কয়লা খনি
কলম্বিয়ার কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
কলম্বিয়ার কুন্দিনামার্কা বিভাগে মঙ্গলবারের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেছেন, আরও ১০জন আটকে পড়া খনি শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট এক টুইটে লিখেছেন, ‘আমাকে এইমাত্র গভর্নর জানিয়েছে যে সব ধরনের উদ্ধার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, দুর্ভাগ্যবশত সুতাতাউসায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়লা খনি এলাকায় শ্রম ও ব্যবসায়িক পুনর্গঠন পরিকল্পনা ক্রমশ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রতিটি শ্রমিকের মৃত্যু শুধু ব্যবসায়িক ব্যর্থতা নয়, সামাজিক ও সরকারি ব্যর্থতাও।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৫২
কুন্দিনামার্কার গভর্নর নিকোলাস গার্সিয়া বলেছেন, উদ্ধারকারীরা ১০টি লাশ দেখেছেন এবং উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক সেবার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সাহায্যে সরকারের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
কুন্দিনামার্কা ফায়ার ক্যাপ্টেন আলভারো ফারফানের মতে, বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে যাওয়া ৯জন খনি শ্রমিকদের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফারফান বলেন, ন্যাশনাল মাইনিং এজেন্সি মিনমাইনার কোম্পানির অন্তর্গত আন্তঃসংযুক্ত খনিতে বিস্ফোরণের কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত শুরু করবে, যেটি ৩০ বছর ধরে কাজ করছে।
ন্যাশনাল মাইনিং এজেন্সি বলেছে যে তারা মিনমিনারের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে এবং বিস্ফোরণের পর খনির পরিস্থিতি মূল্যায়ন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: চীনের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত ১৫, আহত ৯
চীনে কয়লা খনি ধসে ২১ শ্রমিক নিহত
তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত ২৫
তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও কয়েক ডজন মানুষ খনিতে আটকা পড়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলীয় প্রদেশ বারতিনের আমাসরা শহরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টিটিকে আমাসরা মুসেসি মুদুরলুগু খনিতে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় খনিতে আটকা পড়া মানুষদের খনি থেকে বাইরে আনতে উদ্ধারকর্মীরা রাতভর অভিযান চালিয়েছে।
জ্বালানি মন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজ বলেন,প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে বিস্ফোরণটি সম্ভবত ফায়ারড্যাম্পের কারণে হয়েছে। ফায়ারড্যাম্প হচ্ছে কয়লা খনিতে থাকা দাহ্য গ্যাস।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণের সময় খনিতে ১১০ জন শ্রমিক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৫২
মন্ত্রী জানান, বিস্ফোরণের পর অধিকাংশ শ্রমিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি এখনও আটকা পড়াদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে বলেছেন, ৪৯ জনের মধ্যে কয়েকজনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি যে অনুশোচনা হচ্ছে। জনগণকে জানাতেও দুঃখ হচ্ছে।’
বার্টিনের গভর্নরের কার্যালয় জানায়, বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা জানান, অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আটজন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোসহ বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ঘোষণা করেন যে তিনি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিয়ারবাকিরে পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করছেন এবং উদ্ধার অভিযান সমন্বয়ের জন্য আমাসরা যাচ্ছেন।
তিনি বলেন,ঘটনার তদন্তে তিনজন প্রসিকিউটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এরদোয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের আশা প্রাণহানি যেন আর না বাড়ে এবং আমাদের খনি শ্রমিকরা যেন রক্ষা পায়। আমরা সে লক্ষ্যেই সকল প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ডিএইচএ জানিয়েছে, আটকে পড়া স্বজন, বন্ধু ও সহকর্মীদের খবর নিতে অসংখ্য মানুষ খনিতে ছুটে এসেছেন।
২০১৪ সালে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খনি বিপর্যয়ে পশ্চিম তুরস্কের সোমা শহরে একটি কয়লা খনিতে আগুনে ৩০১ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
লুহানস্কের ৯৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনের ডনবাসের লুহানস্ক প্রদেশের ৯৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির সেনারা।
মঙ্গলবার রাশিয়া জানিয়েছে, তারা তাদের অন্যতম লক্ষ্য কয়লা খনি এবং কারখানার কেন্দ্রস্থল সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনতে যাচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, লুহানস্ক প্রদেশের প্রায় পুরোটাই দখলে রেখেছে মস্কোর বাহিনী।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল আমদানি ৯০ শতাংশ কমাতে একমত ইইউ
শোইগু আরও বলেছেন, রুশ সৈন্যরা পোপাসনা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং তারা লাইমান, সোভিয়াতোহিরস্ক এসব অঞ্চলের ১৫টি শহর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তা ও সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এখন দোনেৎস্ক প্রদেশের প্রায় অর্ধেক দখল করেছে বলে মনে হচ্ছে।
তবে মঙ্গলবার রাতে জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ বাহিনী গত দিনে পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেনি। অঞ্চলটিতে বীরত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ দেবে রাশিয়া