জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত হলেন রাবাব ফাতিমা
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের এ নিয়োগের ঘোষণা দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের একজন নারী কুটনীতিক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেলেন। এই মূহুর্তে জাতিসংঘ সিস্টেমে একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাই হতে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার এই নিয়োগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নিবিড় অংশগ্রহণ ও বাংলাদেশী পেশাদার কূটনীতিকদের গ্রহণযোগ্যতারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাবাব ফাতিমা ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
নিয়োগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এ সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি কৃতজ্ঞ। স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আমার ওপর যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছেন, আমি কাজের মাধ্যমে তার প্রতিফলন দেখাতে চাই।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিসে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার রয়েছে ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা যেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনীতি, নীতি নির্ধারণ, অ্যাডভোকেসি, কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। এর আগে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (২০১৬-২০১৯) ছিলেন।
পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগদান করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি নিউইয়র্ক ও জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং কলকাতা ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: রাবাব ফাতিমা
মানবাধিকার বিষয়াবলীতে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। লন্ডনে কমনওয়েলথ্ সেক্রেটারিয়েটে মানবাধিকার বিভাগের প্রধান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং একই সংস্থার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন বিষয়ক আঞ্চলিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার তার সূদীর্ঘ অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
রাবাব ফাতিমা টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
২ বছর আগে