এলডিসি গ্রাজুয়েশন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ২০২৬ সালের আগেই এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক রিলেশনস ডিভিশনের সাপোর্ট অফ সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রজেক্ট আয়োজিত ‘ন্যাশনাল সেমিনার অন এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক সেমিনারের প্রথম ওয়ার্কিং সেশন-১ এ প্রেফারেনশিয়াল মার্কেট এক্সেস এন্ড ডব্লিউটিও ইস্যু এবং সেশন-২ এ ইনভেস্টমেন্ট এন্ড এক্সপোর্ট ডাইভার্সিফিকেশন শীর্ষক সেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো চুক্তি সই করে বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের জন্য আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন বিধিবিধানের আলোকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের আগেই সফলভাবে এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে। এজন্য নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো ও মার্কিন যুক্তরাষ্টসহ আমাদের বেশ কিছু বড় বাজার রয়েছে। আমাদের প্রতিবেশি ভারতেও আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। ভারত একটি বড় বাজার, সেখানেও রপ্তানি বাড়ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। একটি পণ্যের ওপর রপ্তানি খাতকে ধরে রাখা ঠিক হবে না। আমাদের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ’টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এগিয়ে এসেছে। দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছে।
সেমিনারে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
ওয়ার্কিং সেশন-১ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং প্যানেলিষ্ট আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অফ মিশন ড. বার্ন্ড স্পেনিয়ার এবং র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
সেশন-২ এ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয় সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
শিগগিরই চিনির দাম স্থিতিশীল হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের ৪৫ ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেশ ভালো: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়। বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার। এর মাধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেশ ভালো। তাছাড়া বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে।
রবিবার নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন অ্যাম্বাসি এবং ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশনের সহযোগিতায় ‘ফরেন ডাইকেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফর লজিস্টিক সেক্টর’ শীর্ষক দিনব্যাপী আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে সহজেই অন্যদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: আলমেরিয়ার কৃষির মডেল বাংলাদেশে প্রয়োগ করে টেকসই কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশে রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা গ্রহণ করেছে। শিল্প কল-কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধার টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অবকাঠামো সেক্টরে বিনিয়োগ প্রয়োজন। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে দেশব্যাপী কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে