মাঙ্কিপক্স
এমপক্সের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
২০২২ থেকে ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এমপক্স। এটি ছিল আফ্রিকার বাইরে বিশ্বব্যাপী এমপক্স প্রাদুর্ভাবের প্রথম ঘটনা। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে এর বিস্তৃতি ঘটে কঙ্গো, উগান্ডা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডিতে। এমনকি ইউরোপের দেশ সুইডেনেও ধরা পড়তে শুরু করে এমপক্স আক্রান্ত রোগী। সম্প্রতি এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এমপক্স আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয় পাকিস্তান। ফলে এমপক্স নিয়ে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত কোনো এমপক্স রোগী ধরা না পড়লেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলুন, এমপক্স সংক্রমণের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
এমপক্স সংক্রমণের কারণ
এই রোগের সৃষ্টি হয় অর্থোপক্স ভাইরাস এমপক্সের মাধ্যমে, যার পূর্ব নাম ‘মাঙ্কিপক্স ভাইরাস’। এই জুনোটিক ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে থাকে মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে। ভেরিওলা ভাইরাস, (যেটি মূলত গুটিবসন্ত সৃষ্টি করে), কাউপক্স এবং ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাসের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভাইরাসটি ক্ল্যাড-১ এবং ক্ল্যাড-২ নামে দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। ক্ল্যাড ২-এর রয়েছে আরও দুটি সাব-ক্যাটাগরি: ক্ল্যাড-২এ ও ক্ল্যাড-২বি।
এর সংক্রমণ শরীরের ত্বক বা শরীর থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন তরলের সরাসরি সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ঘটে থাকে। অপরদিকে, সংক্রমিত পশুর সঙ্গে সংঘর্ষ কিংবা কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে পশু থেকে পশুতে ছড়িয়ে পড়ে। আর পশু থেকে মানুষে সংক্রমণ ঘটে আক্রান্ত পশুর কামড় অথবা আঁচড় বা পশু শিকার, চামড়া কাটা বা রান্নার মতো কার্যকলাপের সময়। এমপক্স ভাইরাস ত্বক, থুথু, লালা, নাকের পানি ও যৌনাঙ্গের শ্লৈষ্মিক পৃষ্ঠের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। অর্থাৎ কথা বলা, কাশি বা হাঁচির মাধ্যমেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরো পড়ুন: অটিজম কী? অটিজম সচেতনতা ও সহমর্মিতা কেন জরুরি?
এমপক্সের লক্ষণ
একদম শুরুতে জ্বর, পেশিতে ও গলায় ব্যথা থাকে। তারপর ধীরে ধীরে চুলকানি বা তীব্র ব্যথাসহ ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং ক্লান্তি যোগ হয়। অবশ্য সবার ক্ষেত্রে উপসর্গের এতটা বিস্তৃতি নাও থাকতে পারে। আপাতদৃষ্টে ফুসকুড়িগুলোর কারণে সাধারণ হাম বা চিকেনপক্স মনে হতে পারে। কিন্তু লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া বিশেষত অন্যান্য পক্স থেকে এমপক্স কে আলাদা করে।
অধিকাংশ লক্ষণ সংক্রমণের ৪ থেকে ১১ দিন পরে দৃষ্টিগোচর হওয়া শুরু হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রথম দিনেই গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
অনেক ছোট ছোট ক্ষতের সমন্বয়ে গঠিত হয় ফুসকুড়িগুলো, যা হাতের উভয় পৃষ্ঠ, মুখ, গলা, যৌনাঙ্গ বা মলদ্বারে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। শুরুটা হয় ছোট ছোট সমান দাগ দিয়ে। অতঃপর ফুলেফেঁপে ওঠার আগ মুহূর্তে ভেতরে তরল পুঁজে পূর্ণ হয়ে যায়। পরে তা ফেটে গিয়ে প্রায় ১০ দিন চামড়ায় থেকে যায়। বিরল ক্ষেত্রে ক্ষতগুলোতে ইনফেকশন হয়ে চামড়ায় নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে, যা সেরে উঠতে যথেষ্ট সময় লাগতে পারে।
আরো পড়ুন: সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
গোটা শরীর জুড়ে এই ক্ষতগুলো যে শুধু একসঙ্গে অনেকগুলো দেখা দেয় তা নয়। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে শুধু একটি ঘা থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে এমনকি কোনো লক্ষণ নাও দেখাতে পারে। লক্ষণগুলো সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। তবে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার রোগীদের ক্ষেত্রে তা আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
চরম পর্যায়ে সেকেন্ডারি ইনফেকশন, নিউমোনিয়া, সেপসিস, এনসেফালাইটিস ও দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যায়। দুর্বল রোগীদের ক্ষেত্রে এই রোগ আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। গর্ভাবস্থায় এই ভাইরাস সংক্রমণ মৃত সন্তান প্রসব বা অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে।
এমপক্স প্রতিরোধের উপায়
এই রোগের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি, তবে গুটিবসন্তের টিকা অনেকাংশে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও কানাডা জুড়ে শুধু একটি টিকা অনুমোদিত হয়েছে। এর নাম এমভিএ-বিএন, যার পূর্ণ রূপ মডিফাইড ভ্যাক্সিনিয়া আঙ্কারা-বাভ্যারিয়ান নর্ডিক। ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়েছে অর্থোপক্সভাইরাসের সম গোত্রভুক্ত ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস থেকে। এটি সাধারণত ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি মাত্রায় দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি কোভিড-১৯ এ ভুগছেন বিশ্বের প্রায় ৪০ কোটি মানুষ: গবেষণা
বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনে আরও ৩টি ভ্যাকসিন রয়েছে। এগুলো হলো- জাপানের এলসি-১৬, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার এসিএএম-২০০০ এবং রাশিয়ার অর্থোপক্সভ্যাক।
তবে বর্তমানে ডব্লিউএইচও অনুসারে, এখনও বিশ্বব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচির সময় আসেনি। যারা ঝুঁকিতে আছেন বা ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন, শুধু তাদের এসব টিকা দেওয়া যেতে পারে।
তাছাড়া এগুলোর সবই মূলত প্রস্তুত করা হয়েছিল গুটিবসন্ত ও অর্থোপক্স গোত্রের অন্যান্য ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে। একক ভাবে এমপক্সের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি এখনও গবেষণাধীন।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন বিএনটি-১৬৬ বিশেষভাবে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়। এটি নিয়ে বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এখানে উল্লেখ্য যে, কোভিড-১৯-এর জন্য বানানো ভ্যাকসিনের মতো এটিও একটি এমআরএনএ ভ্যাকসিন।
আরো পড়ুন: মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
উপরুন্ত, সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতিতে এমপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ বা বিস্তার রোধ করতে ঘরোয়াভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। সেগুলো হলো-
- ফুসকুড়ি আছে এমন লোকেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলা।
- সংক্রামিত প্রাণী ও তার ব্যবহৃত কিংবা তার সংস্পর্শে থাকা কাপড়, চাদর, কম্বল বা অন্যান্য উপকরণগুলো থেকে দূরে থাকা।
- সরাসরি এমপক্স আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা অবস্থানে রাখা।
- সংক্রামিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সঙ্গে যোগাযোগের পরে সাবান ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। বিশেষ করে খাওয়ার আগে বা মুখ স্পর্শ করার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে। সাবান ও পানি পাওয়া না গেলে বিকল্প হিসেবে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অর্থোপক্স ভাইরাস বহন করতে পারে এমন সব গৃহস্থালি বা পোষা প্রাণী এড়িয়ে চলা।
আরো পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
এমপক্স রোগের চিকিৎসা
অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের প্রভাব ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করে। এর মধ্যে রোগের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে রক্ষা পেতে সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এমপক্সের গুরুতর অবস্থায় বেশ ভালো কাজ দেওয়ায় প্রতিষেধক হিসেবে টেকোভিরিমাট ও সিডোফোভির প্রেস্ক্রাইব করা হয়। এছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিনিয়া ইমিউন গ্লোবুলিন দেওয়া হতে পারে। মূলত গুটিবসন্তের মতো অন্যান্য ভাইরাসজনিত সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ওষুধের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
প্রাথমিক স্তরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্য সবার থেকে আলাদা রাখা উচিত। এ সময় তাকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ভালো খাবার দেয়ার পাশাপাশি তাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে।
এই রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের মধ্যে রয়েছে শিশু, গর্ভবতী নারী, বয়স্কসহ দুর্বল রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ব্যক্তিরা। এদের যথা শিগগিরই হাসপাতালে ভর্তি করে বিশেষ পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
আরো পড়ুন: বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার উপায়
এমপক্স নির্ণয়ের জন্য প্রথমেই একটি উন্মুক্ত ক্ষত থেকে টিস্যুর নমুনা নেওয়া হয়। এটি পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) পরীক্ষার (জেনেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্টিং) জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। এছাড়া রোগীর সর্বশেষ রোগ প্রতিরোধ অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য তার রক্ত পরীক্ষাও করা হয়।
শেষাংশ
সাধারণ ক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এমপক্স-এর লক্ষণগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের জন্য এর জটিলতাগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই দেশে প্রাদুর্ভাবে পরিণত হওয়ার আগেই মাঙ্কি পক্সের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্বন্ধে জেনে থাকা জরুরি। সক্রমণ এড়াতে যে ব্যক্তি, প্রাণী ও বস্তুর এমপক্স আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে সবকিছু থেকে দূরে থাকতে হবে। সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন এখনও গবেষণাধীন থাকায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। সম্মিলিতভাবে সতর্ক থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পথ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা যাবে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি।
আরো পড়ুন: মাঙ্কি পক্স নিয়ে বিশ্ব জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি
৪ মাস আগে
এমপক্স প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই হিলি স্থলবন্দরে
বিশ্বের কয়েকটি দেশে সংক্রামক রোগ এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ছড়িয়ে পড়লেও দিনাজপুরের হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে এখনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রতিদিন এই বন্দরের চেকপোস্ট ব্যবহার কয়েকশো পাসপোর্ট যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়া করেন। এছাড়া নেপাল ও ভুটানেও ঘুরতে যান অনেকে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা জানান, মাঙ্কিপক্সের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, লসিকাগ্রন্থি ফোলা ও ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। এ রোগের লক্ষণগুলো কেউ অনুভব করলে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষদের মাঙ্কিপক্স টিকা দেয়া হতে পারে
চেকপোস্টে পাসপোর্ট যাত্রী সাইফুল ইসলাম ও সঞ্চিতা রাণী জানান, এই চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতীয়রা নাগরিকরা যাতায়াত করেন। অনেক সময় বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও আসা-যাওয়া করেন। তাই আগে থেকেই এব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ এই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ছড়ায় বলে শুনেছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এমপক্স সংক্রমণ যাতে দেশে না ছড়ায়, সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ রোগ প্রতিরোধে দেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়ছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এমপক্স ভাইরাসের তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছি। তাই এ বিষয়ে সতর্ক আছি। এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হয় এমপক্স। এরপর মহাদেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন ও কেনিয়া। গত ১৬ আগস্ট পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
৪ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষদের মাঙ্কিপক্স টিকা দেয়া হতে পারে
মার্কিন কর্মকর্তারা এইচআইভি আক্রান্ত অনেক পুরুষ বা যারা সম্প্রতি অন্যান্য যৌন রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে মাঙ্কিপক্সের টিকা নেয়ার সুপারিশের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও অধিকহারে অন্যান্য যৌন সংক্রমণে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঘটছে।
দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. জন টি. ব্রুকস মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব প্রতিক্রিয়ায় এই সমীক্ষাটিকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দেখছেন।
ব্রুকস বৃহস্পতিবার এপিকে বলেন, তিনি ভ্যাকসিনের সুপারিশগুলোর পরিধি বাড়ানো হবে বলে আশা করেছিলেন এবং হোয়াইট হাউস সিডিসি’র সঙ্গে একত্রে এটির বিষয়ে একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বর্তমানে সিডিসি এমন ব্যক্তিদের টিকা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে যাদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে, যাদের যৌন সঙ্গী গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এবং সমকামী বা উভকামী পুরুষ; যাদের ভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় গত দুই সপ্তাহে একাধিক যৌন সঙ্গী ছিল।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদেরও টিকা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শেষের দিকে চারটি রাজ্য ও চারটি শহরে প্রায় দুই হাজার মাঙ্কিপক্সের ঘটনা দেখা গেছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও দেখা যায়, মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
২ বছর আগে
মাঙ্কিপক্স: ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলসহ ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে শুক্রবার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
কিং কাউন্টির এক্সিকিউটিভ ডাও কনস্টানটাইন বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে, কিং কাউন্টিতে দেশের অন্যতম সেরা জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং আজকের পদক্ষেপটি নিশ্চিত করবে যে আমাদের কাছে মাঙ্কিপক্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে।’
সিয়াটল টাইমস জানিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ওয়াশিংটনে ৩৩৩টি মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২৭৫টি কিং কাউন্টিতে। দুই সপ্তাহ আগে সেখানে ১৬৬ জন মাঙ্কিপক্স রোগী ছিল।
রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পিয়ার্স কাউন্টিতে ২১, স্নোহোমিশ কাউন্টিতে সাত, স্পোকেনে কাউন্টিতে পাঁচ, ক্লার্ক কাউন্টিতে পাঁচ এবং ইয়াকিমা কাউন্টিতে চারজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বিশ্বের ৯২টি দেশ ও অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স রোগে ৩৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ রোগে মারা গেছেন ১২ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বুধবার জেনেভায় বলেন, গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে যা আগের সপ্তাহের থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
পড়ুন: মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
২ বছর আগে
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এখন পর্যন্ত বিশ্বর ৯২টি দেশ ও অঞ্চলে এ রোগে ৩৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন ১২ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বুধবার জেনেভায় বলেছেন, গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে যা আগের সপ্তাহের থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
আক্রান্তের সংখ্যা অধিকাংশই ইউরোপ এবং আমেরিকাতে।
টেড্রোস বলেন, কার্যকর জনস্বাস্থ্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বন্ধে সব দেশকেই প্রাথমিক ফোকাস নিশ্চিত করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে উন্নত রোগ নজরদারি, সতর্ক যোগাযোগের সন্ধান, উপযুক্ত ঝুঁকি যোগাযোগ এবং সম্প্রদায়ের ব্যস্ততা এবং ঝুঁকি হ্রাসের ব্যবস্থা।
বর্তমানে মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী সরবরাহ সীমিত রয়েছে।
টেড্রস বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী এবং ভ্যাকসিনের ডোজ ভাগ করতে ইচ্ছুক দেশ ও সংস্থার সাথে যোগাযোগ করছে।
পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু
২ বছর আগে
ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু
ভারতের কেরালায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস রাজ্যটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় প্রথম মাঙ্কিপক্সের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার বিকালে মারা যাওয়া ২২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ফিরেছিলেন। রাজ্য সরকার তার মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেরালার ত্রিশুর জেলার বাসিন্দা মৃত ব্যক্তি বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর তার দেহে মাঙ্কিপক্সের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে, তিনি বিদেশ থাকা অবস্থায় করা পরীক্ষার পজিটিভ রিপোর্ট শনিবার তার স্বজনেরা কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইভি) পাঠিয়েছে, যার ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘ওই যুবকের মাঙ্কিপক্সের কোন উপসর্গ ছিল না। তাকে এনসেফালাইটিস ও ক্লান্তির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল... মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার খুবই কম হওয়ায় মৃত্যুর বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে।’
এতে আরও বলা হয়, তার মৃত্যুর পর তার সঙ্গে সশরীরে যোগাযোগ হওয়া সকলকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ভারতে এ পর্যন্ত চারজনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে কেরালায় তিনজন ও দিল্লিতে একজন শনাক্ত হয়েছে। গত ১৪ জুলাই দেশটিতে প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত শনাক্ত হয়। চিকিৎসার পর ওই রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন,পরবর্তী পরীক্ষায় ফলাফলও নেগেটিভ এসেছে। বাকিরাও চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু
মাঙ্কিপক্স: বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
২ বছর আগে
ব্রাজিলে মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু
ব্রাজিলে শুক্রবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব মিনাস গেরাইস প্রদেশের রাজধানী বেলো হরিজন্তে এই ঘটনা ঘটে। ৪১ বছর বয়সী নিহত ওই ব্যক্তি ক্যান্সারসহ অন্যান্য গুরুতর ক্লিনিকাল অবস্থার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং এই রোগে আক্রান্ত হলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
তবে মন্ত্রণালয় নিহত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি। তিনি বেলো হরিজন্তের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
প্রদেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, মিনাস গেরাইসে ৪৪ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সন্দেহভাজন ১৩০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বুধবার পর্যন্ত ব্রাজিলে ৯৭৮ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
২ বছর আগে
মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুত ঢাকা মেডিকেল হাসাপাতাল: উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স বিরুদ্ধে সৃষ্ট যেকোনো সংকট নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেডিকেল সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড.মিল্টন হলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।
