জিন
বিটিএস সদস্যকে চুমু খেয়ে বিপাকে পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস সদস্য জিনের গালে সম্মতি ছাড়া চুমু দিয়ে আইনি জটিলতায় পড়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক জাপানি নারী। ওই ঘটনার পর তাকে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়ান পুলিশ।
স্থানীয় বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির রাজধানী সিউলের সংপা পুলিশ স্টেশনের এক পুলিশ কর্মকর্তা। গত বছরের জুন মাসে জিন আয়োজিত ‘ফ্রি হাগ’ অনুষ্ঠানে এই চুমুকাণ্ড ঘটে বলে জানান তিনি।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, সম্মতি ছাড়া চুমু দেওয়ায় ওই নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ওই নারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে তার পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
পুলিশ স্টেশন থেকে আরও জানানো হয়েছে, অনলাইনে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। তবে তদন্ত এখনও শেষ না হওয়ায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা।
এদিকে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জাপানি পুলিশের সহায়তায় দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে। তাকে পুলিশ স্টেশনে ডাকা হলেও জেরায় হাজির হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই নারী।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৩ জুন ১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা শেষ করেন জিন (কিম সোক-জিন)। বিটিএস সদস্যদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই দায়িত্ব শেষ করেছেন। ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যরা এখনও সামরিক সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।
এর পরের দিন (১৪ জুন) রাজধানী সিউলে একটি অনুষ্ঠানে নিজের ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য ‘ফ্রি হাগ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এই কে-পপ তারকা। ওই ইভেন্টে প্রায় ১ হাজার মানুষ অংশ নেয় বলে গণমাধ্যমে খবর বেরোয়।
জড়িয়ে ধরার ওই অনুষ্ঠান চলাকালে এক নারী হঠাৎ জিনের গালে চুমু দিয়ে বসেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, অপ্রত্যাশিত চুমু পেয়ে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে যান জিন।
এরপর ওই নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে লেখেন, ‘আমার ঠোঁট তার ঘাড় স্পর্শ করেছে। তার ত্বক খুব নরম!’
দক্ষিণ কোরিয়ার ২০১৩ সালে গঠিত হয় বিটিএস। ৩২ বছর বয়সী জিন বয়সে এই ব্যান্ডের সবচেয়ে বড় সদস্য।
১৮ দিন আগে
জিন তাড়ানোর নামে কিশোরীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে জিন তাড়ানোর নামে এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে নগরীর সদরঘাট থানা পুলিশ সদরঘাট দারোগারহাট এলাকা থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো.আশিকুল ইসলাম (৩৪) জেলার বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের মো.হাবীবুল আলমের ছেলে এবং নগরীর হাজী নসু মালুম মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত বলে পুলিশ জানায়।
এর আগে স্থানীয় জনগণ অশিকুলকে আটক করে রেখে ৯৯৯- এ ফোন করে জানায়। পুলিশ জানায়, ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী গত তিন মাস যাবৎ অসুস্থ ছিল। বিভিন্ন সময় চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় তার বাবা মুয়াজ্জিন মো.আশিকুল ইসলামের শরণাপন্ন হন। আশিকুল বলেন তার মেয়ের ওপর জিন ভর করেছে, দ্রুত ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা না করলে তিনদিনের মধ্যে তার মৃত্যু হবে। এমনকি চিকিৎসার জন্য তিনি ২১ হাজার টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা আশিকুলকে ১০ হাজার টাকা দেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দরজা-জানালা বন্ধ করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসার নামে আশিকুল ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, জিন তাড়ানোর চিকিৎসার নামে ওই স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার বাবা ও আশেপাশের লোকজন আশিকুল ইসলামকে আটক রেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, আশিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ধর্ষণ, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
১০১৯ দিন আগে