প্রশান্ত মহাসাগরীয়
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২ দেশের সঙ্গে বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ১২টি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি করেছেন।
বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি। যা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য এবং মহামারি ও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে সৃষ্ট বাণিজ্যিক অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পাদন করা হয়েছে।
সোমবার টোকিও সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে সব সময়েই স্পর্শকাতর। আমরা একসঙ্গে কাজ করে এই অঞ্চলে সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবো।'
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগদানকারী দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। বাইডেন সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ জোটের হাতে থাকছে বিশ্বের ৪০ শতাংশ জিডিপি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক চায় পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাইডেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে মার্কিন অর্থনীতির কিছু ‘সমস্যা’ রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
কিশিদার সঙ্গে সাক্ষাত করে বাইডেন বলেন, নতুন এই চুক্তি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মার্কিন সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে।
দেশগুলো একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার পরে এই চুক্তিটি সম্মিলিতভাবে তাদের ‘অর্থনীতিকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে’ সাহায্য করবে।
যৌথ বিবৃতিতে জোট সদস্যরা আরও জানিয়েছেন, 'এই জোটের মূল উদ্দেশ্য অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা, স্থায়িত্ব, অন্তর্ভুক্তিকরণ, ন্যায্যতা ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা। এই জোটের মাধ্যমে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাব।'
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে,চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ান অর্থনীতিগুলোকে সরবরাহ শৃঙ্খল, ডিজিটাল বাণিজ্য, পরিচ্ছন্ন শক্তি, কর্মীদের সুরক্ষা এবং দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।’
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এখনও বিশদ আলোচনা করা দরকার। কারণ শুধু মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে বলা কঠিন যে এই চুক্তিটি কীভাবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়িকদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে এবং বৈশ্বিক চাহিদা মেটাবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ একটি 'গণহত্যা': বাইডেন
বাইডেন-মোদি ভার্চুয়াল বৈঠক আজ
২ বছর আগে