শারফুদ্দিন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে শনাক্তযোগ্য ও বর্ধনশীল ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী পাওয়া গেছে। যদিও বাংলাদেশে এখনো এই রোগের কোনো রোগী ধরা পড়ে নাই। তবে আমরা এটা সম্পর্কে সতর্ক করছি। দেশের মানুষ যে কোন ধরনের গুজব বা আতঙ্ক এড়িয়ে চলে আমরা জাতিকে নিরাপদ রাখতে পারবো।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: পোষা প্রাণী থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান
শারফুদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিকেলের তত্ত্বাবধানে আগামী ২৮ আগস্ট দেশের প্রথম সেন্টার বেইসড এই সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতালের শুভ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী।
উপাচর্য বলেন, এই হাসপাতালটিও পদ্মা সেতুর মতো সরকারের জন্য একটি মাইলফলক। আমরা নিশ্চিত করব যে প্রত্যেক রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে বিস্তারিতও জানান।
‘মাঙ্কিপক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস যার প্রাথমিক সংক্রমণ সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে। ২৬ শতাংশ রোগীর মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে এইচআইভি-পজিটিভ ধরা পড়ে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাধ্যম বলে বিবেচিত। ৯০ শতাংশ রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।’
তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে করে চিকিৎসা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ সরকারের
বিফ্রিংয়ে বিএসএমএমইউ’র উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডিন অধ্যাকপ ডা. দেবব্রত বনিক, মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার-ই-মাহাবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
মাঙ্কিপক্স: বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সংস্থাটি এই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, ৭০ টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে এই ভাইরাসকে এখন বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা হিসাবে ঘোষণা করা যায়।
শনিবার ডব্লিউএইচও এর এই ঘোষণায় বিরল এই রোগের চিকিৎসায় ভ্যাকসিনের জন্য বিনিয়োগকে আরও উৎসাহিত করতে পারে।
টেড্রোস ডব্লিউএইচও’র জরুরি কমিটিতে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাব সত্ত্বেও বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নিলেন।
টেড্রোস বলেন, ‘ সংক্রমণের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আমরা খুব কমই বুঝি। তাই আমি মাঙ্কিপস্ক নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘আমি জানি এটি একটি সহজ বা সরল প্রক্রিয়া ছিল না এবং কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভিন্ন মতামত রয়েছে’, তিনি আরও বলেন।
একটি বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল ডব্লিউএইচও’র সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা, কিন্তু উপাধির অর্থ এই নয় যে একটি রোগ বিশেষভাবে সংক্রমণযোগ্য বা প্রাণঘাতী।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি বিষয়ক প্রধান ড. মাইকেল রায়ান বলেছেন, মহাপরিচালক মাঙ্কিপক্সকে সেই বিভাগে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান প্রাদুর্ভাবকে গুরুত্ব সহকারে নেয়।
যদিও মাঙ্কিপক্স কয়েক দশক ধরেই মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে আছে, তবে এটি এই মহাদেশের বাইরে বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করতে বা মে পর্যন্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কথা জানা যায়নি। এই সময়ে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অন্যান্য জায়গায় কয়েক ডজন মহামারি সনাক্ত করা হয়েছে।
জুন মাসে ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব এখনও আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা নয়, তবে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য এই সপ্তাহে প্যানেল আহ্বান করেছে।
২ বছর আগে
মাঙ্কিপক্সকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা জারির ব্যাপারে ডাব্লিউএইচও’র কমিটি গঠন
আফ্রিকার বাইরেও আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা হিসাবে বিবেচনা করা উচিত কিনা তা নির্ধারণ করতে বিশেষজ্ঞদের একটি জরুরি কমিটি গঠন করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন,তিনি ২৩ জুন জরুরি কমিটি আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা ভাইরাসটি আফ্রিকার বাইরের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।
মাঙ্কিপক্সকে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি বিষয় হিসাবে ঘোষণা করা মানে রোগটিকে বিশ্বব্যাপী একটি হুমকি বলে গণ্য করা।
যুক্তরাজ্য সোমবার জানিয়েছে, দেশে মাঙ্কিপক্সের ৪৭০ টি কেস শনাক্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই সমকামী বা উভকামী পুরুষদের মধ্যে রয়েছে।
টেড্রোস বলেছেন, ডব্লিউএইচও মাঙ্কিপক্সের টিকা দেয়ার বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনে আরও ১০৪ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
ব্রাজিলে আরও একজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত
২ বছর আগে