আইন-শৃঙ্খলা
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু
ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক, অবৈধ মালামাল উদ্ধার ও ছিনতাই প্রতিরোধে মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে নিরাপত্তামূলক বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে এ বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম মুখপাত্র অতিরিক্ত কমিশনার তালেবুর রহমান।
ঢাকা মহানগরীর হাজারীবাগের বসিলা, কোতোয়ালির বাবুবাজার, শ্যামপুরের পোস্তগোলা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড, ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার, সবুজবাগের বাসাবো রাস্তায় (কমলাপুর), দারুস সালামের গাবতলী, খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট, উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুর ব্রিজ ও কামারপাড়া ও তুরাগের ধৌড় ব্রিজ এলাকায় ডিএমপির বিশেষ এই চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তালেবুর জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি পর্বে এ বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রথম পর্ব বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
এই বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম চলাকালে নগরবাসী ও ঢাকায় প্রবেশকারী সকল যানবাহন চালক ও যাত্রীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে ডিএমপি।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ১৫৩৮ মামলা, জরিমানা ৬২ লাখ টাকা: ডিএমপি
৪ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুতি নিন: বিজিবি প্রধান
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের শ্রীমঙ্গল ও কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সবসময় দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এসময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিজিবি প্রধান ময়মনসিংহ সেক্টর, সেখানে বিজিবির অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার, ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২.৬০ লাখ ইয়াবা ও ১.০৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ: বিজিবি
হরতাল: ১৬১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪৪২টি টহল দল মোতায়েন
১১ মাস আগে
বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সম্প্রীতি বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে ইসির কাছে দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের নেতারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ে সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব জবাব দেন, যাদের এ ধরনের আশঙ্কা আছে তারাই তাদের কথা বলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন জোর দিয়ে বলতে চায় যে তাদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ রয়েছে।’
কমিশন মনে করে এখনো উদ্বেগের কোনো পরিস্থিতি নেই বলে জানান ইসি সচিব।
পরবর্তী সময়ে কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের নেতারা কমিশনের কাছে চারটি দাবি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
লিখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধর্মভিত্তিক অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; আসন্ন নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীদের অংশগ্রহণ রোধে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া; ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা চিহ্নিত করা এবং প্রাক-নির্বাচন, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ওইসব প্রস্তাবের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে ইসির পক্ষ থেকে কয়েকজন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়।
একই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে ২০০১ সালের মতো একটি কালো অক্টোবর দেখতে চাই না; যে ভয়াবহতা ও নৃশংসতা আমাদের শুধুমাত্র 1971 ১৯৭১ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের নৃশংসতা চিরতরে দূর করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের সরকারে দেখতে চাই না আমরা।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক: ইসি সচিব
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
১ বছর আগে
৭১ শতাংশ পরিবার দুর্নীতির শিকার: টিআইবি
দেশের প্রায় ৭১ শতাংশ পরিবারকে ঘুষ দিয়ে সরকারের বিভিন্ন খাত থেকে সেবা নিতে হয়। বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিবার জরিপ করে এ তথ্য তুলে ধরে।
‘সেবাখাতে দুর্নীতি: জাতীয় পরিবার জরিপ-২০২১’ শিরোনামে চালানো জরিপে উঠে আসে যে সেবাখাতের আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার বর্হিগমন ও পাসপোর্ট বিভাগ(ডিআইপি) সবচেয়ে বেশি চুয়াত্তর দশমিক ৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ)আটষট্টি দশমিক ৩ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত।
অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে বিচার বিভাগ ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ, স্বাস্থ্য ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ভূমি সেবায় ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত।
জরিপ প্রতিবেদন বলছে, পাসপোর্ট, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএ- এই শীর্ষ তিনটি খাতে দেশের সার্বিক ঘুষের প্রচলন ৪০ দশমিক ১ শতাংশ।
ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া ৭২ দশমিক ১ শতাংশ ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ‘ঘুষ ছাড়া সেবা নাই’ ফলে তারা ঘুষ দেয়। নিয়মিত ঘুষ দেয়ায় তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি পরিবার বীমা, বিচার ও গ্যাস এই তিনটি খাতের সেবা নিতে গড়ে বার্ষিক ছয় হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুষ দিয়ে থাকে।
