ছয় দফা
১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবির মাধ্যমে চূড়ান্ত স্বাধীনতার বীজ বোনা হয়: জয়
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবির মধ্য দিয়ে বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল, যা জাতির মুক্তির দীর্ঘ সংগ্রামের একটি মাইলফলক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থাপিত ছয় দফা সনদ বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলনের ভিত্তি স্তম্ভ স্বরূপ।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে এসব কথা লেখেন জয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতার হাতিয়ার। দীর্ঘ নিপীড়ন, অবিচার ও বৈষম্যের শিকার বাঙালি জাতি ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে একটি নতুন দিকনির্দেশনা পায়।’
জয় লেখেন, ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবর রহমানের নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রচার করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ‘৬ দফা কর্মসূচির’ প্রচারণায় পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করেন।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে হরতাল পালিত হয়। হরতালে নির্বিচারে গুলি চালায় ও লাঠিপেটা করে পুলিশ ও ইপিআর। টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই ৭ জুন ‘ছয় দফা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
৭ জুনের সফল হরতালে আতঙ্কিত হয়ে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান এ চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয় বলেও লেখেন জয়।
২ বছর আগে