অর্ধশতাধিক
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্রমিকদের কলোনিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘর।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বসতঘরে লাগা আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকের তেলিরচালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন বলেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।
তিনি আরও বলেন, আগুনে কলোনির চারটি গলির অর্ধশতাধিক টিনশেডের ঘর পুড়ে গেছে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, দোকানসহ ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
নরসিংদীর চরাঞ্চলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
৫ মাস আগে
কচুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি
চাঁদপুরের কচুয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। এছাড়া ঝড়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগে ঘরবাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি শতশত গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং ঘরের চাল উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
রবিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ সদর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রামের উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ডসহ অনেকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। শুধু তাই নয়, ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
৭ মাস আগে
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
কুড়িগ্রামে সবক'টি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিশেষ করে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া, হুমকিতে রয়েছে খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল থেকে ৩০ থেকে ৩৫ মিটার দূরে অবস্থান করছে নদী। মাঝে একটি আঁকাবাঁকা রাস্তা, রাস্তার ধারে কিছু গাছপালা।
যে কোনো মুহূর্তে তিস্তা হিংস্র হয়ে উঠলে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিকের।
আরও পড়ুন: বিপদসীমার ২৮ সেমি ওপরে তিস্তার পানি
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। গত ৩ মাস ধরে দফায় দফায় ভাঙছে তিস্তা।
এরমধ্যে শুধু খিতাবখাঁ গ্রামেই ইসমাইল হোসেন, রসুল, মোস্তাক, কদিমল, হাসেন আলী, ইউসুফ, দুলাল, আব্দুর রহিম, বালো, কছো মামুদ মমিন, হারুন, আবুল, আ. ছাত্তার, রফিকুল, অতুর আলী, রুস্তম, রফিকুল, আবুল হোসেন, মসুল, নুর ইসলাম, ফয়েজ, মাহাম্মদ, আবেদ, শফিকুল ইসলামসহ ৩০টি পরিবারের ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যান্য ৪টি গ্রামসহ এর সংখ্যা ৫০-এর উপরে।
উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, গতিয়াশাম ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, রামহরি এবং কালিরহাট গ্রামে শত শত একর ফসলি জমি ও গাছপালা গিলে খাচ্ছে তিস্তা নদী। বাড়িঘর হারিয়ে তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন। এই গ্রামের অনেকে আবার মাঝেরচর নামক স্থানে নতুন বসতি স্থাপনের কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহীন
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙনে গত ১৫ দিনে শতবিঘা আবাদি জমি, অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে আরও দেড় শতাধিক বাড়িঘর।
ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিলেও ভাঙন কবলিত মানুষ বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় তীব্র ভাঙনে বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের ভাঙন কবলিতদের নিজস্ব জমিজমা না থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষ তাদের বাড়িঘর সরিয়ে খোলা আকাশে ফেলে রেখেছে। ঈদের ১০/১২ দিন আগে থেকেই এখানে ভাঙন চলছিল।
জিও ব্যাগ দিয়ে সরকারি স্কুলটি রক্ষার চেষ্টা করা হলেও জিও ব্যাগসহ সেটি নদী গর্ভে চলে গেছে। এসময় ভেঙে গেছে আরও ৪৫ থেকে ৫০টি বসতবাড়ি। সবজি ও পাটখেতসহ শত বিঘা আবাদি জমি নদী গ্রাস করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে গাছপালা-পুকুর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
নদী তীরবর্তী শহিদুর ইসলাম (৫৬) জানান, ভাঙনে বজরা পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আর রক্ষা করা যায়নি। সেই সঙ্গে ঠিকানা হারিয়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। আরও দেড় শতাধিক বসতবাড়ি রয়েছে ভাঙনের হুমকীতে। এছাড়াও পিছনে আরও ৬ থেকে ৭শ’ পরিবারও রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
১ বছর আগে
ইরানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ১০, আহত অর্ধশতাধিক
পূর্ব ইরানে বুধবার ভোরে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন আংশিকভাবে লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর রয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে, যদিও বিপর্যয় সম্পর্কে প্রাথমিক বিবরণ অস্পষ্ট রয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, মরুভূমি শহর তাবাসের কাছে ভোরের অন্ধকারে ট্রেনের সাতটি বগির মধ্যে চারটি লাইনচ্যুত হয়। তাবাস রাজধানী তেহরানের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার (৩৪০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
উদ্ধারকারী দলগুলো অ্যাম্বুলেন্স এবং হেলিকপ্টারে দুর্গম এলাকায় পৌঁছেছে যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব কঠিন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তত ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেনটি একটি খননকারীর সাথে ধাক্কা খেয়েছে।
২০১৬ সালে ইরানে আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েক ডজন মানুষ মারা যায় এবং বহু মানুষ আহত হয়।
দেশটিতে সবচেয়ে বড় ট্রেন বিপর্যয় ঘটে ২০০৪ সালে। পেট্রল, সার, সালফার এবং তুলাবোঝাই একটি ট্রেন ঐতিহাসিক শহর নেশাবুরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রায় ৩২০ জন নিহত, ৪৬০ জন আহত এবং পাঁচটি গ্রাম ধ্বংস হয়।
ইরানে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮৭০০ মাইল) রেললাইন রয়েছে, যা টেক্সাসের আড়াইগুণ আয়তনের সমান।
পড়ুন: ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৬
নাইজেরিয়ায় গির্জায় হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহতের আশঙ্কা
২ বছর আগে