার নেপথ্যে কিছু আছে কিনা তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ
ফরিদপুরের শিশু পুত্র রাফসান হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক এমপি কাজী জাফরুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় নিহত রাফসানের জানাযায় অংশ নিতে সদরপুরে এসে নিহতের বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ঢেউখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানকে হত্যা করতে এসেই তার শিশু পুত্র রাফসানকে হত্যা করা হয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছি। নিহত রাফসানের বাবা মিজানুর রহমান ঘটনার পর এ ব্যাপারে কিছু থাকতে পারে বলে তাকে জানিয়েছে বলেও জানান কাজী জাফরুল্লাহ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রাফসানের লাশ তাদের সদরপুরের উপজেলা সদরে নানা বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। বিকেলে সদরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: হোসেনপুরে নসিমন চাপায় শিশুর মৃত্যু
জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহ, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল সিদ্দিকী, সদরপুর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শাহেদীদ গামাল লিপুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও মুসুল্লিরা অংশ নেন।
জানাযা শেষে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে কিনা সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে বাড়িতে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শিশু রাফসানকে হত্যা করে এরশাদ মোল্যা নামে এক যুবক। তাকে বাঁচাতে এসে হামলাকারীর অস্ত্রের আঘাতে আহত হন রাফসানের মা দিলজাহান রত্না। পরে সন্ধায় হত্যাকারী যুবক নিজেও টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যায়। অভিযুক্ত এরশাদ মোল্যা ঢেউখালি ইউনিয়নের সানু মোল্যার ছেলে। একটি সালিশের জের ধরে সে এ হামলা চালায় বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
এদিকে, শিশু রাফসানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঢেউখালি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দুই ছেলের মধ্যে রাফসান ছোট ছিলো। সে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে রিকশাচালক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে