মন্তব্য
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই: নানক
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ঈদ মানুষের কষ্টে কেটেছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য প্রসঙ্গে নানক বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে কথা বলেন তারা সে বাংলাদেশ দেখতে অভ্যস্ত। আজ বাংলাদেশ এমন এক জায়গায় গেছে যে পেছনে তাকানোর সময় নেই।
আরও পড়ুন: পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: নানক
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আজ বিশ্ব হাতের নাগালের মধ্যে। কাজেই রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজ আর নেই।
নানক বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি সুন্দর বাংলাদেশ, হাস্যোজ্জ্বল বাংলাদেশ। রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। আমরা যারা সরকারের লোক এবং সরকারে রয়েছি, আমরা কিন্তু রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভ মূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল মফস্বলের মানুষ কিন্তু সে পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলে আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ভোক্তার কাছে এসে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এটি আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।
তাহলে কি সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা ভোক্তা যাদের কাছে মালামাল কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজ সরকার করবে, সেটি সরকারের দায়িত্ব। সুলভ মূল্যের বাজারের কারণে ঢাকা শহরে ১৫ রোজার পরে জিনিসপত্রের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জিনিসপত্র, কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষ দুটি বড় উৎসব পালন করল। ঈদুল ফিতরের পর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। দুটি উৎসব মানুষ আনন্দের সঙ্গে পালন করেছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে: নানক
৮ মাস আগে
আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আগামী পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ দেশ পাহারা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরপর চতুর্থবারসহ পাঁচবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগবে না। যেভাবে ভোটের বাক্স পাহারা দিয়েছি, রাজপথ পাহারা দিয়েছি, সেভাবে আমরা আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের আলোচনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে, তবু নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। চমৎকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বিশ্বের ৮০ টি দেশ, ৩২ টি আন্তুর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে। এসব দেখে বিএনপি এখন হায় হায় করে, লিফলেট বিতরণ করে, আর কী করা যায় ভাবছে। আশা করি তারা আর আগের মতো নাশকতার পথে যাবে না। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাই আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব আমরা।'
এ সময় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যাঙ ছোট হলেও আওয়াজ বড়ো, ছোট কিছু রাজনৈতিক দল এবং পরিত্যক্ত নেতাদের ইদানীং বড় আওয়াজ শোনা যায়। তাদের নাম বলতে চাই না, কিন্তু তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মঞ্চে ১০০ জন, সামনে ২০ জন আর বাকিটা মিডিয়া নিয়ে তাদের সভা হয়।’
আরও পড়ুন: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে বিচারকের বিরুদ্ধে মন্তব্য, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
চট্টগ্রাম আদালতের বিচারককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সঞ্জয় চৌধুরী (২৪) বর্তমানে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুপালংয়ে এপিবিএনে কর্মরত।
তিনি সাতকানিয়া থানার কালিয়াইশ এলাকার চন্দন চৌধুরীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন চট্টগ্রাম মহানগরী ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বেঞ্চ সহকারী এ এস এম নূরে খোদা।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি জোনের এসি অতনু চক্রবর্ত্তী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে এই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী ইমা বসু গত বছর ১৯ জুলাই মহানগরীর ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলা করেন। আদালত ওইদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমন পেয়েও আসামি হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চালক নিয়োগ: অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় ইবি ছাত্রলীগ সভাপতির জিডি
এরপর আসামি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। পরে এই আদালত ও বিচারককে নিয়ে কটুক্তি ও কুরুরচিপূর্ণ মন্তব্য করে বাদির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ধারাবাহিকভাবে মেসেজ দেন। এ ঘটনায় বাদি বিরক্ত হয়ে বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।
আদালত এই বিষয়ে তদন্ত করতে চট্টগ্রাম মহানগরী পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দেন। গত ২৩ ডিসেম্বর আদালতে তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন দেয় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
১০ মাস আগে
বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া দল নয়। আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপি বা অন্য কোনো দলকে এমন উদ্ভট প্রস্তাব দেবে না, যা দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করে বা গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, 'সরকার বা দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
উল্লেখ্য, রবিবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এ প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, আটক সব নেতাকে রাতারাতি মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ৪০ জন বুদ্ধিজীবীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যারা আগুনসন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান না জানিয়ে নির্বাচনের কথা বলছে, তারা বিএনপির এজেন্ট, তারা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।’
কাদের বলেন, এ পর্যন্ত ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ৩৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
১ বছর আগে
খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ফেলে দেয়া উচিত বলে করা মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি দেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় নেত্রী; যিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ।
এসময় তিনি তাকে (খালেদা জিয়াকে)উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য তার দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ফখরুল বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য আসাটা অকল্পনীয়।
তিনি বলেন, ‘কোনও সভ্য দেশের মানুষ এ ধরনের মন্তব্য সহ্য করতে পারে না। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) আপনার মন্তব্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলছি।’
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় জনগণ ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু প্যাচওয়ার্ক দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ঠুস করে ফেলে দেয়া উচিত।’
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, কারণ তিনি এখন তার ক্ষমতার অবসান ঘটতে দেখছেন।
খালেদার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়া এখন খুবই অসুস্থ এবং বিদেশে যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ না দিলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে আমরা সরকারের কাছে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে এবং সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাতে চাই।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় চেয়ারপার্সনকে গণতন্ত্রের আন্দোলনে বাধা দিতে তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রেখেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
একই বছর তিনি আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫শে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।
তবে মুক্তির শর্ত ছিল, তিনি (খালেদা জিয়া) তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ রছরড় বাইরে যাবেন না।
২ বছর আগে