জরিপকালীন ২০২০-২০২১ সালের এই সময়ে ১০ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। যা দেশের ২০২০-২১ অর্থবছরের জিডিপির শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ এবং একই অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ।
টিআইবি ১৯৯৭ সাল থেকে নয়টি জাতীয় খানা জরিপ করেছে।
জরিপ মতে, দুর্নীতির হার ২০১৭ সালের তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে একই খাতে দুর্নীতির হার ছিল সত্তর দশমিক ৮ শতাংশ যখন ২০১৭ সালে একই খাতে দুর্নীতির হার ছিল ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ। তুলনামূলক ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ঘুষ বা বেনামী লেনদেনের হার কমলেও বৃদ্ধি পেয়েছে ঘুষের পরিমাণ।
সরকারের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মধ্যেও অনেকগুলো খাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পাসপোর্ট, বিআরটিএ ইত্যাদি) দুর্নীতির হার একই রকম রয়েছে। কিছু খাতে(স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা ও বীমা ইত্যাদি) দুর্নীতি বেড়েছে। উপরন্তু ২০১৭ সালের তুলনায় ঘুষের হার বেড়েছে কিছু খাতে(স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহ) এবং ২০২১ সালে কিছু খাতে (কৃষি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য) দুর্নীতি কমেছে ।
পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
২০২১ সালের জরিপে দেখা যায়, সেবাখাতের দুর্নীতির ঘনটনাগুলো শহরাঞ্চলের তুলনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশি হয়েছে যার হার ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বেশি
উপার্জনক্ষম মানুষের চেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে দুর্নীতির ঊর্ধ্বগতি বেশি। বিভিন্ন সেবা গ্রহীতা নিম্ন আয়ের মানুষদের তাদের বার্ষিক আয়ের বড় একটি অংশ ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায় স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবা খাত থেকে সেবা গ্রহীতা নারীরা পুরুষ সেবা গ্রহীতাদের চেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হন। এবং পুরুষ সেবাগ্রহীতারা শিক্ষা, সরকারি সেবা খাতে
নারীদের চেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হন। এছাড়া ৩৫ বছরের কম বয়সী সেবাগ্রহীতাদের তুলনায় ৩৬ বছরের ঊর্ধ্বের সেবাগ্রহীতারা বেশি দুর্নীতির শিকার হন।
জরিপে অংশ নেয়া পরিবারগুলোর মতামতের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দফা সুপারিশ করেছে। এরমধ্যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা, সরকারি সকল সেবা ডিজিটালাইজেশন, সেবা প্রদানকারীদের বিধির আওতায় পরিচালনা এবং সরকারের বিভিন্ন
অভিযোগের পদ্ধতি ও প্রতিকার পাওয়ার বিষয়ে অধিক প্রচারণা চালানো।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই পারিবারিক সমীক্ষার সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি উপলব্ধি সূচকের (সিপিআই) কোন সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংস্থাটি সিপিআই তৈরি করার সময় এই জরিপ এবং টিআইবি দ্বারা পরিচালিত অন্যান্য গবেষণার ফলাফলগুলো ব্যবহার করে না।
২ বছর আগে
আমার নামে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যে বা যারা আমার নামে চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লাইন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যে অপরাধ করবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। যে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিল, তাকে ধরা হয়েছে। তার কাছে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমার নামে চাঁদা দাবির বিষয়টি শোনার পরেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ব্যবস্থা নিয়েছে।
যারা এ ধরনের চাঁদাবাজি যার নামেই করবে সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগে অস্ত্রসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় সাঈদীর কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদক জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করে সাঈদী।
এছাড়া, সে তার সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল বলেও স্বীকার করে।
অভিযান শেষে সাঈদীকে নিয়ে র্যাব সদস্যরা রাস্তায় বের হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের আহাম্মেদের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন সাঈদীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তারা র্যাবের আভিযানিক দলের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করে। তখন র্যাবের আভিযানিক দল জোবায়ের আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করলে অন্যরা ছত্রভঙ্গ হয় যায়।
তবে আক্রমণে র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তাদের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা হয়।
গণকমিশনের তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা একটি বই প্রকাশ করেছেন। তারা এর ভেতরে কী লিখেছেন আমি জানি না। তারা যাদের সন্ত্রাসের দায়ভার দিচ্ছেন কিংবা দুর্নীতি করেছেন, তা আমরা দেখিনি কিংবা ইনকোয়ারি (তদন্ত) করিনি। তাই এটার সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারবো না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এখন সত্যিকার অর্থে গার্ডিয়ান অব সি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণ করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে