মজুদকারী
পেঁয়াজ মজুদকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে: ভোক্তার মহাপরিচালক
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভোক্তা অধিকারবিষয়ক সচেতনতামূলক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের জন্য কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার আরও জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া পেঁয়াজ মজুদকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে কিছু মজুদদারকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বাকি মজুদদারদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জ ও শ্যামবাজারে কে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছিল এবং কীভাবে গুদামে সাজানো পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে দেশের ৫৪টি জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মাংস ও আলুর বাজারে অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও সরকার এখন পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ভোক্তা অধিকারবিষয়ক এক বিতর্কে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও রানার্সআপ হয়েছে ইডেন মহিলা কলেজ।
চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি দেখায় যে কালোবাজার সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, যারা বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছেন তারা লোকসান এড়াতে চাইলে দ্রুত বাজারে পণ্য সরবরাহ করবেন।’
আরও পড়ুন: কপ-২৮ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক: সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও কম কার্বনের পথে বাংলাদেশ
রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।
১১ মাস আগে
চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ফসল কাটার মৌসুমে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৈঠকে দেশের ভোজ্যতেল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে চালানো সাম্প্রতিক অভিযানের মতো অবৈধ চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ অননুমোদিতভাবে ব্যবসা এবং চাল মজুদ করে থাকে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল বলেন, ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বেড়েছে এবং চাল মজুদ করা হচ্ছে কি না এবং কেউ অবৈধভাবে চালের ব্যবসায় জড়িত কি না তা জানতে বাজার সার্ভে করার পর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন তথ্য রয়েছে যে কিছু (ব্যবসায়ী বা কোম্পানি) সমিতির স্মারকলিপি ভেঙে চালের ব্যবসায় জড়িত হতে পারে। তাই, বৈঠকে চালের বাজার জোরালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে বলা হয়েছে।
চালের দাম বাড়ার পেছনে কারণ জানতে বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব এবং কৃষি সচিবকে শিগগিরিই মার্কেট সার্ভে পরিচালনার জন্য বৈঠকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে