সিরডাপ
‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্পের সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে সোমবার (২৪ অক্টোবর) প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদশের ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্পের শিখন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রকল্পটির সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল ও প্রকল্পের শিখন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অবহিত করা এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রমে এই প্রকল্পের শিখন ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা।
এই প্রকল্পটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তাই এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী সংস্থাগুলোকে এই সভায় স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান সম্পর্কে জানানো হয়।
এছাড়া, প্রকল্পটি স্কুল ও কমিউনিটিতে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম অনুশীলন করেছে এবং তা এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার এবং প্রাসঙ্গিক সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে একটি অ্যাডভোকেটরের ভূমিকা পালন করছে, যা তুলে ধরা হয় এই সভায়।
সম্মানিত প্রধান অতিথি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তার বক্তব্যে দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা কমিটি সব স্কুলগুলোতে থাকার উদ্যোগ নেওয়া হবে, এছাড়া আমাদের স্কুলগুলোতে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। নতুন কার্যক্রমে শিক্ষার প্রায়োগিক দিকে জোর দেয়া হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একই মানে আনতে হবে। প্রকল্পের অর্জনগুলো টেকসই করতে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কবিতা বোস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ; বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, পরিচালক (সিএলজিই ও অ্যাডমিন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ; প্রফেসর মুহাম্মদ বেলাল হোসেন, পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ; প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায়, স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ও উত্তর অঞ্চলের প্রধান, আশিক বিল্লাহ।
আরও পড়ুন: দেশে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরির প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
অনুষ্ঠানটিতে, সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চেয়ারপার্সন আরডিসি এবং প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করেন ফারজানা বারী, প্রজেক্ট ম্যানেজার, চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম প্রকল্প।
প্রান্তিক এলাকার স্কুলের ১০ হাজার-১৫ হাজার শিশুরা প্রকল্পটি থেকে সরাসরি উপকৃত হয়েছে, বিদ্যালয় হতে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার কমেছে এবং অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্টরা জেন্ডার সমতার বিষয়ে সচেতন হয়েছে।
তাছাড়া, স্টুডেন্ট কেবিনেট সক্রিয় করা, শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন, মডেল বিদ্যালয় মেলা আয়োজনের মাধ্যমের শিশুদের নেতৃত্ব বিকাশ করা হয়েছে। অভিভাবক সভার মাধ্যমে অভিভাবকদের জেন্ডার সমতা, মেয়ে শিক্ষার গুরুত্ব, বাড়িতে শেখার অনুকুল পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।
পরবর্তীতে, কিশোরী-যুব ও প্রধান শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ‘তৃণমূলের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনার পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে তারা ফুটিয়ে তোলেন, এই প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের সহ-পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুন সৃষ্টি ও তাদের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সৃজনশীল ও দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
১ বছর আগে
তৃণমূলের উন্নয়নই সরকারের অগ্রাধিকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার তৃণমূল থেকে পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষকে পেছনে ফেলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেই আওয়ামী লীগ দেশের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সেন্টার অন ইনটিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া এ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (সিরডাপ) মহাপরিচালক ড. চেরদসাক ভিরাপার কাছ থেকে ‘আজিজুল হক পল্লী উন্নয়ন পদক-২০২১’ গ্রহণকালে একথা বলেন।
গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে সিরডাপ।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এশিয়াকে শক্তি একত্রিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ উন্নয়ন নিশ্চিত হলেই দেশ কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায়ও প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এবং সে কারণেই ক্ষমতায় আসার পর সে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রকল্পটি বেকার দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং সেখানে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।
তিনি গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতি দুই কিলোমিটার দুরত্বে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করছে যাতে শিশুরা পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সরকার বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও এর পাশাপাশি অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,সরকার গ্রামীণ জনগণের জন্য নিরাপদ পানি এবং মানসম্মত স্যানিটেশন সুবিধার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আবাসন সহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলোও নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে এবং দরিদ্র দুস্থ মানুষদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সিরডাপ এবং এর পরিচালনা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান এবং পুরস্কারটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় জলবায়ু সংকট থেকে মনোযোগ সরানো উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে