কারসাজি
শেয়ারের দর কারসাজির দায়ে ক্রিকেটার সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজির দায়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভাপতি খোন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে বর্তমানে ভারতে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে যাওয়া সাকিবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: রাতে দেশে ফিরছে টাইগাররা, যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সাকিব
বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দরে কারসাজি করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে এ জরিমানা করা হয়। এ ঘটনায় আরও কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে সংসদে দায়িত্ব পালন করা সাকিবের জন্য এই ঘটনাটি আরেকটি ধাক্কা।
এ ছাড়া সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে শাকিকে। মামলার নথিতে অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। তবে আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি, তার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়নি।
আরও পড়ুন: আশা করি সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হবে না: আসিফ নজরুল
ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
১ মাস আগে
বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি আমাদের অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে, কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজারের অসাধু লোভাতুর সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল।’
৮ মাস আগে
অভিযানেও কমছে না খুলনার ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীদের কারসাজি
একের পর এক অভিযানেও খুলনায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য। গুদামগুলোয় মিলছে অবৈধ মজুত।
অভিযানে অবৈধ মজুত রাখা, বেশি মুনাফার আশায় অযৌক্তিক দামে বিক্রি ও লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের নানা অপরাধের তথ্য বের হয়ে আসছে।
সরকার একটি ডিম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এসব পণ্য সেই দামে মিলছে না। এতে করে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
মহানগরীর বড় বাজার, সান্ধ্য বাজার, গল্লামারীসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কারসাজি ঠেকাতে প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে ভোগ্যপণ্য কেনাই যাচ্ছে না। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনে কমে বিক্রি করা সম্ভব না।
গল্লামারী বাজারের ক্রেতা নিয়ামুল বলেন, বাজারে অগ্নিমূল্য। সরকারের নির্ধারিত দামে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।
একই সুরে কথা বলেন এম রহমান নামে অপর এক ক্রেতা, সরকার আলুর প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাজার থেকে কিনলাম ৫০ টাকা কেজি।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
এম রহমান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অচিরেই অনেককেই অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতে পারে।
ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ক্রেতা আইনজীবী হেলাল হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে কোনো পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা যেমন ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, তেমনি ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে কোনো পণ্য কিনতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের চরম ব্যর্থতার বলি হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা। এর মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর মাছের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আমরা আমজনতা বাজারে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ছাড়াও সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করা হচ্ছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ও মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পৃথক ২ অভিযানে খুলনায় ৭০৫ কেজি ভেজাল মধুসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডিমের দামে কারসাজি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
এরপরও গোপনে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল মধু তৈরি করে বিক্রি করছেন।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ায়ের অধীনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় প্রতিনিয়ত খুলনার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। অভিযানের পর আবারও অধিক মূল্য হাকান ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনেক বেপরোয়া। আমরা যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ কোনো সমস্যা হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চলে যাওয়ার পর আবার একই অবস্থা হয়ে যায়। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু আছে আমরা চেষ্টা করছি বাজার ঠিক করার।
খুলনা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করাতে আমরা চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। কোল্ড স্টোরেও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।
তিনি বলেন, সেখানে মালিকের কোনো আলু নেই। মালিক শুধু কোল্ড স্টোর যারা ভাড়া নিয়েছে তাদের কাছ থেকে চার্জটা রাখে। বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে আনছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের আলু এখনও না পাওয়া গেলেও পেঁয়াজের দাম কাছাকাছি এসে গেছে। পেঁয়াজ ছিল ৮৫-৯০ টাকা, যা এখন কমে হয়েছে ৭০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ এখন ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের তিনটা ভ্রাম্যমাণ আদালত অথবা ভোক্তা অধিকারের লোক নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন অভিযান করেছে ৩ দিন। শহরের মধ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ কারণে বেশি দাম রাখতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। তবে শহর থেকে দূরে বেশি দামে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: আ’লীগের লুটেরাদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
১ বছর আগে
ফরিদপুরে ডিমের দামে কারসাজি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। শনিবার (১২ আগস্ট) ফরিদপুর সদর উপজেলার বাইপাস এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ডিমের আড়তে অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
তিনি আরও বলেন, অভিযানে ডিমের দামে কারসাজি করা, ডিমের বিক্রয় রসিদে মূল্য না থাকা, মূল্য তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে অ্যাডভান্সড পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিস ফিড লিমিটেডকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়াও হ্যালিপোর্ট বাজারে ডিম, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার দর তদারকি করা হয়েছে।
এ সময় জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. বজলুর রশিদ খান ও জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৮ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৬ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
১ বছর আগে
আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে চলতি আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৫টি, নওগাঁয় ৩১টি, ঠাকুরগাঁও ও নড়াইলে ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্দেশ দেয়া হয়েছে যারা অনিয়ম করেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা তাদের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছি, তারা এটা পরীক্ষা করবে এবং অনেক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হবে বলে আমরা মনে করতেছি।
আরও পড়ুন: কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন চাষীরা ধান লাগানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে। তাদের সারও কিনতে হয়। হয়তো ডিলার বলতেছে গাড়ি আসেনি বা কোন কারণে আজকে সার নেই, কাল আসেন। কৃষক হয়তো বলে না থাকলেও কিছু দাও, তখন চালাকি করে কারসাজি করে দাম বেশি নিচ্ছে। ডিসি, এসপি, কৃষি কর্মকর্তাদের টেলিফোন করি, সবাই বলে আমাদের এখানে সারের কোন সমস্যা নেই। আমাদের গুদামে সারের সংকট নেই, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সার দিচ্ছি। তারপরও কেন দাম বাড়বে। এখানে আমাদের প্রশাসনের কিছুটা ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে। দাম বাড়ার তো কোন কারণ নেই। সংকট নেই।
প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের লোক থাকতে পারে, সেটাও আমরা দেখছি। খুব শক্তভাবে, কঠোরভাবে আমরা এটা করার চেষ্টা করছি। রংপুর ও বগুড়ায় এটা বেশি হয়েছে, আমরা এগুলো তদন্ত করছি।
আগস্টে আজকে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি করা এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এক লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবর ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুদ অনেক বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
আ’লীগের লুটেরাদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের ‘লুটেরাদের কারসাজির’ কারণে ফের চালের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চালের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। বোরো ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম কমে আসার কথা। কিন্তু আবারও দাম বাড়ছে। তারা কারসাজি করছে।’
বুধবার এক সেমিনারে ফখরুল বলেন, আওয়ামী চোর-লুটেরাদের ষড়যন্ত্রে দাম বাড়ছে। তাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাওয়া।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার নীতি ও কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।
সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি কৃষির উন্নয়নে জিয়ার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দেশের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রায়ই জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, জিয়া একজন বিশ্বাসঘাতক ও খুনি। আমি জানি না তিনি (মন্ত্রী) সেই সময়ে জন্মেছিলেন কি না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তথ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তার সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। আমরা কখনই তাদের নেতাদের অবমূল্যায়ন করি না। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া আমাদের এই সংস্কৃতি শিখিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সব সময় বিএনপি ও জাতীয় নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের (আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক) গতকাল (মঙ্গলবার) যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, এটা রাজনীতির ভাষা নয় এবং এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সারাদেশের কৃষকদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে কৃষকদল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
পড়ুন: জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসুন: বিএনপিকে কাদের
গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ
২ বছর আগে