পরিবহন মালিক
মঙ্গলবার থেকে সিলেটে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট
পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছয়টি নিবন্ধিত সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
আরও পড়ুন: সারাদিন দুর্ভোগ শেষে সিলেটে রাতে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৬টা থেকে সিলেটের সড়কে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মালবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিন: দুর্ভোগে যাত্রীরা
গত ৫ সেপ্টেম্বর আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে এবং স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেটের প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরে পাঠানো হয়েছে। সেসব দাবি পূরণে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে সিলেটের সব ধরনের গণপরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন, জনভোগান্তি অব্যাহত
তাদের দাবিগুলো হলো-সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করতে হবে। সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে, ভাঙাচুরা রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কার এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয় করা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। একই সঙ্গে বেআইনী গাড়ি অটোবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ডাম্পিংকৃত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে পরিবহন খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রত্যাশা
পদ্মা সেতুর সাথে সংযুক্ত দুটি জেলার অন্যতম শরীয়তপুরের পরিবহন মালিকরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত সেতুটি উদ্বোধনের পর জেলার পরিবহন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।
সেতুটি উদ্বোধনের পর শরীয়তপুর ও রাজধানী ঢাকার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। যানবাহন চলাচলের প্রথম দিন থেকেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে নতুন বাস চালু করতে জেলার পরিবহন মালিকরা ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
সম্প্রতি শরীয়তপুর পৌরসভা বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস টার্মিনালের দুই পাশে দুটি কারখানায় চলছে নতুন বাস নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। তারা ভলভো, অশোক লিল্যান্ড, টাটা কোম্পানির বাসের চেসিস কিনে বডি তৈরির কাজ করছেন। শরীয়তপুর ছাড়াও ঢাকা ও সাভারে বাসের বডি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তবে শরীয়তপুরে তৈরিকৃত বাসগুলো কতটা মানসম্মত হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান স্থানীয় যাত্রীরা। তারা জানান, শরীয়তপুরের আঞ্চলিক রুটে যাতায়াতকৃত বাসগুলোর মান একদম নিম্ন মানের। এর মধ্যে অনেকগুলো একদম চলাচলের অনুপোযোগী। তাই ঢাকা-শরীয়তপুর রুটে মানসম্মত বাস চালুর দাবি তাদের।
জেলা বাস মালিক সমিতির সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি প্রাইভেট কোম্পানি শরীয়তপুর থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সরাসরি বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস, শরীয়তপুর পদ্মা ট্রাভেলস, শরীয়তপুর পরিবহন ও গ্লোরি পরিবহন। প্রতিটি কোম্পানি নতুন বাস আনার পরিকল্পনা করছে। তাদের মধ্যে পদ্মা ট্রাভেলস ও শরীয়তপুর পরিবহনের কয়েকটি বাস এরই মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত চলাচল করছে।
পড়ুন: পদ্মা সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটাবে: কামাল
কোম্পানিগুলো প্রাথমিকভাবে ৩০০টি বাস প্রস্তুত করছে। যার একেকটিতে খরচ পড়ছে ৮০ লাখ থেকে ৯০ লাখ টাকা। এতে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন পরিবহন মালিকরা।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার বিলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন থেকেই আমরা ঢাকার সঙ্গে সরাসরি বাস চালু হওয়ার আশা করছি। কয়েকটি পরিবহন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কে যাদের রুট পারমিট আছে, শুধুমাত্র তারাই এই রুটে বাস নামাতে পারবেন।’
শরীয়তপুর পদ্মা ট্রাভেলসের চেয়ারম্যান ও নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কয়েকটি বাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছি। পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের শুরুর দিন থেকেই শরীয়তপুর থেকে ঢাকাতে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করার আশা করছি।’
শরীয়তপুর পরিবহনের পরিচালক এরশাদুজ্জামান বলেন, ‘গত বছরের শুরু থেকেই আমরা মাওয়া-সায়দাবাদ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে বাস চালু করেছি। পদ্মা সেতু চালু হলে আমরা ঢাকা-শরীয়তপুর রুটে সরাসরি বাস চালু করবো। আমাদের এসি ও নন-এসি দু’ধরনের বাস চলবে। আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবো।’
শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের পরিচালক খালেক পালোয়ান বলেন, ‘টানা দুই বছর করোনার ধাক্কা সামলাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা শরীয়তপুরের পরিবহন মালিকদের। তবে সেতু চালু হলে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে এই আশায় রয়েছি। তাই অনেক কষ্ট করে নতুন করে বিনিয়োগ করেছি। আশা করছি পদ্মা সেতুর সুফল পাবো আমরা’
শরীয়তপুর জেলা শহরের বাসিন্দা আব্বাস কোতোয়াল বলেন, ‘এতদিন শরীয়তপুর থেকে ঢাকাতে সরাসরি কোন বাস ছিল না। নৌপথে ঢাকা যাতায়াতে দুর্ভোগ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় শরীয়তপুর থেকে ঢাকাতে সরাসরি বাস চলাচল করবে। এতে আমাদের দুর্ভোগ কমবে।’
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পড়ুন: পদ্মা সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটাবে: কামাল
পূজাও নেই, জন্মদিনের আয়োজনও নেই
২ বছর আগে
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বেনাপোলের পরিবহন মালিকরা
স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তার বদলিসহ তিন দফা দাবিতে বুধবার বেনাপোলে পরিবহন শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার বেনাপোল পরিবহন সংস্থা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করব না।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি: মঙ্গলবার বেনাপোলসহ ১১টি শুল্ক স্টেশনে পণ্য খালাস বন্ধ
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদারকে প্রত্যাহার, দক্ষ চালক নিয়োগ এবং বন্দর এলাকাকে যানজটমুক্ত রাখা।
মামুন তরফদার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান আজিম উদ্দিন।
এদিকে, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের কয়েক দফা দাবিতে মঙ্গলবার বন্দরে বিক্ষোভ করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীর পাকস্থলী থেকে স্বর্ণের বার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
২ বছর আগে
৩ দাবিতে বুধবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা বেনাপোল পরিবহন মালিকদের
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারের প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে বুধবার থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী।
তাদের অন্য দুটি দাবি হলো-বেনাপোল স্থলবন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ বৃদ্ধি ও দক্ষ চালক নিয়োগ দেয়া এবং বন্দরে পর্যাপ্ত শেড ও জায়গা বৃদ্ধি ও যানজটমুক্ত রাখা।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি: মঙ্গলবার বেনাপোলসহ ১১টি শুল্ক স্টেশনে পণ্য খালাস বন্ধ
সংবাদ সম্মেলনে মামুন কবীর তরফদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ‘বন্দর ব্যবহার করে এমন সব সংগঠনই আমাদের সঙ্গে আছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের তিন দফা দাবি আদায় হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।’
এ সময় সমিতির সভাপতি এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান (সনি), সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী, মশিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান (সুমন), দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ধর্মঘট প্রত্যাহার
২ বছর আগে