কারিকুলাম
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, নতুন কারিকুলামে বেশকিছু অন্তর্ভুক্তি(ইনপুট) আসছে। এগুলো আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি। এখানে যেসব বিষয়গুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন, সেগুলো অবশ্যই আমরা পরিবর্তন করব।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ‘বই উৎসবে’ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর রাজধানীর বনানীস্থ বাসভবনে ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইরাব নেতারা। মন্ত্রী ইরাবের সদস্যদের সঙ্গে নতুন কারিকুলামসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতির চ্যালেঞ্জের কথা যদি বলেন সেখানে বলব, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বেশকিছু ইনপুট আসছে। এগুলো আমরা দেখছি। এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে আরও বেশকিছু পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে এখন যে একেবারে শতভাগ স্থায়ী তা কিন্তু নয়। আমরা এর আগেও বলেছি, আমাদের সে কারেকশনগুলো আসবে সেগুলো আমরা সমাধান করব।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পেয়েই তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান নওফেল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করব। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা আমাদের কারিকুলামে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রয়েছে, আমরা নিজেরাও পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার
১০ মাস আগে
নতুন কারিকুলাম নিয়ে কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানবিক, সৃজনশীল ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতাসম্পন্ন জাতি গঠনে আমাদের দেশে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। কিন্তু কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী এবং কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এতে সব শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলাম নিয়ে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মহিলা সমাবেশ ও নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে আমি যখন এই এলাকায় এসেছি, তখন কোনো দালান চোখে পড়ে নাই। শুধুমাত্র টিন দিয়ে তৈরি হতো ঘরবাড়ি। হাইমচরের মানুষ নদী ভাঙার আতঙ্কে অর্থবিত্ত থাকার পরও পাকা দালান করতো না। আপনাদের তিনটি দাবি ছিল নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, হাইমচর চাঁদপুর সড়ক সংস্কার, হাইমচর কলেজকে সরকারিকরণ ও ডিগ্রি কলেজে রুপান্তর।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আপনাদের তিনটি দাবি পূরণ করতে পেরেছি এবং আপনাদের দাবির চেয়েও অনেক বেশি কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
১০ মাস আগে
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে শিক্ষক হবেন গাইড। শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষায় প্রবেশ করতে পরিচালকের ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকরা।’শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর সেন্ট জোসেফ স্কুলে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কীভাবে আনন্দ করে পড়া যায়, শেখা যায়, বোঝা যায়, শিক্ষাকে সবার জন্য সহজ করে দেয়া, আনন্দময় করে দেয়ার জন্যেই শিক্ষায় সেই পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চাই, শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে চাই। শিক্ষকের জায়গায় (ভূমিকায়) ও পরিবর্তন আসছে, শিক্ষকের ভূমিকায় পরিবর্তন অনেকটা এই রকম— শিক্ষক এখন ফেসিলিটেটর হবেন, গাইড হবেন।শিক্ষার্থীর আনন্দের অংশীদার হবেন। শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষার জগতটাকে শিক্ষক তৈরি করে দেবেন। আমরা অনেক যত্ন করে এটা (নতুন শিক্ষাক্রম) তৈরি করেছি যেন শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যে শিক্ষার জগতটাকে খুঁজে নিতে এবং শিক্ষার জায়গাটাকে পূরণ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ জোরদার করা হবে: শিক্ষামন্ত্রীশিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিখতেই হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর আগে তিনটা শিল্প বিপ্লব পার হয়ে গেছে, সেই বিপ্লবকে আমরা ধরতে পারিনি। তথ্যপ্রযুক্তির জায়গায় আমরা এসেছি, কিন্তু তার আগেরগুলো আমরা ধরতে পারিনি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবটি শুধু আমাদের ধরতে পারা নয়, এর সফল অংশীদার হতে হবে। তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সে জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর অনেক বেশি জোর দিতে হবে। তবে একই সঙ্গে আমি এই কথাটিও বলতে চাই— বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, গণিত, পরিসংখ্যান, প্রকৌশল পড়তে হবে। নিশ্চয় পড়তে হবে। কিন্ত সাহিত্য ও নন্দনতত্ত্বের বোধ যদি তৈরি না হয় তাহলে শুধু বিজ্ঞান, গণিত তথ্যপ্রযুক্তি পড়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরি হবে না। সে কারণে সাহিত্যও পড়তে হবে। তাই আমরা যেনও এর সব কিছু মেলাতে পারি সে চেষ্টা করছি। ’শিক্ষায় বিনিয়োগ জিডিপির ছয় ভাগে যেতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলে শিক্ষাই হবে সবচেয়ে বড় মেঘা প্রকল্প।শিক্ষা বাজেট প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষায় বিনিয়োগ জিডিপির ছয়ভাগে যেতে হবে, আমরা তিন ভাগে আছি। ২০০৬ সালে আমাদের সারা দেশের যা বাজেট ছিল এখন শিক্ষা বাজেটই তার চেয়ে অনেক বেশি। শিক্ষায় আমরা অনেক বিনিয়োগ করছি আরও অনেক বিনিয়োগ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি বড় বড় সব মেগা প্রকল্পগুলো হচ্ছে, যেগুলো যেমন আমাদের যোগাযোগের জন্য দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার, তেমনি পরবর্তীতে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষা। সেটিই হবে বড় মেগা প্রকল্প।
আরও পড়ুন: চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ।
শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি।
তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে দেশের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ বছর আগে