চেম্বার
ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মুসরীন আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সিদ্দিকুর রহমানের আয়ের সঙ্গে ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ এবং তার স্ত্রী মুসরীন আক্তারের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ রয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ১ টাকার সম্পদ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
এতে আরও বলা হয়, ফরিদপুর চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উৎস থেকে ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন। এটি তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, মুসরীন আক্তার একজন গৃহিনী। তার নিজস্ব কোনো ব্যবসা বা আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। তার স্বামীর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদই তার নামে অর্জন দেখানো হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের র্নিদেশে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
১১ মাস আগে
ঢাকা ও রিয়াদ চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেরই আরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার ও বিনিয়োগের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা সৌদি আরবের বিনিয়োগের বড় অংশীদার হবেন।
তিনি সোমবার রিয়াদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে ব্যবসায়িক বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
আগামীতে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
সমঝোতা স্মারকে রিয়াদ চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার সই করেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে ৬১টি বাংলাদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বেসরকারি খাতের বৃহত্তম ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সৌদি সফর করছেন।
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে সৌদি বাজার, উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বাজার যা বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে পারে বলে তিনি জানান।
তিনি বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে সৌদি ও বাংলাদেশের নতুন ও অভিন্ন সুযোগ অন্বেষণের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই এবং সৌদি উদ্যোক্তারাও তাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে আরও ব্যবসা করতে আগ্রহী।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, আমরা সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য দেখে গর্ববোধ করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত এক দশকে তার বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং বিদ্যমান নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ক্রমবর্ধমান রয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে, কাজেই শুধু বাজার বৈচিত্র্য নয়, পণ্য বৈচিত্র্যও প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে তবে এই সংখ্যাটি অন্তর্নিহিত অফুরন্ত সম্ভাবনাকে সবটুকু প্রতিফলিত করে না।
তিনি বলেন, ঢাকা চেম্বারের এ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বড় বিনিয়োগকারীরা বিশেষ করে আইটি, কৃষি পণ্য, অবকাঠামো, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, গার্মেন্টস পণ্য, সিরামিক পণ্য, পর্যটন ও আতিথেয়তা, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন এবং তারা সবাই তাদের সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী।
পরে তিনি সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের উল্লেখ করে স্মার্ট ফার্মিং, আইটি, ফিনটেক, লজিস্টিকস ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলে চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলের আগামী ১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মক্কা চেম্বার অব কমার্স এর সঙ্গে অনুরূপ বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন নির্ধারিত রয়েছে।
এ বৈঠকে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ইকনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক
'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কুমিল্লায় চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসক ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত
কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হক ও তার স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমিকে চেম্বারে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ।
ডা. জহিরের স্ত্রী হিমির বড় ভাই কাজী শরিফ জানান, রেইসকোর্সে শাপলা টাওয়ারের পরিচালানা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে একদল লোক এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ সময় জহির মারাত্মক আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। বোন হিমিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সেও চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে কথা-কাটাকাটি, ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত
ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিন মোর্শেদ পাপ্পু নামে একজনকে আটক করা হয়। বাকি অভিযুক্তদেরও আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কুমিল্লার সভাপতি ডা. আবদুল বাকী আনিস, সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোরশেদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিএ) সভাপতি ডা. একেএম আবদুস সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌফিকুন্নবী খান লিটন।
আরও পড়ুন: যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সম্রাটের করা আবেদনটি ৩০ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ফলে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ওই মামলায় ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ সম্রাটকে জামিন দেন। এই জামিন বাতিল চেয়ে ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। এর শুনানি নিয়ে ১৮ মে হাইকোর্ট সম্রাটকে দেয়া জামিন বাতিল করে তাকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে সম্রাট আপিল বিভাগে আবেদন করেন; যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে সম্রাটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ক্যাসিনোকান্ডে ধরা খাওয়ার পর দায়ের হওয়া চার মামলার সব কটিতেই জামিন পাওয়ায় ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট। তিনি এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মাতাল অবস্থায় ছিলেন। তাঁদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন। গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব।
সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে মামলা করে। আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এই মামলায় আগামী ৯ জুন অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট, মুক্তিতে বাধা নেই
সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
২ বছর আগে