চুমকি করণ
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে প্রদীপের স্ত্রী
টেকনাফে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী ও দুদকের মামলার পলাতক আসামি চুমকি করণ আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। পরে আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রায় চার কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে গত ২০২০ সালের ২৩ আগস্টে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি করণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, স্বামী ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরপূর্বক একে অপরের সহযোগিতায় ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন চুমকি কারণ।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২)/২৭(১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায়।
মামলা হওয়ার পর থেকেই চুমকি করণ পালিয়ে যান। এর আগে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটাস্থ প্রদীপ দম্পতির ছয় তলা বাড়ি লক্ষ্মী কুঞ্জে সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
দুদকের করা এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
চুমকি আদালতে আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, ২০২০ সালে ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ আশফাকুর রহমান ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ প্রদান করেন।
পড়ুন: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
সিনহা হত্যা: খালাস চেয়ে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের আপিল
২ বছর আগে